চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলায় ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের দফায় দফায় সংঘর্ষে প্রায় ২০ জন আহত হয়েছেন।
সোমবার (৯ মে) সকালে পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) প্রদীপ মণ্ডল এ তথ্য নিশ্চত করেছেন। এর আগে রোববার (৮ মে) সন্ধ্যায় পৌর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে চেষ্টা করে।
আহতদের মধ্যে জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য সাইফুল ইসলাম রিপন, মশিউর রহমান মিঠু, ছাত্রলীগ কর্মী রুবেল ও মুছার নাম পাওয়া গেলেও বাকিদের পরিচয় জানা যায়নি।
স্থানীয় নেতাকর্মীরা জানায়, সম্প্রতি ফরিদগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের দুটি কমিটি দেওয়া হয়েছে। একটি কমিটি অনুমোদন দেয় জেলা ছাত্রলীগ অপরটির মৌখিক অনুমোদন দেয় স্থানীয় এমপি মুহাম্মদ সফিকুর রহমান। এদিকে রোববার (৮ মে) বিকেলে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ঈদ পুনর্মিলনীর আয়োজন করে পৌর ছাত্রলীগ। এমপির একটি গ্রুপও সেখানে ঈদ পুনর্মিলনীর আয়োজন করে। এ সময় পুলিশ সমাবেশ বন্ধ করে দেয়। এরপর পর ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে প্রায় ২০ জন আহত হয়েছেন।
এ ঘটনার আগে পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি আলী নেওয়াজ জানান, প্রশাসনের অনুরোধে আমরা ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান বাতিল করেছি। তবে সংঘর্ষের পর তার সঙ্গে কথা বলা যায়নি।
অন্যদিকে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. বাকিবিল্লাহ বলেন, আমরা বিকেল সাড়ে তিনটায় কালিরবাজারগামী রাস্তার মোড়ে আমাদের মিছিলের কর্মসূচী পালন করেছি। কয়েকটি বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, পূর্ব বাজার মোড়ের সংঘর্ষের ঘটনা আমরা জানি না। যদি হয়ে তার সঙ্গে আমাদের ছাত্রলীগের কেউ জড়িত নন।
পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) প্রদীপ মণ্ডল বলেছেন, সহকারী পুলিশ সুপার হোসেল মাহমুদের নেতৃত্বে সকাল থেকে আমাদের পুলিশ বাহিনী চারিদিকে তৎপর ছিলেন। কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। কিন্তু সন্ধ্যার পূর্ব মুহূর্তে অতর্কিতে দুই গ্রুপ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়ে পড়লে পুলিশ বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে সক্ষম হয়েছেন।
সুত্র-আরটিভি
বিএ /