আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে রাজশাহীর জেলার দুর্গাপুর উপজেলার ২ নং কিসমত গনকৌড় ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন প্রত্যাশী মো. ফিরোজ উদ্দিন । আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেলে চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতীকের মাঝি হয়ে লড়তে চান তিনি। এরই মধ্যে দিন-রাত ইউনিয়নের প্রতিটি ভোটারের বাড়ি বাড়ি গিয়ে নির্বাচনি প্রচারণাও চালাচ্ছেন তিনি।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, দলমত নির্বিশেষে ইউনিয়নের সাধারণ ভোটারদের মুখে সমাজসেবক কৃষকলীগ নেতা ফিরোজ উদ্দিনের নাম উল্লেখযোগ্য ভাবে শোনা যাচ্ছে। এ বারের নির্বাচনে কিশমত গনকৌড় ইউনিয়নে একাধিক প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা থাকলেও প্রচারণায় এগিয়ে রয়েছে ফিরোজ উদ্দিন ।
তারা জানান, প্রার্থীদের প্রতিদ্বন্দ্বিতার মধ্যে নৌকার মনোনয়নের শীর্ষে রযেছেন, তরুণ সমাজসেবক ও মৎস্য ব্যবসায়ী ফিরোজ। এ ছাড়া কিশমত গনকৌড় ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসাবে ফিরোজ দীর্ঘদিন ধরে গরিব-দুঃখী মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন। কাজেই সাধারণ জনগণ চেয়ারম্যান প্রার্থী মনোনয়নে তার মতো একজন সৎ, যোগ্য, ত্যাগী, গ্রহণযোগ্য ও দুর্নীতিমুক্ত ব্যক্তিকেই চেয়ারম্যান হিসাবে দেখত চায়।
এদিকে, সমাজসেবক হিসাবে তিনি কিশমত গনকৌড় ইউনিয়নে করোনা কালিন সময়ে দুস্থদের মাঝে অনুদান, অসহায় গরিব-দুঃখীদের মাঝে বস্ত্র বিতরণসহ অনেক উন্নয়নমূলক কাজ করে যাচ্ছেন। তাই আসন্ন কিশমত গনকৌড় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মো. ফিরোজ উদ্দিনকে চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চায় সাধারণ ভোটাররা।
জানাগেছে, ২০০৩ সালে আওয়ামীলীগ করার অপরাধে ফিরোজের বাবার উপর হামলাসহ তাদের বাড়িঘরে ভাঙচুর করেন বিএনপির নেতাকর্মীরা।
তৎকালীন সময়ে রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার কয়ামজামপুরে বাংলাভাইয়ের অমানুষিক নির্যাতনের স্বিকার হয়ে মৃত্যু বরন করেন আওয়ামীলীগ নেতা আজাহার মেম্বার, তারপরে পরিবারটি মানবেতর জীবনযাপন করছিলেন। পরবর্তী কালীন সময়ে ফিরোজ সেই পরিবার টির পাশে থেকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। তার পরিবারে ফিরে এসেছে সচ্ছলতা। বিএনপির আমলে বিভিন্ন হামলা মামলার স্বীকার হয়েও আওয়ামী লীগের দুর্দিনের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছেন ফিরোজ।
দুর্গাপুর উপজেলার ২ নং কিশমত গনকৌড় ইউপির কৃষকলীগ নেতা ও নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী ফিরোজ উদ্দিন বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শকে লালন করেই ছাত্রজীবন থেকে রাজনীতি করে আসছি। দলের জন্য আমার ও পরিবারের অনেক ত্যাগ আছে। যদি সেটি মূল্যায়ন করে দলীয় সভানেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে নৌকা প্রতীক দেন তাহলে বিজয় অর্জনের মাধ্যমে ইউনিয়ন বাসীর কল্যাণে কাজ করবো সবসময়।
বিএ/
