খবর২৪ঘন্টা নিউজ ডেস্ক: দেশে করোনাভাইরাসে মৃত্যু হচ্ছে প্রতিদিন। প্রতিদিন শত শত মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে। এর মধ্যেই বজ্রপাতেও ঝরছে প্রাণ। চলতি এপ্রিল মাসের ২০ দিনে বজ্রপাতে ৫৭ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। গত বছরের পুরো এপ্রিল মাসে প্রাণহানির সংখ্যা ছিল ২১।
দুর্যোগ নিয়ে কাজ করা বেসরকারি সংগঠন ডিজাস্টার ফোরামের এক প্রতিবেদনে এ চিত্র উঠে এসেছে। আজ সোমবার এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
ডিজাস্টার ফোরামের প্রতিবেদনে ৪ থেকে ২৪ এপ্রিলের তথ্য তুলে ধরা হয়। সংবাদপত্রের প্রতিবেদন এবং দেশের ছয়টি এলাকা থেকে সরাসরি তথ্য নিয়ে ডিজাস্টার ফোরাম বজ্রপাতের এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে বলে জানান সংগঠনটির সদস্যসচিব গওহার নঈম ওয়ারা।
ফোরামের প্রতিবেদনে বলা হয়, এপ্রিলের ২০ দিনে যে ৫৭ জনের মৃত্যু হয়েছে তাঁদের মধ্যে ৪৭ জন পুরুষ। এঁরা বজ্রপাতের সময় কৃষিজমিতে কাজ করছিলেন বা মাছ ধরছিলেন।
ডিজাস্টার ফোরামের সমন্বয়কারী মেহেরুন নেসা বলেন, জেলা ভিত্তিতে ২০ দিনে সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা গেছেন উত্তরের জেলা গাইবান্ধায়। এখানে ছয়জন নিহত হন। আর বিভাগের হিসাবে সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা যান সিলেটে। এ বিভাগে মৃত মানুষের সংখ্যা আট। বজ্রপাতে আহত হন আটজন।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, ২০১০ থেকে ২০১৯ এই এক দশকে দেশে বজ্রপাতে মোট মৃতের সংখ্যা ২ হাজার ৮১। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি ঘটে ২০১৮ সালে। ওই বছর বজ্রপাতে মারা গেছে ৩৫৯ জন। এর আগের বছর মারা যায় ৩০১ জন, যা গত এক দশকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। ২০১৬ সালে বজ্রপাতে মৃতের সংখ্যা ছিল ২০৫। এ ছাড়া ২০১৫ সালে ১৬০, ২০১৪ সালে ১৭০, ২০১৩ সালে ১৮৫, ২০১২ সালে ২০১, ২০১১ সালে ১৭৯ ও ২০১০ সালে ১২৩ জনের মৃত্যু ঘটে বজ্রপাতে।
বিভিন্ন হিসাবে দেখা গেছে, দেশে বজ্রপাতে মৃত্যুর ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটে হাওরের তিন জেলা কিশোরগঞ্জ, সুনামগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায়। আর এসব ঘটনা বেশি ঘটে এপ্রিল ও মে মাসে। এ সময় কৃষকেরা ফসল তোলার কাজে মাঠে থাকেন। এ সময়টা কালবৈশাখীর।
খবর২৪ঘন্টা/নই
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।