নিজস্ব প্রতিবেদক :
একাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়া রাজশাহীর পাঁচ এমপির মধ্যে সম্পদ বেড়েছে চারজনের। এবার নির্বাচনে অংশ নেয়া চারজনেরই বার্ষিক আয় ও সম্পদ বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। কোনো কোনো এমপির আয় ও সম্পদ বেড়েছে কয়েক গুণ পর্যন্ত। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিজেদের দেওয়া হলফনামা এবং ২০০৮ ও ২০১৪ সালের নির্বাচনে দেওয়া হলফনামা সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। হলফনামায় দেওয়া তথ্যানুযায়ী, বার্ষিক আয় সবচেয়ে বেশি রাজশাহী-৬ আসনের প্রার্থী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের। অন্যদিকে গত নির্বাচনের তুলনায় এবার বার্ষিক আয় কমে রাজশাহী-৪ আসনের সাংসদ এনামুল হকের।
জেলা নির্বাচন অফিস সূত্র মতে, রাজশাহী জেলার ছয়টি আসনে এবার মোট ৫৩ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। এদের মধ্যে পাঁচজনই আছেন বর্তমান এমপি। এই পাঁজজনের মধ্যে চারজন এর আগে দুবার করে এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। পাঁচজনের মধ্যে তিনজনই গত নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্ব›দ্বীতায় এমপি হয়েছেন।রাজশাহী-১ আসনের এমপি ওমর ফারুক চৌধুরীর গত ৫ বছরে তার আয় এবং সম্পদ বেড়েছে দ্বিগুণ। তার বর্তমান বার্ষিক আয় দেখানো হয়েছে ৪৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা। গতবার নির্বাচনের আগে যেটি ছিল ২০ লাখ ৬৪ হাজার ৮২৭ টাকা। ২০০৮ সালে তার বার্ষিক আয় ছিল ৮৮ লাখ ৫২ হাজার ৯২৪ টাকা।রাজশাহী-২ আসনে ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশার সম্পদ এবং আয়
দুটিই বেড়েছে। বাদশার এবার বার্ষিক আয় দেখানো হয়েছে ৭ লাখ ৫০০ টাকা। এর আগে ২০১৪ সালে তার আয় দেখানো হয়েছিল ৬ লাখ ২৪ হাজার ৭৭২ টাকা। তার পাঁচ বছর আগে ২০০৮ সালে তার বার্ষিক আয় ছিল ২ লাখ ২ হাজার টাকা। রাজশাহী-৩ আসনের বর্তমান এমপি আয়েন উদ্দিনের আয়ও বেড়েছে। তার বর্তমান বার্ষিক আয় দেখানো হয়েছে ৩১ লাখ ৮৫ হাজার ৬০৫ টাকা। পাঁচ বছর আগে তার বার্ষিক আয় ছিল মাত্র ২ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। রাজশাহী-৪ আসনের বর্তমান এমপি এনামুল হকের এবার বার্ষিক আয় দেখানো হয়েছে ৪৯ লাখ টাকা। কিন্তু ২০১৪ সালের নির্বাচনে ছিল ৫০ লাখ টাকা। আর ২০০৮ সালের
নির্বাচনে ছিল ২০ লাখ টাকা। রাজশাহী-৬ আসনের বর্তমান এমপি শাহরিয়ার আলমের বার্ষিক আয় তিন কোটি ৪৪ লাখ ৬৫ হাজার ৮০৮ টাকা। যা পাঁচ বছর আগের তুলনায় বেড়েছে তিনগুণের বেশি। গত নির্বাচনে তার আয় দেখানো হয়েছিল ১ কোটি ১৫ লাখ ১৩ হাজার ১৮০ টাকা। ২০০৮ সালে ছিল যা ৯৭ লাখ ৭৩ হাজার ৯৪৯ টাকা।
খবর ২৪ ঘণ্টা/আর