ঢাকাবুধবার , ৯ অক্টোবর ২০১৯
আজকের সর্বশেষ সবখবর

রাজশাহীতে স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়ির মারধরে গৃহবধূ আহত, হাসপাতালে ভর্তি

khobor
অক্টোবর ৯, ২০১৯ ৪:৩৮ অপরাহ্ণ
Link Copied!

নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজশাহী মহানগরীতে স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়ির মারধরে আহত হয়ে শারমিন সুলতানা (১৭) নামের এক গৃহবধূ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার (ওসিসিতে) ভর্তি হয়েছেন। মতিহার থানার ললিতাহার এলাকার আব্দুল আজিমের মেয়ে ও চন্দ্রিমা থানার কেচুয়াতল গ্রামের আতিক মাহমুদের স্ত্রী। শারমিন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল এন্ড কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রী। আহত গৃহবধূ শারমিন সুলতানা অভিযোগ করে জানান, কয়েক বছর আগে স্বামী আতিক মাহমুদের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে আতিকের সাথে তার ঘনিষ্ঠতা

বেড়ে যায়। সেই সুযোগে আতিক জোরপূর্বক সম্পর্কের দোহাই দিয়ে তার নগ্ন ছবি মোবাইলে নেয়। একটি ছবি নেওয়ার পর সেই ছবি ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে আরো অনেক নগ্ন ছবি ও কয়েকটি নগ্ন ভিডিও নেয় শারমিনের কাছ থেকে। লোকলজ্জার ভয়ে সে কাউকে কিছু জানাতে পারেনি । গত ৬ মাস আগে আতিক দেখা করার কথা বলে শারমিনকে রাবি ক্যাম্পাসে ডেকে জোরপূর্বক মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে গিয়ে বিয়ে করে। এরপর দুই মাস ভালো থাকলেও গত তিন মাস থেকে স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়ি মিলে তাকে

নির্যাতন শুরু করে। প্রায় দিনই তাকে মারধর করে বলে ওই গৃহবধূ অভিযোগ করেন। এদিকে, বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে শারমিন প্রাইভেট পড়ে বাড়ি ফিরলে স্বামী আতিক তাকে বের হয়ে যেতে বলে। স্বামীর কথায় বের না হয়ে গেলে শ^শুর তাকে টেনে হিঁচড়ে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় ও গৃহবধূ যেতে না চাইলে তাকে স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়ি মিলে মারধর করে। ঘটনাটি মোবাইলে তার বাবা-মাকে জানালে তারা নবদিগন্ত মহিলা উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক রাজিয়া সুলতানাকে জানায়। খবর পেয়ে রাজিয়া সুলতানা তার সহকর্মী ও শারমিনের মাকে নিয়ে ঘটনাস্থলে গেলে তার স্বামী

জানায়, গত ৫ দিন আগে তাকে তালাক দেওয়া হয়েছে। কিন্ত একতরফা তালাকের কথা গোপন করে ৫ দিন ধরেও তাকে নিয়ে কেন ছিল এমন প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারেনি। পরে তাকে উদ্ধার করে রামেক হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
গৃহবধূ শারমিন অভিযোগ করে আরো বলেন, আমাকে যে তালাক দেওয়া

হয়েছে তা আমি নিজেই জানিনা। তার সাথেই ছিলাম। কিন্ত হঠাৎ একতরফা তালাকের দোহাই দিয়ে আমাকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করে। ব্যর্থ হয়ে মারধর করে। আমি এই তালাক মানিনা। তালাক দিয়ে ৪ দিন কেন একই বাড়িতে নিয়ে থাকলো? আমার প্রতি অবিচার করা হয়েছে। এর বিচার দাবি করছি।

এস/আর

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।