ঢাকাশুক্রবার , ৪ অক্টোবর ২০১৯
আজকের সর্বশেষ সবখবর

রাজশাহীতে শরীরে আগুন দিয়ে কলেজ ছাত্রী লিজার আত্মহত্যা, স্বামী গ্রেফতার

khobor
অক্টোবর ৪, ২০১৯ ৯:১৪ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজশাহী মহানগরীর শাহমখদুম থানা বের হয়ে এসে নিজের শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়ে কলেজছাত্রী লিজা রহমান (১৮) মৃত্যুর ঘটনায় আত্মহত্যার প্ররোচনায় মামলায় তার স্বামী সাখাওয়াতকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ৪ সেপ্টেমবর শুক্রবার রাত ২টার দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলায় তার আপন ভগ্নিপতি রুবেলের বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়। রুবেলকে আদালতে পাঠিয়ে রিমান্ড আবেদন করা হবে।
এ তথ্য নিশ্চিত করে নগরীর শাহমখদুম থানার ওসি এসএম মাসুদ পারভেজ বলেন, কলেজ ছাত্রী লিজাকে আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলায় তার স্বামী সাখাওয়াতকে তার ভগ্নিপতির বাড়ি থেকে আটক করা হয়েছে। তাকে আদালতে

পাঠিয়ে রিমান্ড আবেদন করা হবে। বাকি আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
উল্লেখ্য, কলেজ ছাত্রী লিজা রহমানের আত্মহত্যার প্ররোচনায় তার বাবা আলম বাদী হয়ে গত বুধবার দিবাগত রাতে নগরীর শাহমখদুম থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় নিহতের স্বামী সাখাওয়াত, শ্বশুর মাহাবুব আলম খোকন ও শাশুড়ি নাজনিন বেগমকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়াও অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামী করে মামলাটি দায়ের করেন। বৃহস্পতিবার সকালে নিহত লিজার লাশ গাইবান্ধায় জানাজা শেষে দাফন করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে শাহমখদুম থানার ওসি তদন্ত বানী ইসরাইল। এখন পর্যন্ত

মামলার কোন আসামীকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
এ তথ্য নিশ্চিত করে আরএমপির মুখপাত্র অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার গোলাম রুহুল কুদ্দুস বলেন, মেয়েকে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ এনে লিজার স্বামী সাখাওয়াতসহ তিনজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো কয়েকজনকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামীদের কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।
উল্লেখ্য, গত ২৮ সেপ্টেমবর দুপুরে কলেজ ছাত্রী লিজা রহমান পাবিবারিক কলহের জের ধরে থানায় অভিযোগ করতে গিয়ে বের হয়ে এসে শরীরে কেরোসিন ঢেলে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। নগরীর শাহমখদুম থানাধীন পবা নতুন পাড়া এলাকায় বসবাস করতো। শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে টিটিসির সামনে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। তাদের

মধ্যে পারিবারিক কলহের জের ধরে মনমালিন্য চলে আসছিলো। মেয়েটির মা-বাবা কেউ নাই। সে অনাথ। গত ২৮ সেপ্টেমবর সকালেও বিভিন্ন বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। এরপর দুপুরে কলেজ ছাত্রী লিজা নগরীর শাহমখদুম থানায় অভিযোগ দিতে যায়। সেখানে সবকিছু শুনে তাকে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে পাঠানোর হয়। কর্তব্যরত পুলিশ তার অভিযোগের বিষয়গুলো

জানতে চায়। এরপর ওই লিজা থানা থেকে বের হয়ে যায়। থানা থেকে বের হয়ে টিটিসির সামনে গিয়ে শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেয়। আগুনে তার শরীরের বেশির ভাগ অংশ পুড়ে যায়। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। কিন্ত তার অবস্থা খারাপ হওয়ায় চিকিৎসকরা তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। পরে তাকে এ্যাম্বুলেন্সযোগে ঢাকা পাঠানো হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

এস/আর

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।