সবার আগে.সর্বশেষ  
ঢাকারবিবার , ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯
আজকের সর্বশেষ সবখবর

পুঠিয়ার হাট-বাজারে অবৈধ পলিথিনের জমজমাট ব্যবসা

khobor
সেপ্টেম্বর ২৯, ২০১৯ ৮:১৬ অপরাহ্ণ
Link Copied!

পুঠিয়া প্রতিনিধি :

প্রশাসনের নাকের ডগায় চলছে পলিথিন বিক্রি। রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার প্রায় প্রতিটি হাট-বাজারে ছোট বড় সব বাজারে, লোকালয়ের দোকানসহ অলিগলির প্রতিটি দোকানেই মিলছে অবৈধ ঘোষিত পরিবেশ দূষণকারী পলিথিন। প্রশাসনের নজরদারি না থাকায় ব্যবহার হচ্ছে নিষিদ্ধ এইচডিপিই (হাইয়ার ডেনসিটি পলি ইথালিন) পলিব্যাগ। যার ব্যবহার মানুষের জীবনে মারাত্মক ক্ষতি করলেও পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মর্কতারা নীরব থাকায় এই অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে। পরিবেশ বিপর্যয়ের কারনে সরকারী ভাবে পলিথিন ব্যবহার নিষিদ্ধ হলেও নিয়মের তোয়াক্কা না করে দেদারছে উপজেলার প্রায় সর্বত্রই বিক্রি হচ্ছে এসব ক্ষতিকর পলিথিন বেগ। এর ফলে পরিবেশের মারাত্বক ক্ষতি সাধন হচ্ছে। অপচনশীল এই পলিথিন যত্রতত্র ফেলার কারণে পানি মাটি ও বাতাস দূষিত হয়ে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি করছে। মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে

নানা রোগ-ব্যাধিতে। এ ছাড়াও পানি চলাচলের নালা, নর্দমা, খালবিল যত্রতত্র ছড়িয়ে পড়ছে এতে পানি চলাচলে বাধাগ্রস্ত হয়ে জলজটের সৃষ্টি হচ্ছে। জমে থাকা পানিতে ব্যাকটেরিয়াসহ নানা রোগ জীবাণু ছড়াছে। পলিথিন হাতের নাগালে পাওয়ার কারণে পরিবেশবান্ধব পাটের ব্যাগের ব্যবহার বাড়ছে না। সিমেন্ট সারসহ ১৪টি পণ্যে পলিব্যাগ ব্যবহারের অনুমোদন থাকলেও এর বাইরে চলছে পলিথিনের অগাধ ব্যবহার। ফলে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে পাট ও পাট দিয়ে উৎপাদিত পণ্যের কারখানা। বাড়ছে না কুটির শিল্পের কাজ। বেকার হচ্ছেন মালিক ও শ্রমিকরা। উপজেলার বানেশ্বর, ঝলমলিয়া, পুঠিয়া ত্রিমোহনী কাউন্সিল বাজার, পুঠিয়া বাজার, জামিরিয়া, মাহেন্দ্রা, ভাল্লুকগাছী, ধোপাপাড়া, সাধনপুর, মোল্লাপাড়া, কার্তিকপাড়া হাট-বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পলিথিন বেচাকেনা হচ্ছে। মুদি দোকান,কসমেটিক্স, ফলের বাজার,কাঁচা বাজার, মাছের বাজার, মাংসের বাজারে এর ব্যবহার বেশী লক্ষ করা যাচ্ছে। চাল-ডাল, মরিচ, হলুদ, চিনি, ময়দা, মাছ, কাচা বাজারে সবজিসহ বিভিন্ন পণ্য আনা-নেওয়ার কাজে অবাধে ব্যবহার করা হচ্ছে ক্ষতিকর এ নিষিদ্ধ পলিথিন। এ ছাড়াও পলিথিনে মুড়ি ও বেকারীর তৈরী

বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্য প্যাকেট করে বাজারে বিক্রি করায় সর্বত্র ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকায় পরিবেশের জন্য মারাত্বক ক্ষতি বয়ে আনছে। বাংলাদেশে ১৯৮২ সালে প্রথম পলিথিন ব্যাগের বাজারজাত ও ব্যবহার শুরু হয়। এটি সহজে পরিবহন ও স্বল্প মূল্যে পাওয়ার কারণে অল্প সময়ে মানুষের হাতে হাতে পৌঁছে যায়। কিন্তু ব্যবহারের পর এটি যত্রতত্র ফেলার কারণে পরিবেশের মারাত্মক বিপর্যয় ঘটায় এবং এটি ক্ষতিকারক পণ্য হিসেবে চিহ্নিত হয়। ক্ষতিকারক এই পলিথিন বন্ধের লক্ষ্যে ২০০২ সালে তৎকালীন চারদলীয় জোট সরকার পলিথিন ব্যাগ উৎপাদন, আমদানি, বাজারজাত, ক্রয়-বিক্রয়, প্রদর্শন, মজুদ ও বিতরণ নিষিদ্ধ করে। তবে পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ (সংশোধিত ২০০২) এর ১৫(১) অনুচ্ছেদের ৪(ক) ধারায় পলিথিন উৎপাদন, আমদানি ও বাজারজাতকরণের জন্য অপরাধীদের সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অথবা ৬ মাসের কারাদন্ডের বিধান আছে। কিন্তু অসাধু ব্যবসায়ীরা কিছুদিন লুকিয়ে বেচাকেনা করলেও এখন তা প্রকাশ্যে বিক্রি করছে। অচিরেই এর ব্যবহার নিষিদ্ধ না করলে পরিবেশ ও কৃষি উৎপাদনের চরম আকার ধারণ করবে বলে এলাকার সুধী সমাজ মনে করছেন।

আর/এস

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।