ঢাকাবুধবার , ২০ নভেম্বর ২০১৯
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ইরানে অন্তত ১০৬ বিক্ষোভকারী নিহত, অ্যামনেস্টির দাবি

অনলাইন ভার্সন
নভেম্বর ২০, ২০১৯ ১০:২৩ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:  মধ্যপ্রাচ্যের ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানে জ্বালানি তেলের মূল্য ৫০ শতাংশ বৃদ্ধির প্রতিবাদে গত সপ্তাহে শুরু হওয়া বিক্ষোভে অন্তত ১০৬ বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।

ইরানে গত শুক্রবার রাত ১২টা থেকে তেলের বর্ধিত মূল্য কার্যকর করা হয়। হঠাৎ করেই পেট্রলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় বিক্ষোভে শুরু করে সাধারণ মানুষ। সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানাতে রাজধানী তেহরানসহ দেশের বিভিন্ন শহরের মানুষ রাস্তায় নেমে আসে। এরই মধ্যে সরকারবিরোধী এই বিক্ষোভে ছড়িয়ে পড়েছে গোটা দেশে। যাতে অংশ নিচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ। এ বিক্ষোভে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনাও ঘট

এমন পরিস্থিতিতে গতকাল মঙ্গলবার বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, ইরানের বিক্ষোভ নিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। বিবৃতিতে মানবাধিকার সংঠনটির দাবি, ইরানের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিক্ষোভকারীদের আন্দোলন নস্যাৎ করতে অত্যধিক ও প্রাণঘাতী শক্তি ব্যবহার করছে। দ্রুত বাড়ন্ত এই আন্দোলন প্রতিহত করতে প্রশাসনকে শক্ত অবস্থান নিতে দেখা গেছে। চলমান সংঘর্ষে ইরানের ২১টি শহরে এখন পর্যন্ত অন্তত ১০৬ জন বিক্ষোভকারীর প্রাণহানিসহ অনেক মানুষ আহত হয়েছে বল দাবি করছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।

এদিকে বিক্ষোভ ঠেকাতে ঘরে-বাইরে ইরানিদের একে অন্যের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করতে গত রোববার দেশের প্রায় সর্বত্র ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করেছে ইরান।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য নিউইয়র্ক টাইমস এ খবর জানিয়েছে।

এদিকে ইরান সরকারের দাবি, সুযোগসন্ধানী কিছু দুষ্কৃতকারী বিক্ষোভের নামে জনগণের জানমালের ব্যাপক ক্ষতি করার চেষ্টা চালায়। এ সম্পর্কে ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি গত রোববার মন্ত্রিসভার বৈঠকে বলেন, ‘পেট্রলের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত কার্যকর করার পর কিছু মানুষকে রাস্তায় বিক্ষোভ করতে দেখা গেছে। প্রশাসন কোনো সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করলে তাতে সবার সন্তুষ্ট না হওয়াটাই স্বাভাবিক। কাজেই সরকারের ওই সিদ্ধান্তের বিরোধীদের প্রতিবাদ জানানোর অধিকার রয়েছে। কিন্তু প্রতিবাদের নামে কোনো ধরনের নাশকতা বরদাশত করা হবে না।’

রুহানি আরো বলেন, ‘সরকার আইন মেনেই যা করার করেছে… সরকারের তিন বিভাগের ঐকমত্যের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’

ইরান সরকারের নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রতি লিটার পেট্রল ১৫ হাজার রিয়াল দরে প্রতি মাসে মোট ৬০ লিটার পেট্রল কিনতে পারবেন মোটরযান মালিকরা। এর আগে এক ব্যক্তি প্রতি লিটার ১০ হাজার রিয়াল দরে মোট ২৫০ লিটার পেট্রল কিনতে পারতেন।

কর্তৃপক্ষ বলছে, পেট্রলে ভর্তুকি বাদ দিয়ে সরকার যে পরিমাণ অর্থ আয় করবে, তা দিয়ে নিম্ন আয়ের দরিদ্র পরিবারকে সহায়তা দেওয়া হবে।

এ ব্যাপারে ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি জানিয়েছেন, ৭৫ শতাংশ ইরানি বর্তমানে অর্থনৈতিকভাবে চাপের মুখে রয়েছে। পেট্রলে ভর্তুকি বাদ দেওয়ায় সরকার যে আয় করবে, তা ইরানের কোষাগারে জমা না রেখে জনগণকে সহায়তা করা হবে।

এমকে

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।