1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
রিজেন্ট-জেকেজির জালিয়াতি স্বাস্থ্যখাতে দুর্নীতির খুবই ছোট উদাহরণ - খবর ২৪ ঘণ্টা
শুকরবার, ১০ জানয়ারী ২০২৫, ০৩:৪৪ পূর্বাহ্ন

রিজেন্ট-জেকেজির জালিয়াতি স্বাস্থ্যখাতে দুর্নীতির খুবই ছোট উদাহরণ

  • প্রকাশের সময় : বৃস্পতিবার, ১৬ জুলা, ২০২০

খবর২৪ঘন্টা নিউজ ডেস্ক: রিজেন্ট ও জেকেজির হাতে করোনা শনাক্তের পরীক্ষা ও চিকিৎসাকে ঘিরে যে ন্যাক্কারজনক জালিয়াতির ঘটনা উন্মোচিত হয়েছে তাকে স্বাস্থ্যখাতে লাগামছাড়া দুর্নীতির খুবই ছোট উদাহরণ বলে মনে করে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। তাই এই দুই ঘটনার দৃশ্যমান অভিযুক্তদের আটক বা তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থাকেই যথেষ্ট ভেবে নিয়ে আত্মতুষ্টিতে ভুগলে মূল সমস্যার কোনো সমাধান হবে না বলছে সংস্থাটি।

গতকাল বুধবার (১৫ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলেছে টিআইবি। পাশাপাশি যেসব প্রভাবশালী ও ক্ষমতাবানদের যোগসাজশে মানুষের জীবন-মৃত্যু নিয়ে এমন ভয়াবহ দুর্নীতি হয়েছে, তাদের গ্রহণযোগ্য তদন্তের মাধ্যমে চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক কঠোর সাজা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে তারা।

রিজেন্ট ও জেকেজি কাণ্ডের মূল হোতাদের আটকের ঘটনাকে এসব দুর্নীতির তদন্তের প্রথম পদক্ষেপ আখ্যায়িত করে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, দেশে কোভিড-১৯ মহামারি ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে একের পর এক দুর্নীতি, জালিয়াতি, প্রতারণা ও সাগরচুরির অভিযোগ উঠেছে স্বাস্থ্যখাত নিয়ে। তার মধ্যে মাত্র দুটি ক্ষেত্রে আমরা দেখতে পেলাম যে, প্রত্যক্ষ কর্ণধারদের আটক করা হয়েছে এবং তাকেই দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিরাট অর্জন হিসেবে প্রচার করা হচ্ছে। আমরা অবশ্যই এই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চলমান আইনি প্রক্রিয়াকে স্বাগত জানাই। কিন্তু এখনই একে বিরাট সাফল্য বলে মানতে পারছি না। যে প্রক্রিয়ায় আলোচ্য দুটি প্রতিষ্ঠান এই জালিয়াতি করার সুযোগ পেয়েছে তাতে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিকভাবে ক্ষমতাবানদের একাংশের যোগসাজশের বিষয়টি একরকম নিশ্চিত করেই বলা যায়। অভিযুক্তদের শুধু ‘প্রতারক’ হিসেবে প্রচার করে পেছনে থাকা প্রভাবশালী, যারা তাদের এই সুযোগ করে দিয়েছে, তাদের আড়াল করার চেষ্টা হচ্ছে কিনা, সে প্রশ্ন একেবারে অবান্তর বলা যাচ্ছে না।

এই দুই আলোচিত ঘটনা নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতর এবং মন্ত্রণালয়ের পাল্টাপাল্টি দোষারোপ এবং একে অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপানোর চেষ্টায় এই শঙ্কা আরও প্রবল হচ্ছে- এমন মন্তব্য করে ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘বেশ কদিন হলো এই অভিযোগের বিষয় দুটি সামনে এসেছে। এতদিনে তো উচিত ছিল কী প্রক্রিয়ায়, কীভাবে, কোন যোগ্যতার ভিত্তিতে এসব প্রতিষ্ঠানকে নির্বাচিত করা হয়েছিল তার স্পষ্ট ব্যাখ্যা দেয়া, কোন কর্তৃপক্ষের কতটুকু দায়িত্বে অবহেলা ছিল তা চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেয়া। কিন্তু তা না করে স্বাস্থ্য অধিদফতর ও মন্ত্রণালয় একের পর এক দায়িত্বজ্ঞানহীন ও অবিবেচনাপ্রসূত মন্তব্য করে দায় এড়ানোর চেষ্টা করে চলেছে।’

‍“গণমাধ্যমে সংবাদ হয়েছে, কর্মকর্তারা ‘মন্ত্রীর অনুরোধে’ চুক্তি স্বাক্ষরের সময় উপস্থিত ছিলেন। অধিদফতর বলছে, উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার ‘মৌখিক নির্দেশনায়’ তারা চুক্তি করেছেন। আর মন্ত্রী (স্বাস্থ্যমন্ত্রী) জানিয়েছেন, ‘তিনি অনেক চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন, সব পড়ে দেখেন না’। এই যদি হয় জনস্বার্থে সরাসরি সংশ্লিষ্ট সরকারের অন্যতম প্রধান একটি বিভাগের চালচিত্র, তাহলে আমাদের আতঙ্কিত না হয়ে উপায় থাকে না। মহামারির এই ভয়াবহ সময়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এমন লাগামছাড়া, ছন্নছাড়া অবস্থা রীতিমতো অপরাধমূলক। কারণ এসব শুধু দুর্নীতির মহোৎসব নয়, মানুষের জীবন-মৃত্যুর সঙ্গে সরাসরি জড়িত।”

খবর২৪ঘন্টা/নই

পোস্টটি শেয়ার করুন

এ ধরনের আরো খবর

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By SISA HOST