খবর২৪ঘন্টা নিউজ ডেস্ক: ভারতের সঙ্গে যখন চীনের দোটানা তুঙ্গে তখনই বাংলাদেশের ৯৭ শতাংশ পণ্য বিনা শুল্কে রফতানির সুযোগ দেয় চীন। তবে চীনের দেয়া এমন সুবিধাকে ভারতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে ‘খয়রাতি’ উল্লেখ করে যে খবর প্রকাশ করা হয়েছে, সেটা ‘ছোট মানসিকতার পরিচয়’ বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
তিনি বলেন, এটা খয়রাতি নয়। তাছাড়া এই বিষয়ে ভারত সরকার কোনো কিছু বলেনি। তবে দেশটির কয়েকটি পত্রিকা আপত্তিকর ভাষায় মন্তব্য করেছে। তারা এমন শব্দ ব্যবহার করেছে যা কোনোভাবেই ব্যবহার করা উচিত নয়।
তিনি বলেন, এ বিষয়ে ভারতীয় কয়েকটি পত্রিকার প্রতিবেদন আমাদের নজরে এসেছে। চীনের দেয়া সুবিধা সম্পর্কে যে শব্দের ব্যবহার তারা করেছে তা একেবারেই অগ্রহণযোগ্য। তবে এর বিরুদ্ধে আমরা কোনো ব্যবস্থা নিতে চাই না বলেও জানান মন্ত্রী।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, চীন যে সুবিধা দিয়েছে তা আমাদের কূটনৈতিক সম্পর্কের দীর্ঘদিনের ফসল। অনেকদিন ধরেই আমরা এই সুবিধা চীনের কাছে চেয়ে আসছিলাম।
ড. মোমেন বলেন, আমরা চীন এমনকি প্রতিবেশী ভারতের কাছেও এ ধরনের সুবিধা চেয়েছি। চীন খুবই উপযুক্ত সময়ে অন্যান্য এলডিসিভুক্ত দেশগুলোর সাথে বাংলাদেশকে এই সুবিধা দিয়েছে। চীনের সাথে আমাদের বাণিজ্যিক ঘাটতি অত্যন্ত বেশি। আশা করি আট হাজারের বেশি পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা সেই ঘাটতি কিছুটা হলেও কমিয়ে আনবে।
উল্লেখ্য, এশিয়া প্যাসিফিক ট্রেড এগ্রিমেন্টে চীনে ৩০৯৫টি বাংলাদেশ পণ্য শুল্কমুক্ত। এবার নতুন করে ছাড় দেওয়ায় চীনে শুল্কহীন হল ৮২৫৬টি বাংলাদেশি পণ্য। চীন সরকার জানিয়েছে, স্বল্পোন্নত দেশের আর্থিক উন্নয়নে সুবিধা দেওয়া হয়েছে। তবে শুল্ক ছাড় ছাড়াও বাংলাদেশে বিনিয়োগও বাড়িয়েছে চীন।
মাসখানেক আগে কোভিড-১৯ নিয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং আলোচনার কথাও এক প্রকার আফসোসের সুরে প্রকাশ করেছে ভারতীয় গণমাধ্যম।
খবর২৪ঘন্টা/নই