1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
করোনা রোগীকে ‘চলে যেতে চাপ দিচ্ছে’ ইউনাইটেড - খবর ২৪ ঘণ্টা
বৃহস্পতিবার, ১ জানয়ারী ২০২৫, ১২:৪৯ পূর্বাহ্ন

করোনা রোগীকে ‘চলে যেতে চাপ দিচ্ছে’ ইউনাইটেড

  • প্রকাশের সময় : শনিবার, ৩০ মে, ২০২০

খবর২৪ঘন্টা নিউজ ডেস্ক: রাজধানীর গুলশানে বেসরকারি ইউনাইটেড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত এক রোগীকে অন্য কোথাও চলে যেতে চাপ দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। রাজধানীর কুড়িল চৌরাস্তা এলাকার বাসিন্দা সুলতান মিয়া নামে ওই রোগী কোভিড-১৯ সংক্রমণ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে এই হাসপাতালে ভর্তি হন।

শুক্রবার রাতে সুলতান মিয়া গণমাধ্যমকে জানান, সপ্তাহখানেক আগে তার জ্বর আসে। জ্বর না কমা এবং সঙ্গে শ্বাসকষ্ট বাড়তে থাকায় বুধবার ইউনাইটেড হাসপাতালে কোভিড-১৯ পরীক্ষার জন্য নমুনা দেন। পরীক্ষায় কোভিড-১৯ সংক্রমণ নিশ্চিত হলে বৃহস্পতিবার এখানে ভর্তি হন তিনি। তাকে ‘অবজারভেশন ওয়ার্ডে’ রাখা হয়েছে।

‘তবে আইসিইউ সাপোর্ট লাগবে জানিয়ে বৃহস্পতিবার রাত থেকেই আমাকে অন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য তাড়া দেওয়া হচ্ছে’ বলে অভিযোগ করেন এই রোগী।

তিনি আরও বলেন, ‘এখানে মুখে অক্সিজেন মাস্ক লাগিয়ে আছি। মাস্ক খুললেই শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়। এ অবস্থায় আমাকে চলে যেতে বলছে। আমি কোথায় যাব? অক্সিজেন লাগানো থাকলে কিছুটা ভালো বোধ করি।’

সুলতান মিয়ার স্ত্রী ফারহানা তাবাসসুম অভিযোগ করেন, ইউনাইটেড হাসপাতাল থেকে তাকে ‘কিছুক্ষণ পরপর ফোন দেওয়া হচ্ছে’ রোগীকে অন্য কোথাও নিয়ে যাওয়ার জন্য। তবে দিনভর ঢাকার সবগুলো হাসপাতাল ঘুরেও তিনি আইসিইউর ব্যবস্থা করতে পারেননি বলে জানান তিনি।

কান্নাজড়িত কণ্ঠে ফারহানা তাবাসসুম বলেন, ‘একটু পরপর ফোন দিচ্ছে। বলছে আপনাদের রোগী নিয়ে যান। আমরা রাখতে পারব না। ওরা বলেছে, কোনো রিস্ক নিতে পারবে না। এই বিপদের মধ্যে আমি কোথায় যাব? সে একটা মুহূর্ত অক্সিজেন ছাড়া থাকতে পারে না। দিনভর স্কয়ার, অ্যাপোলা, ঢাকা মেডিকেল, কুয়েত মৈত্রী, কুর্মিটোলা, রিজেন্ট, মুগদা হাসপাতাল সবখানে খুঁজেছি। কিন্তু কোথাও আইসিইউ পাইনি। করোনা রোগী শুনলেই চিকিৎসকরা রাখতে রাজি হয় না।’

এ বিষয়ে ইউনাইটেড হাসপাতালের চিফ অব কমিউনিকেশন অ্যান্ড বিজনেস ডেভেলপমেন্ট ডা. সাগুফা আনোয়ার গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ওই রোগী ওয়ার্ডে আছে। সেখানেই তাকে অক্সিজেন দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তার আইসিইউ সাপোর্ট লাগবে। আমাদের আইসিইউ বেড একটাও খালি নেই।’

তিনি আরও বলেন, ‘করোনা রোগীর অবস্থা খারাপের দিকে গেলে তাদের আইসিইউতে নিতে হয়। তাই যাদের আইসিইউ প্রয়োজন তাদের বলছি, যেকোনো হাসপাতালে আইসিইউ পেলে শিফট করতে। আমাদের আইসিইউ ফুল। কোনো খালি নেই।’

এর আগে বুধবার রাতে ইউনাইটেড হাসপাতালের মূল ভবনের বাইরে করোনা আইসোলেশন ইউনিটে অগ্নিকাণ্ডে প্রাণ হারান পাঁচজন রোগী। পরে তদন্তে হাসপাতালের অগ্নিনির্বাপণে নানা অব্যবস্থাপনার প্রমাণ পাওয়ার কথা জানায় ফায়ার সার্ভিস।

অগ্নিকাণ্ডের পরদিন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে অভিযোগ করেন, হাসপাতালের ওই অংশে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল ‘অপ্রতুল’।

তার আগে গত ১৪ এপ্রিল একজন মুমূর্ষু রোগীর লাইফসাপোর্ট খুলে ছাড়পত্র ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল ইউনাইটেড হাসপাতালের বিরুদ্ধে।

বিশ্ব ব্যাংকের জ্যেষ্ঠ স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ জিয়া হায়দার অভিযোগ করেছিলেন, কোভিড-১৯ শনাক্ত হওয়ার পর তার মায়ের ক্ষেত্রে এই কাজটি করেছে বেসরকারি এই হাসপাতাল। পরে কুয়েত-মৈত্রী হাসপাতালে ভর্তি করা হয় জিয়ার মাকে। গত ২৩ এপ্রিল সেখানেই তার মৃত্যু ঘটে।

এদিকে, এপ্রিলেই ইউনাইটেড হাসপাতালের চিকিৎসক-নার্সসহ পাঁচজনের করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়লে তা গোপন করার চেষ্টার অভিযোগ ওঠে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। ওই হাসপাতালেরই অন্তত দুজন চিকিৎসক এ অভিযোগ করেছিলেন।

খবর২৪ঘন্টা/নই

পোস্টটি শেয়ার করুন

এ ধরনের আরো খবর

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By SISA HOST