খবর২৪ঘণ্টা ডেস্ক: ক্যাসিনো ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে রাজধানীর গেন্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এনামুল হক ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুপন ভূঁইয়াকে আটক করেছে র্যাব।
মঙ্গলবার সকালে (২৪ সেপ্টেম্বর) সকালে তাকে আটক করা হয়েছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে নগদ ১ কোটি ৫ লাখ টাকা এবং বিপুল পরিমাণ স্বর্ণ উদ্ধার করেছে।
এদিকে অবৈধ ক্যাসিনোর সঙ্গে যুবলীগ নেতাদের জড়িত থাকার তথ্য প্রকাশ্যে আসার পর খোঁজ মিলছে না চার নেতার। তারা হলেন- ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট, যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক কাজী আনিসুর রহমান, মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান বকুল এবং ঢাকা দক্ষিণ যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও মতিঝিলের ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোমিনুল হক সাঈদ।
জানা গেছে, এই চার নেতাকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। কার্যালয়েও তারা যাচ্ছেন না, বাড়িতেও তাদের পাওয়া যাচ্ছে না বলে যুবলীগের কর্মীরা জানিয়েছেন।
মূলত দুর্নীতিবিরোধী অভিযান চালিয়ে যেতে এবং অপকর্মকারীদের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর মনোভাব অত্যন্ত কঠোর- এই বার্তা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের কাছ থেকে আসার পর আত্মগোপনে গেছেন যুবলীগের প্রভাবশালী চার নেতা।
যুবলীগের কর্মীরা বলছেন, বিভিন্ন ক্লাবে ক্যাসিনো চালানোর সঙ্গে জড়িত থাকায় গ্রেপ্তার এড়াতে গা ঢাকা দিয়েছেন এই নেতারা।
সম্রাটের ঘনিষ্ঠ একজন বলেন, সম্রাট ভাই শনিবার সকাল থেকেই অফিসে আসেন না। কোথায় আছেন, কেউ বলতে পারছেন না। আমরা অফিসে না পেয়ে বাসয় গিয়েছিলাম, ওখানেও ভাই নাই।
কাকরাইলের যুবলীগ কার্যালয়ে রোববার সন্ধ্যায় গেলে কার্যালয়ের পাহারাদার বলেন, স্যার (সম্রাট) সকালে বের হয়েছেন, এখনও আসেননি।সোমবার সন্ধ্যায় যোগাযোগ করলেও এইকই কথা বলেন ওই পাহারাদার।
এদিকে যুবলীগের আরেক নেতা কাজী আনিসুর রহমানকেও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আনিস যুবলীগের দপ্তর সম্পাদক। তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, দরপত্র থেকে কমিশন এবং সংগঠনের বিভিন্ন কমিটিতে পদ-বাণিজ্য করে বিপুল অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার বিকাল থেকে খবর নেই কাজী আনিসেরও। দলীয় কার্যালয়ে তিনি যাচ্ছেন না, বাড়িতেও নেই তিনি।
একইভাবে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান বকুলকেও। ইয়ংমেনস ক্লাবের সভাপতি খালেদ ভূঁইয়ার সব ধরনের কাজ দেখভাল করতেন বকুল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দক্ষিণের এক নেতা বলেন, ফকিরাপুলের ক্লাবের টাকা উঠানো থেকে শুরু করে চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজিসহ খালেদের সকল কাজের সঙ্গে বকুল জড়িত।
এছাড়া ঢাকা দক্ষিণ যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোমিনুল হক সাঈদও এখন পলাতক। বলা হচ্ছে, ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের ক্যাসিনোটি তার নিয়ন্ত্রণাধীন ছিল। সাঈদের মোবাইল ফোনও বন্ধ।
যুবলীগের এক নেতা গণমাধ্যমকে বলেন, সাঈদ সিঙ্গাপুরে গিয়েছিলেন, শনিবার তার ফেরার কথা ছিল। কিন্তু অভিযানের কথা শুনে আর আসেনি।
খবর২৪ঘণ্টা, এমকে