খবর২৪ঘণ্টা ডেস্ক: কাশ্মিরে ১৪৪ ধারা ভেঙে মিছিলের চেষ্টার সময় পুলিশের গুলিতে ৬জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া কাশ্মিরজুড়ে চলছে গণগ্রেপ্তার। সাবেক দুই মুখ্যমন্ত্রীসহ দুদিনে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৪ শতাধিক মানুষকে।
ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিবৃতি, পরিস্থিতির উন্নতি হলে আবারও রাজ্যের মর্যাদা ফিরে পেতে পারে কাশ্মির। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কাশ্মিরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের সিদ্ধান্ত আদালতে বাধার মুখে পড়তে পারে।
নূন্যতম প্রতিবাদ করারও সাহসটুকু কেড়ে নেয়া হয়েছে কাশ্মীরিদের। তারপরও সেনা টহল উপেক্ষা করে বিজেপি সরকারের কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে এই বিক্ষোভ।
ভারতের গণমাধ্যম বলছে, সাবেক দুই মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও দুদিনে এ পর্যন্ত কারাগারে মানবাধিকারকর্মীসহ অন্তত ৪শ কাশ্মীরি। বিষয়টি নিয়ে উত্তেজনা ছিলো খোদ
লোকসভাতেও। বিরোধীদের তোপের মুখে এ বিষয়ে মুখ খোলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও। সাবেক মুখ্যমন্ত্রী এবং লোকসভার বর্তমান এমপি ফারুক আবদুল্লাহর অভিযোগ তাকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে। ভারতের সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়েছে চীনও।
রাষ্ট্র কোন প্রদেশ থেকে জোর করে এভাবে রাজ্যের মর্যাদা কেড়ে নিতে পারে না। এটি জনসংখ্যাভিত্তিক ধারার প্রতি অবমাননা কিনা তা একটি মৌলিক প্রশ্ন। আমার মনে হয়, আদালত নেতিবাচক উত্তরই দেবে। সংবিধান বিশেষজ্ঞ সঞ্জয় কুমার সিং জানান, ৩৭০ অধ্যাদেশটি জম্মু ও কাশ্মিরের সাথে কেন্দ্রীয় সরকারের মধ্যকার একটি সেতুবন্ধন ছিল। যদি বাড়িয়ে বলি, তাহলে বলবো এটি বাকি বিশ্বের সাথে ভারতের সেতুবন্ধন ছিলো। এটি দেখিয়েছিলো ভারত প্রকৃতই গণতন্ত্রের দেশ। কোন পুলিশি বা স্বৈরাচারি রাষ্ট্র নয়। এখন যদি আপনি এটিকে ধ্বংস করেন, তাহলে আপনি জানেন না নিজের কতটা ক্ষতি করছেন আপনি।
জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন মুখপাত্র রুপার্ট কলভাইল জানান, ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরে নতুন করে আরোপ করা বিধিনিষেধ মানবাধিকার পরিস্থিতির অবনতি ঘটাবে বলে আমরা আশঙ্কা করছি। টেলিযোগাযোগ বন্ধ, রাজনৈতিক নেতাদের আটক করা হয়েছে আর শান্তিপূর্ণ সমাবেশে বাধা দেয়া হয়েছে। এধরনের বিধিনিষেধ সেখানকার মানুষ ও তাদের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের জম্মু ও কাশ্মিরের ভবিষ্যত ইস্যুতে গণতান্ত্রিক বিতর্কে অংশ
খবর২৪ঘণ্টা, জেএন