1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
খালেদার রিটের আদেশ আজ - খবর ২৪ ঘণ্টা
শনিবার, ১৮ জানয়ারী ২০২৫, ০১:৪৮ পূর্বাহ্ন

খালেদার রিটের আদেশ আজ

  • প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০১৮

খবর২৪ঘণ্টা ডেস্ক: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থিতা ফিরে পেতে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার দায়ের করা রিটের শুনানি শেষ হয়েছে। আজ আদেশ দেবেন হাইকোর্ট। গতকাল বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবির সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এ রিটের শুনানি নিয়ে আজ আদেশের দিন ধার্য করেন। বেলা সাড়ে দশটা থেকে ১টা ১০ মিনিট পর্যন্ত শুনানি চলে। পরে বেলা ২টা ১০ মিনিটে শুনানি শুরু হয়ে চলে ৩টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত। এরপর আদালত আদেশের দিন ধার্য করেন।

আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী। তাকে সহায়তা করেন ব্যারিস্টার নওশাদ জমির ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

তাকে সহায়তা করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিত ঘোষ।
রিট আবেদনের শুনানি চলাকালে এজলাসে উপস্থিত ছিলেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের ‘ইলেকশন এক্সপার্ট মিশনের’ আইনজ্ঞ ইরিনি মারিয়া গোনারি।

শুনানিতে খালেদা জিয়ার আইনজীবী বলেন, সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৬৬ (২) (ঘ) রিট আবেদনকারীর জন্য প্রযোজ্য হবে না। এই অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আদালত বলতে বিচারিক আদালতের রায় হবে না। কারণ বিচারিক আদালতের রায়ই চূড়ান্ত নয়। আরো দুটি পর্যায় রয়েছে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তির জন্য। সর্বোচ্চ আদালতে দণ্ডিত ও সাজা না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচনে অংশ নিতে বাধা নেই। দুটি মামলায় বিচারিক আদালত সাজা হয়েছে। একটিতে হাইকোর্টে সাজা হয়েছে। কিন্তু দণ্ড ও সাজা চূড়ান্ত হবে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে। যেহেতু রিট আবেদনকারী (খালেদা জিয়া) ইতিমধ্যে আপিল করেছেন এবং এ আপিল বিচারাধীন সেহেতু তিনি নির্বাচনে অংশ নেয়ার যোগ্য।

এ জে মোহাম্মদ আলী বলেন, বিচারিক আদালত ও হাইকোর্টে দুর্নীতির মামলায় ড. মহিউদ্দীন খান আলমগীর ও মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার সাজা হয়েছিল বিচারিক আদালতে। নৈতিক স্খলনজনিত কারণে যদি প্রার্থিতা বাতিল হয় তাহলে তারা কিভাবে সংসদ সদস্য ও মন্ত্রী পদে বহাল ছিলেন? শুধু তাই নয় তারা দুইজন পুরো পাঁচ বছর স্বপদে বহাল ছিলেন?
আদালতের উদ্দেশ্যে এ জে মোহাম্মদ আলী বলেন, এটা এমন একটা আদালত যার এখতিয়ার আছে রিট আবেদনকারীকে নির্বাচনে লড়ার সুযোগ দেয়ার। কারণ এ আদালত সাংবিধানিক আদালত। সংবিধানের ব্যাখ্যা দেয়ারও এখতিয়ার আছে।

রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সংবিধানের ৬৬ (২) (ঘ) শুনানিতে পড়া শেষ করে বলেন, এ রিট আবেদন চলতে পারে না। পাঁচজন দণ্ডিত ব্যক্তি দণ্ড স্থগিত চেয়ে আবেদন করলে সম্প্রতি হাইকোর্ট বলেছেন, দণ্ডিতদের দণ্ড স্থগিত হতে পারে কিন্তু সাজা স্থগিত হয় না। ফলে আপিল করে স্থগিতাদেশ পেলেও দণ্ডিত ব্যক্তি নির্বাচন করতে পারবেন না। এই আদেশ আপিলেও বহাল রয়েছে। তিনি সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ বনাম রাষ্ট্র মামলার উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, এ মামলায় তিনি তার সাজার কারণে সংসদ সদস্য পদে অযোগ্য হয়েছিলেন।

দণ্ডিতরা আপিল করে স্থগিতাদেশ পেলো আর নির্বাচনে অংশ নিলো এটা সংবিধানের ৬৬ (২) (ঘ) এর পরিপন্থী। এখন এ রিটেও যদি আবেদনকারীকে নির্বাচনের অংশ নেয়ার আদেশ দেয়া হয় তাহলে সেটা হবে সংবিধানের লঙ্ঘন। নৈতিক স্খলনজনিত অপরাধে দণ্ডিত ব্যক্তি নির্বাচনে অংশ নিলে সাধারণ মানুষের মধ্যে বিরূপ প্রভাব পড়বে। অন্যদিকে দণ্ডিতরা উৎসাহিত হবে। তারা মনে করবে দণ্ডিত হয়েছি তো কি হয়েছে উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশ পেলেই হবে।
তখন আদালত বলেন, আপিল চলাকালীন সময়ে হলে আপনার অবস্থান কি? অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, সংবিধানের ৬৬ (২) (ঘ) এর দুটি অংশ রয়েছে। একটি হলো নৈতিক স্খলনের অপরাধে দণ্ডিত হলে কোনো ব্যক্তি পদে থাকতেও পারবেন না আবার নির্বাচনে প্রার্থীও হতে পারবেন না।

গত সোমবার তিনটি আসনে প্রার্থিতা বাতিল করে নির্বাচন কমিশনের দেয়া সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদনটি দায়ের করা হয়েছিল। রিট আবেদনটি দাখিল করেন ব্যারিস্টার নওশাদ জমির।
শুনানি শেষে খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল সাংবাদিকদের বলেন, ‘রিটার্নিং কর্মকর্তারা ও নির্বাচন কমিশন আপিলে বেআইনিভাবে তার তিনটি মনোনয়নপত্র বাতিল করেছিল। এর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হলে শুনানি শেষে কাল (আজ বুধবার) আদেশের দিন ধার্য করেছেন।’
তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ন্যায়বিচারের জন্য উচ্চ আদালতে এসেছেন। আমরা আশা করছি, বেগম খালেদা জিয়া ন্যায়বিচার পাবেন এবং জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী আগামী সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন।’

শুনানিতে ইইউর আইনজ্ঞ
রিট আবেদনের শুনানি চলাকালে এজলাসে উপস্থিত ছিলেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের ‘ইলেকশন এক্সপার্ট মিশনের’ আইনজ্ঞ ইরিনি মারিয়া গোনারি। এজলাসের শেষ সারিতে দাঁড়িয়ে তিনি উভয়পক্ষের আইনগত যুক্তি ও আদালতের পরিবেশ পর্যবেক্ষণ করেন। নির্বাচন বিশেষজ্ঞ হিসেবে এরআগে ইরিনি মারিয়া গোনারি ইইউর রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন।

এর আগে গত ৮ই ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনে আপিলের শুনানির পর সংখ্যাগরিষ্ঠের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ফেনী-১, বগুড়া-৬ ও বগুড়া-৭ আসনের মনোনয়নপত্র বাতিল করে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বে অপর তিন কমিশনার মনোনয়ন বাতিলের পক্ষে রায় দিলেও কমিশনের সদস্য মাহবুব তালুকদার মনোনয়ন বহালের পক্ষে রায় দেন। ফলে সংখ্যাগরিষ্ঠ সিদ্ধান্তে মনোনয়ন বাতিল হয়ে যায়। গতকাল রিটার্নিং কর্মকর্তার মনোনয়ন বাতিলের সিদ্ধান্ত ও আপিলে নির্বাচন কমিশনের আদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদনটি দায়ের করেন তার আইনজীবীরা।

খবর২৪ঘণ্টা, জেএন

পোস্টটি শেয়ার করুন

এ ধরনের আরো খবর

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By SISA HOST