চাঁপাই ব্যুরো: শুক্রবার রাতে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট ফুটানী বাজারে বিজিবি’র হঠাৎ লাঠি চার্জে ২জন বিজিসহ ৫জন আহত হওয়ায় বিজিবি ও এলাকাবাসির পাল্টা-পাল্টি বক্তব্য দিয়েছে। বিজি’র ৫৯ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক রাশেদ আলী জানান, গত অক্টোবর থেকে ভোলাহাটের ভারত সীমান্তে চোরাচালানির ভয়াবহতা বৃদ্ধি পাওয়ায় বিজিবি’র টহল তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে। তারপরও গত ১৪ ডিসেম্বর ২০০ মেইন পিলারের ২এস এর নিকট ভারতের তার কাঁটার বেড়া কেটে ফেলে চোরাকারবারিরা। তাছাড়াও এলাকা সুরক্ষা রাখতে স্থানীয় চেয়ারম্যান ইয়াজ দানী জর্জকে মাইকিং করে শূন্য রেখার পাশে এলাকাবাসিকে যেতে নিষেধ করা হয়। তারপর ও চোরাকারবারিরা বাঁশের মই তৈরী করে তার কাঁটার উপর দিয়ে ভারত থেকে চোরাই পথে গরু নিয়ে আসছে। এমন চলতে থাকলে সীমান্তে যে কোন সময় উভয় দেশের শান্ত পরিবেশ অশান্ত হয়ে উঠবে। যে কোন সময় ভারতীয় সীমান্ত রক্ষি বাহিনীর গুলিতে বাংলাদেশের নাগরিক নিহত আহত হওয়ার আশংকায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার স্বার্থে ১৫ ডিসেম্বর(শুক্রবার) রাতে বিজিবি’র টহল দল তালিকাভূক্ত চোরাকারবারিদের চোরাই কাজে ব্যবহারকৃত উপকরণ উদ্ধারে তৎপর হয় বিজিবি। সীমান্ত সুরক্ষার স্বার্থে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে অতিরিক্ত বিজিবি দিয়ে সীমান্ত টহল বাড়ানো হয়। এরি ধারা বাহিকতায় এ দিন রাতে কুখ্যাত তালিকাভূক্ত চোরাকারবারি উপজেলার সীমন্তবর্তি হোসেনভীটা গ্রামের সেরাফত আলীর ছেলে জাকিরের(৪০) বাড়ী তল্লাশি করলে তার পরিবারের নারী পুরুষ বিজিবির উপর চড়াও হয়। ফলে বিজিবি পরিস্থিত নিয়ন্ত্রণে রাখতে ফুটানী বাজারের আসে। সেখানে মানুষ বিজিবির কাজে বাধা দানে চেষ্টা করলে বিজিবি লাঠি চার্জ করে বাজারের মানুষকে ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় এলাকাবাসি ইট দিয়ে বিজিবি’র হাবিলদার মন্জুরুল ও বদিউ কে আঘাত করলে মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন জায়গাতে আঘাত পান। এ ব্যাপারে সরকারী কাজে বাধা দানের জন্য ১১জনকে আটক করা হয়। রাঝশাহী সেক্টর কমান্ডার ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বিজয় দিবসের স্মানার্থে ৯জনকে মুক্ত করেন। অপর ২জন জাকির ও একই গ্রামেরসেরাজের ছেলে আঃ হালিম(৩০)কে বিভিন্ন অপরাধে অভিযুক্ত করে মামলা প্রদান করা হয়। অপরদিকে এলঅকাবাসি অভিযোগ করে বলেন, এ দিন রাতে ফুটানী বাজারে উপস্থিত লোকজন কিছু বুঝে উঠার আগেই বিজিবি বড় বড় লাঠি, রড নিয়ে অর্তকিত আক্রমণ চালিয়ে রাস্তায়, দোকানে, পথচারিদের এমন কি ছোট-বড় লোকজনকে বেধড়ক পিটাতে থাকে। উপস্থিত লোকজন বিজিবির এ আক্রমনে বাজার ছেড়ে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে ছুটাছুটি করতে থাকে। তারা বলেন, বিজিবি’র লাঠি চার্জে শতাধীক নারী পুরুষ আহত হয়েছে। তবে ভোলাহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত চিকিৎসক ইউনুস আলী জানান, বিজিবি’র লাঠি র্চাজের কথা বর্লে ৩জন চিকিৎসা নিয়েছেন। তাদের লাঠির আঘাত দেখা গেছে বলে জানান। এদিকে এলাকাবাসি অভিযোগ করেন, বাঁকী আহতরা স্থানীয় ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। বিজিবি কেন এ আক্রমন চালিয়েছে তা কারো জানা নাই বলে জানান। এ ব্যাপারে উপজেলা চেয়ারম্যান বলেন তিনি এ সময় ঘটনাস্থলে ছিলেন, বিজিবি এলঅকাবাসির উপর চড়াও হওয়া একটি অপ্রীতিকর ঘটনা। আগামীতে যেন এ ধরণের ঘটনার পূনরাবৃত্তি না ঘটে সে জন্য বিজিবি ও এলাকাবাসিকে শর্তক থ্কাার অনুরোধ করেছেন। বিজিবির ৫৯ ব্যাটালিয়ন অধিনায় রাশেদ আলী জানান, জনগণের শান্তির জন্য সীমান্ত সুরাক্ষায় অপ্রীতিকরণ ঘটনা এড়াতে অতিরিক্ত বিজিবি মোতায়ন করা হয়েছে। এলাকাবাসিও শান্তি রক্ষায় বিজিবিকে প্রতিপক্ষ না ভেবে সহায়তা করবেন বলে দাবী করেন।
খবর২৪ঘণ্টা.কম/রখ