খবর২৪ঘণ্টা.কম, ডেস্ক:গাইবান্ধায় পৃথক স্থান থেকে উর্মি বেগম (২০) ও ফুলুরানী বেগম (৪০) নামে দুই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার (২১ এপ্রিল) দুপুরে জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার গুমানীগঞ্জ ইউনিয়নের বালুপাড়া গ্রাম থেকে উর্মি ও সাদুল্লাপুর উপজেলার ফরিদপুর ইউনিয়নের ভাজাকালাই গ্রাম থেকে ফুলুরানীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
উর্মি বালুপাড়া গ্রামের মনিম মিয়ার স্ত্রী ও ফুলুরানী ভাজাকালাই গ্রামের গোফফার মিয়ার স্ত্রী।
নিহত গৃহবধূ উর্মির পরিবারের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক কলহ চলে আসছিল। এ কারণে বিভিন্ন সময় নির্যাতন করা হয় উর্মিকে। সকালে পাশবিক নির্যাতনে তার মৃত্যু হয়। পরে মরদেহ বাথরুমে ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা বলে প্রচার করে তার স্বামী মনিম।
গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবর রহমান জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
তিনি আরো জানান, নিহত গৃহবধূর পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। ঘাতক স্বামী মনিমকে আটকের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
অপরদিকে, ফুলুরানীর পরিবারের অভিযোগ, কিছুদিন থেকে স্বামী গোফফারের সঙ্গে তারও পারিবারিক কলহ চলে আসছিল। এর জের ধরে শুক্রবার (২০ এপ্রিল) রাতে ফুলুরানীকে পিটিয়ে হত্যা করে তার মরদেহ স্থানীয় একটি নদীর পাশে ধান ক্ষেতে ফেলে রাখে। শনিবার সকালে স্থানীয় জেলেরা মাছ ধরতে গিয়ে মরদেহটি দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
সাদুল্লাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বোরহান উদ্দিন জানান, দুপুরে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য গোফফার থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে এলে তার কথায় অসঙ্গতি থাকায় তাকে আটক করা হয়।
এ ঘটনায় থানায় অপমুত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
খবর২৪ঘণ্টা.কম/নজ