নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহীতে বিএনপির সাবেক এক নেতাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) দিনগত রাত ১টার দিকে পবা উপজেলার ভুগরইল এলাকায় নিজ বাসায় তাকে গুলি করা হয়।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) বেলা পৌনে ৩টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে তিনি মারা গেছেন। রামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ইনচার্জ ডা. শংকর কে বিশ্বাস বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহতের নাম মো. আলাউদ্দিন (৫৫)। তিনি পবা উপজেলার ভুগরইল এলাকার জমির উদ্দিনের ছেলে ও নওহাটা পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি।
নিহতের ছেলে সালাহউদ্দিন মিন্টু বলেন, পূর্ব শত্রুতার জেরে আমার বাবাকে হত্যা করা হয়েছে। মঙ্গলবার দিনগত রাতে নেতৃত্ব শিপলু, সেহাগ, ওবায়দুল্লাহ ও আবদুল্লাহসহ ৫ বাইক নিয়ে আসে। তারা আমাকে হত্যার জন্য আসে। দরজা আমার বাবাকে খোলে। এ সময় তারা সরাসরি আমার বাবাকে গুলি করে। গুলিটি তার কোমরে লেগেছিল। এতে বাবা গুরুতর আহত হলে আমরা তাকে হাসপাতালে ভর্তি করি। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা গেছেন।
সালাহউদ্দিন মিন্টু জানান, তাদের এলাকায় দুপক্ষের টাকা-পয়সা নিয়ে একটা বিরোধ ছিল। এর মীমাংসার জন্য রাতে উভয়পক্ষ রাজশাহীর এয়ারপোর্ট থানায় বসেছিল। একপক্ষের একটি ছেলে তার ‘ছোট ভাই। এ জন্য তিনিও গিয়েছিলেন। থানায় মীমাংসাও হয়ে যায়। এরপর তিনি বাড়ি ফেরেন। এর আধাঘণ্টা পরই তার বাড়ি লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করা হয়। চিকিৎসার ব্যস্ততা শেষে মিন্টু মামলা করবেন বলেও জানিয়েছিলেন।
রামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ইনচার্জ ডা. শংকর কে বিশ্বাস বলেন, তাকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে হাসপাতালের ৪ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। এরপর তাকে অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয়। সেখানে অপারেশন চলা অবস্থায় মারা গেছেন।
এ বিষয়ে এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফারুক হোসেন জানান, ‘দুটিপক্ষ থানায় একটি আপস-মীমাংসার জন্য বসেছিল। তারপর নাকি একপক্ষ গিয়ে মিন্টুর বাড়িতে গুলিবর্ষণ করেছে। ঘটনাস্থলটা পড়েছে শাহমখদুম থানা এলাকায়। শাহমখদুম থানা-পুলিশ ব্যবস্থা নেবে।থ
শাহমখদুম থানার ওসি মাহবুব আলম বলেন, ‘হাসপাতালে অপারেশন থিয়েটারে আলাউদ্দিন মারা গেছেন বলে শুনলাম। এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হবে। এ পর্যন্ত কেউ আটক হয়েছেন কি না জানতে চাইলে ওসি বলেন, ‘আমরা তদন্তের স্বার্থে এটা বলছি না।
/বিএ