ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য উড়িষ্যায় ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় হু হু করে বাড়ছে নিহতের সংখ্যা। এতে এখন পর্যন্ত ২৩৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন নয় শতাধিক মানুষ।
ভারতীয় সংবাদসংস্থা এএনআইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উড়িষ্যায় মুখ্যসচিব প্রদীপকুমার জেনা জানিয়েছেন বালাসোরে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৩৩ জনে দাঁড়িয়েছে। একই সঙ্গে আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৯০০ জন।
শুক্রবার (২ জুন) স্থানীয় সময় রাত ৭টা ২০ মিনিটে বালাসোর জেলার বাহাঙ্গাবাজার স্টেশন এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। উড়িষ্যায় মুখ্য সচিব প্রদীপ জেনা বলেছেন, বালাসোর জেলায় ২ শতাধিক অ্যাম্বুলেন্স ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে।
খবরে বলা হয়েছে, ২০০৪ সালের পর বিশ্বে এটিই সবচেয়ে মারাত্মক ট্রেন দুর্ঘটনা।
প্রত্যক্ষদর্শীদের আশঙ্কা, উদ্ধারকাজ যত এগোনোর সঙ্গে সঙ্গে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়বে। দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রেনে অনেক যাত্রী আটকে রয়েছেন বলেও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন। গভীর রাতে ট্রেনের দরজা ভেঙে উদ্ধারকাজ চালানো হচ্ছে। উদ্ধারকাজে সেনাবাহিনীও যোগ দিয়েছে।
রাতে হাওড়া এবং শালিমার স্টেশনে ভিড় করেছেন দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রেনের যাত্রীদের উদ্বিগ্ন স্বজনরা। দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারকে এককালীন ১০ লাখ টাকা, গুরুতর আহতদের ২ লাখ টাকা এবং অল্প আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
এর আগে শুক্রবার দুপুর সোয়া ৩টায় হাওড়ার অদূরে শালিমার স্টেশন থেকে ছেড়েছিল করমণ্ডল এক্সপ্রেস। প্রায় ৪ ঘণ্টা পরে উড়িষ্যার বোলেশর বাহানগা বাজারের কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ২৩ বগির ট্রেনটি।
এদিকে দুর্ঘটনাকবলিত ট্রেনটিতে বাংলাদেশি যাত্রী থাকতে পারে। চিকিৎসার জন্য অনেক বাংলাদেশি এই ট্রেনে কলকাতা থেকে চেন্নাই যাতায়াত করেন। দুর্ঘটনায় কোনো বাংলাদেশি থাকলে তাদের তথ্য জানতে হটলাইন (+৯১৯০৩৮৩৫৩৫৩৩ হোয়াটসঅ্যাপ) নম্বর দিয়েছে কলকাতার বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন।
গত শুক্রবার রাতে উপ-হাইকমিশন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই হটলাইনের কথা জানিয়েছে।
বিএ/