আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, রাষ্ট্রপতি পদে বসার যোগ্যতা আমার নেই।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি কে হচ্ছেন তা নিয়ে সরকার ও দলের ভেতরে নানা আলোচনা চলছে। সে আলোচনায় স্থান পাচ্ছে হ্যাভিওয়েটদের কয়েকজনের নাম। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সরকারের সড়ক পরিবহনমন্ত্রীর নামও শোনা যাচ্ছে, এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, পরবর্তী রাষ্ট্রপতি কে হবেন, তা সময়ই বলে দেবে। তবে আমার নিজের ওই পদে যাওয়ার যোগ্যতা নেই।
নারী কেউ হবেন কিনা এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সেটাও জানি না।
এর আগে, আগামী ২৩ এপ্রিল শেষ হচ্ছে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের মেয়াদ শেষ হবে।
২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল দেশের ২০তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন মো. আবদুল হামিদ। রাষ্ট্রপতি হিসেবে সফলতার সঙ্গে পাঁচ বছর দায়িত্ব পালনের পর তিনি ২০১৮ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় মেয়াদে ২১তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হোন। বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী একজন রাষ্ট্রপতি দুই মেয়াদের বেশি দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না।
সংবিধানের ৫০ অনুচ্ছেদে স্পষ্ট বলা আছে, একজন রাষ্ট্রপতি কার্যভার গ্রহণ থেকে পরবর্তী পাঁচ বছরের জন্য দায়িত্ব পালন করবেন। ধারা ৫০(৩) অনুচ্ছেদ বলছে, একাধিক হোক বা না হোক দুই মেয়াদের অধিক রাষ্ট্রপতি পদে কোনো ব্যক্তি অধিষ্ঠিত থাকতে পারবেন না।
সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপির আন্দোলন নিয়ে আমরা সতর্ক থাকব। তারা যাতে সহিংস পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে না পারে, সে ব্যাপারে আমরা নিজেদের অবস্থান পরিবর্তন করিনি। আমরা রাজপথে আছি। রাজপথ আমরা ছাড়ব না। জনগণের জানমাল রক্ষার দায়িত্ব পালন করব। গতকাল বিএনপির বৈঠক অনেক বড় হয়েছে। আমাদের আলোচনা সভাও বড় সমাবেশে রূপ নিয়েছে।
বিএনপির নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, পরের নির্বাচনে আমাদের নেতৃত্ব দেবেন শেখ হাসিনা। কিন্তু তাদের নেতা কে? গত নির্বাচনে তারা কামাল হোসেনের নেতৃত্বে নির্বাচন করেছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, গতকাল কোনো সহিংস পরিস্থিতি কোথাও হয়নি। ফরিদপুরে তাদের মিটিং থেকে পুলিশের ওপর ইটপাটকেল ছুড়েছে। বিষয়টি বেশি দূর গড়ায়নি। তারা শোভাযাত্রা করলে আমরা শান্তি সমাবেশ করবো।
জামায়াত নিষিদ্ধ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এটা আদালতের বিষয়। এ বিষয়ে আমরা সক্রিয় হওয়ার সিদ্ধান্ত নিইনি। আদালতের বিষয় দলীয় ভূমিকা যুক্তিসঙ্গত হবে না। তবে জামায়াত ছাড়া বিএনপি শক্তিহীন। বিএনপি-জামায়াত একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ।