সবার আগে.সর্বশেষ  
ঢাকামঙ্গলবার , ১১ জুলাই ২০২৩
আজকের সর্বশেষ সবখবর

স্বল্প মেয়াদি কোর্স করে ডাক্তার বনে ইসমোত আরা

নিজস্ব প্রতিবেদক
জুলাই ১১, ২০২৩ ৮:৫০ অপরাহ্ণ
Link Copied!

রাজশাহী গোদাগাড়ী উপজেলার মাটিকাটা ফুলতলা এলাকার ইসমোত আরা এইচএসসি পাস করে পল্লী চিকিৎসক হিসাবে স্বল্পমেয়াদি ছয় মাস কোর্স সম্পন্ন করে নিজেকে পরিচয় দেন ডাক্তার।

মীম মেডিকেল স্টোর এর ব্যানারে নাম ব্যবহার করেন ডাঃ মোসাঃ ইসমোত আরা এবং ব্যানারের কোনায় বসিয়ে রেখেছে ডাক্তারি রেজিস্ট্রেশন নাম্বার এস ১৩৬১ ।

গ্রামের সহজ সরল লোকজন ডাক্তার ভেবে ইসমোত আরার কাছে চিকিৎসা নিতে এসে রিতিমতো হচ্ছেন প্রতারনার শিকার। যেন দেখার কেউ নেই। তাই এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে দির্ঘদিন ধরেই চলছে তার এই প্রতারনা। এতে প্রতারিত হচ্ছে গ্রামের সহজ সরল মানুষ।

খোঁজ নিয়ে জানাযায়, ইসমোত আরা দীর্ঘদিন ধরে সাইনবোর্ড ও ভিজিটিং কার্ডে ডাক্তার লিখে প্রতারনা করে আসছে ।

ভুক্তভোগীরা অনেকেই বলেন, আমরাতো জানি তিনি ডাক্তারি পাস করেছে। আসলে সাইনবোর্ড ও ভিজিটিং কার্ড দেখে বুঝতেই পারবেনা সে মানুষের সাথে প্রতরনা করে আসছে প্রতিনিয়ত।

জানাগেছে, ইসমোত আরো সুন্দরি চেহারা দেখিয়ে টিকটক ও সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেকে ভাইরাল করতে মরিয়া। ইতি পূর্বে সে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে কূটনৈতিক টিকটক বানিয়ে এলাকায় হৈচৈ ফেলে দেন। বিতর্কিত করেছেন এ দেশের বীর মুক্তিযোদ্ধাগনদের।

এলাকার লোকজন বলেন,পল্লীচিকিৎসক তো তিনি আমাদেরকে বলেন না সাইনবোর্ডে তো ডাক্তার লেখা লেখা থাকে এছাড়াও ব্যক্তিগত ভিজিটিং কার্ডে তো তিনি ডাক্তারি লেখেন আমরা বুঝবো কি ভাবে।

তারা বলেন, এখন বুঝছি সে রোগীদের সঙ্গে প্রতারণার করা হচ্ছে। এসব ভুয়া ডাক্তাররের চিকিৎসার কারণে গ্রামে-গঞ্জে অসংখ্য রোগী অকালে প্রাণ হারাচ্ছেন। গ্রামে-গঞ্জে এত বেশি কথিত ডাক্তার বা পল্লী চিকিৎসকরা নামের আগে ডাক্তার ব্যবহার করছে এদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন।

তবে, আইনের ২৯ ধারায় বলা হয়েছে ‘ন্যূনতম এমবিবিএস অথবা বিডিএস ডিগ্রিপ্রাপ্তরা ব্যতীত অন্য কেউ ডাক্তার পদবি ব্যবহার করতে পারবে না’।

এব্যাপারে, ভুয়া পরিচয় ব্যবহারকারী ইসমোত আরা বলেন, আমার পিতা একজন ফার্মাসিস্ট থাকায় ঔষুধ সমন্ধে ভাল ধারনার ভিত্তিতে ডাক্তার হিসাবে ঔষুধ দিয়ে আসছেন। তার সাইনবোর্ড সম্পর্কে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন এটা আমার ভূল হয়েছে আমি সাইনবোর্ড নামিয়ে দেবো।

এব্যাপারে রাজশাহী জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ আবু সাইদ মোহাম্মদ ফারুক বলেন, এমবিবিএস ও বিডিএস ডিগ্রিধারী ছাড়া কেউ নামের আগে ডাক্তার লিখে চিকিৎসা ব্যবস্থাপত্র দিতে পারবে না। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখবো ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবো ।
বিএ/

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।