ঢাকাবুধবার , ৪ মার্চ ২০২০
আজকের সর্বশেষ সবখবর

রাজশাহীতে ফাল্গুনী ঝড়-বৃষ্টি, আমের মুকুলের ক্ষতি

khobor
মার্চ ৪, ২০২০ ৯:১১ অপরাহ্ণ
Link Copied!

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীতে আজ চলতি মৌসুমের প্রথম ঝড়-বৃষ্টি হয়েছে। এতে আমের মুকুলের সামান্য ক্ষতি হয়েছে। কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টিও হয়েছে। তবে এর পরিমাণ অল্প হওয়ায় ক্ষতির ব্যাপকতা নেই। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী বজ্রসহ ভারী বর্ষণ হয়েছে। এ সময় বয়ে গেছে ঝড়ো হাওয়াও।

বুধবার বেলা ৩টার দিকে হঠাৎ করেই আকাশে মেঘ জমতে শুরু করে। এর পর পৌনে চারটার দিকে বজ্রসহ বৃষ্টি শুরু হয়। বৃষ্টির স্থায়ীত্ব ছিল প্রায় এক ঘণ্টা।

এ সময় মহানগরীসহ আশপাশের উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়। বিকেল ৫টার পর থেকে ধীরে ধীরে আবারও বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়। বৃষ্টিতে শহরের সাহেব বাজার ও গণকপাড়াসহ অনেক নিচু এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। এ সময় অফিস ফেরত মানুষকে বাড়ি ফিরতে দুর্ভোগ পোহাতে হয়।

রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক আবদুস সালাম বলেন, ঝড় বয়ে গেলেও এটি কালবৈশাখী নয়। সাধারণত বাতাসের গতিবেগ ২০ নটিকেল মাইল হলে তাকে কালবৈশাখী বলা হয়। কিন্তু বুধবার ঝড়ের সময় রাজশাহীতে ঝড়ের গতিবেগ ছিল মাত্র ৮ নটিকেল মাইল। অর্থাৎ এটি কালবৈশাখী নয়। মহানগরীসহ আশপাশের এলাকায় বজ্রসহ বৃষ্টি হয়েছে। কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টিও হয়েছে।

এটি মৌসুমী ঝড়-বৃষ্টিপাত। ফল্গুন ও চৈত্র-বৈশাখ মাসে এটা স্বাভাবিক। এজন্য এই মৌসুমকে ঝড়-বৃষ্টির মৌসুমও বলা হয়। রাজশাহীর তাপমাত্রা এখন বাড়ছেই।

বুধবার দুপুরে রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৭ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বুধবার বেলা ৩টা ৪৫ মিনিটে বৃষ্টি শুরু হয়। বৃষ্টি চলে বিকেল ৪টা ৫৫ মিনিট পর্যন্ত। এ সময় রাজশাহীতে ২৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

আজ সকাল ৬টায় বাতাসের আদ্রতা ছিল ৯৬ শতাংশ এবং বেলা ৩টায় ছিল ৫৭ শতাংশ; জানান রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষক আবদুস সালাম।

এদিকে, আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কয়েকটি স্থানে এবং খুলনা, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের এক বা দুই স্থানে ঝড়ো হাওয়াসহ কালবৈশাখী এবং বাতাসের সাথে বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে।

এদিকে, রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক শামসুল আলম বলেন, এই ঝড়-বৃষ্টিতে আমের মুকুলের তেমন ক্ষতি হবে না।ফাল্গুন, চৈত্র ও বৈশাখ মাসে এমন
ঝড়-বৃষ্টি হয়ে থাকে। এটা খুবই স্বাভাবিক আর আজকে শিলাবৃষ্টির পরিমাণ ছিল খুবই কম। তাই এতে আমের মুকুল বা অন্যান্য ফসলের তেমন ক্ষতি হবে না বলে উল্লেখ করেন কৃষি কর্মকর্তা।

খবর২৪ঘন্টা/নই

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।