ঢাকাবুধবার , ৭ আগস্ট ২০১৯
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ভারতের ‘বেআইনি’ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে লড়বে পাকিস্তান

অনলাইন ভার্সন
আগস্ট ৭, ২০১৯ ১:২০ অপরাহ্ণ
Link Copied!

খবর২৪ঘণ্টা  ডেস্ক: কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের ভারতীয় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে লড়াই করার ঘোষণা দিয়েছে প্রতিবেশী পাকিস্তান। মঙ্গলবার দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এই ঘোষণা দেন। তিনি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে বিষয়টি তুলবেন বলেও জানিয়েছেন।

ইমরান খান অভিযোগ করে বলেন, আন্তর্জাতিক রীতিনীতি ভঙ্গ করে ওই পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত। এরপর ভারত মুসলিম অধ্যুষিত কাশ্মীর উপত্যকায় জাতিগত নির্মূল অভিযান চালাবে বলেও আশঙ্কা ব্যক্ত করেছেন তিনি।

গত সোমবার ভারতের রাজ্যসভায় ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ ধারাটি তুলে দেয়ার ঘোষণা দেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। দীর্ঘ সাত দশক ধরে এই ধারাটির কারণেই বিশেষ মর্যাদা পেয়ে আসছিলো কাশ্মীর। এই মর্মে সরকারের পক্ষ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তিও জারি করা হয়েছে যাতে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোভিন্দ স্বাক্ষরও করেন। এর পরদিন মঙ্গলবার লোকসভাতেও পাস হয়েছে অমিত শাহের আনা কাশ্মীর সংক্রান্ত বিলটি।

ভারতের এই ঘোষণার একদিন পর এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানালেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘গোটা বিষয়িটি নিয়ে আমরা এখন পর্যালোচনা করছি। পরে এটি আমরা জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের মাধ্যমে সাধারণ পরিষদে তুলবো। প্রতিটি সম্মেলনে রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে আমরা কথা বলবো… গণমাধ্যমের কাছে আমরা তুলে ধরবো এবং সারা পৃথিবীর মানুষকে জানাবো।’

কাশ্মীরের ওপর থেকে বিশেষ মর্যাদা তুলে নেয়ার ফলে ভারত মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ ওই এলাকায় জনসংখ্যার কাঠামো পরিবর্তন করতে পারে বলেও মনে করেন ইমরান খান। তার আশঙ্কা, ভারত এখন কাশ্মীরে জাতিগত নির্মূল অভিযান চালাবে।

তার ভাষায়, ‘তারা (ভারত সরকার) স্থানীয় মানুষজনকে সরিয়ে দেবে এবং অন্যদের সেখানে নিয়ে আসবে এবং তাদেরই সংখ্যাগরিষ্ঠ করে তুলবে। ফলে স্থানীয়রা মানুষরা তাদের দাস হওয়া ছাড়া আর কিছু করার থাকবে না।’

এর আগে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী প্রধান বলেন, তার সৈন্যরা কাশ্মীরের মানুষের সংগ্রামে পাশেই থাকবে।

এদিকে ভারতের ওই পদক্ষেপকে ‘অগ্রহণযোগ্য’বলে বর্ণনা করেছে প্রতিবেশী চীন।

এদিকে কাশ্মীরকে বিশেষ মর্যাদা দেয়া ধারাটি তুলে নেয়ার দুইদিন পরও কার্যত বাকি বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন ওই অঞ্চলটি। গত রোববার সন্ধ্যে থেকেই রাজ্যের টেলিফোন, মোবাইল এবং ইন্টারনেটের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়। গণহারে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে স্থানীয় নেতাকর্মীদের। ফলে গোটা কাশ্মীর এক বৃহৎ কয়েদখানায় পরিণত হয়েছে। তার মধ্যেও বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ ও নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর পাথর ছোঁড়ার ঘটনা ঘটছে বলে বিবিসি জানিয়েছে। সূত্র: বিবিসি বাংলা

খবর২৪ঘণ্টা, জেএন

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।