সবার আগে.সর্বশেষ  
ঢাকাসোমবার , ১২ মার্চ ২০১৮
আজকের সর্বশেষ সবখবর

বেলকুচিতে ভুয়া এনজিও”র নারী কর্মী আটক ,পুলিশের ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ

R khan
মার্চ ১২, ২০১৮ ৮:০০ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

 সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার তামাই (খন্দকার পাড়া) গ্রামের আব্দুল হান্নানের বাড়ির ভাড়াটিয়া ঝর্না ওরফে হাওয়া বেগম নামের এক নারীকে গতকাল শনিবার সকালে পুলিশ প্রতারনার অভিযোগের প্রেক্ষিতে আটক করে বেলকুচি থানায় নিয়ে যায় ।

অভিযোগে জানাযায়,উপজেলার নাকগাতি গ্রামে পল্লী চিকিৎসক মুকুল হোসেনের বাড়ি ভারা নিয়ে সমাজ কল্যাণ সংস্থার নামে একটি এনজিও প্রতিষ্ঠানের সাইন বোর্ড লাগিয়ে সদস্যদের মাঝে জামানত বিহীন সহজ সর্তে ঋণ দেয়ার কথা বলে ঋণের বিপরীতে এলাকার বিভিন্ন সদস্যদের নিকট থেকে এককালীন সঞ্চয়ের প্রায় ৫ লক্ষাধিক  টাকা   নিয়ে চক্রটি পালিয়ে যায়।

এবিষয়ে বেলকুচি থানায় খতিগ্রস্থদের পক্ষ থেকে শাহানা বেগম একটি অভিযোগ দাখিল করে । এ অভিযোগের পর ভুক্তভুগীরা বিভিন্ন স্থানে এ প্রতারক চক্রকে ধরার জন্য খোজ খবর করতে থাকে এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ বিষয়ে  সংবাদ প্রকাশ হয়। আত্মগোপনে থাকা এ চক্রের একজন ঝর্না ওরফে হাওয়া বেগমকে গতকাল সকালে  ক্ষতিগ্রস্ত সদস্যরা সরজমিনে সনাক্ত করে পুলিশে সপর্দ করে । এবিষয়ে শতাধিক খতিগ্রস্থ ব্যাক্তিরা বেলকুচি থানা চত্তরে  অপেক্ষা করতে থাকে দিনভর বিচারের আশায়। অনেক নাটকীয়তার মধ্যে প্রতারক ঝর্না ওরফে হাওয়া বেগমের কথামত বেলকুচি থানার পুলিশ কামারখন্দ থানার আওতাধীন এলাকা থেকে ২জন কর্মজিবি নারীকে থানায় নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করে । এ বিষয়ে পুলিশের হেফাজতে রাখা কামারখন্দ থানার দুই নারীকে প্রতারনার সাথে জড়িত না থাকার কারনে সন্ধ্যায় তাদের ছেরে দেয়  ।

এদিকে  উপস্থিত খতিগ্রস্থ ব্যাক্তিরা ঝর্না বেগমকে প্রতারনার সাথে জড়িত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করে  আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহণের দাবী জানিয়ে বেলকুচি থানা হেফাজতে রেখে চলে যায় । আজ রবিবার সকাল ৮ টায় খতিগ্রস্থ ব্যাক্তিরা  থানায় গিয়ে জানতে পারে ঝর্না বেগমকে রাতে ছেরে দেয়া হয়েছে । এরপর খতিগ্রস্থদের দাবীর প্রেক্ষিতে সকাল ১০ টায় ঝর্না ওরফে হাওয়া বেগমকে থানায় হাজির করা হয় । তাৎক্ষনিক ভাবে বাদী সহ অন্যান্য  ক্ষতিগ্রস্থ নারীরা বেলকুচি থানা পুলিশের দায়িত্বহীনতার ক্ষোভ প্রকাশ করে স্থানীয় গনমাধ্যমকে বিষয়টি জানায়।

এ বিষয়ে  স্থানীয় সাংবাদিকরা উপস্থিত হয়ে বেলকুচি থানা চত্তরে  সরজমিনে খতিগ্রস্থ ব্যাক্তিদের অভিযোগের বিষয়ে বেলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত তদন্ত কর্মকর্তা এস কে খোদা নেওয়াজের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন এখনো তদন্ত কাজ শেষ  হয়নি তদন্ত শেষে জানিয়ে দেয়া হবে ।অতঃপর অপেক্ষমাণ খতিগ্রস্থ ব্যাক্তিদের অভিযোগ উপেক্ষা করে  দফায় দফায় গোপন লিয়াজোর  মধ্যদিয়ে এক পর্যায়ে ঝর্না বেগমকে ছেরে দেয় পুলিশ । এদিকে  প্রতারক ঝর্না ওরফে হাওয়া বেগমকে থানা থেকে বেরিয়ে যেতে দেখে খতিগ্রস্থ ব্যাক্তিরা ক্ষিপ্ত হয়ে ঝর্নাকে আবারো আটক করে ।

এসময় শৃংখলা রক্ষার্থে বেলকুচি থানা পুলিশের মহিলা কনস্টেবলের মাধ্যমে ঝর্নাকে থানার ভিতরে নিয়ে যায়। দিনভর থানা চত্তরে অপেক্ষমাণ খতিগ্রস্থ নারীরা অনাহারে থেকে  কান্নারত অবস্থায় গনমাধ্যমকে জানান থানায় ন্যায় বিচার না পাওয়ার বিষয়গুলো । পরে  তারা ন্যায় বিচার পাওয়ার জন্য একটি মানব বন্ধনের আয়োজন করে। এ সময় ক্ষতিগ্রস্থ ব্যাক্তিরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন  থানা পুলিশের নিকট প্রতারক ঝর্না বেগমকে বার বার সনাক্ত  করে দেয়ার পরেও আইনগত কোন ব্যাবস্থা গ্রহন করছে না উল্টো বাদী শাহানা বেগম ও খতিগ্রস্থদের নানাভাবে হয়রানী করছে পুলিশ।  এ বিষয়ে খতিগ্রস্থ ব্যাক্তিগন বেলকুচি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ওলিউজ্জামানকে বিষয়টি জানান ।

এদিকে দুদিন অতিবাহিত হলেও শতাধিক ক্ষতি গ্রস্থ ব্যাক্তিদের অভিযোগের বিষয়টি সমাধান না হওয়ায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে ।

 

খবর২৪ঘণ্টা.কম/নজ

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।