সবার আগে.সর্বশেষ  
ঢাকাবুধবার , ২৪ অক্টোবর ২০১৮
আজকের সর্বশেষ সবখবর

নাটোরে ৭৬ হাজার ৬৪৯ হতদরিদ্র পরিবার পাচ্ছেন সুলভ মূল্যের চাল

omor faruk
অক্টোবর ২৪, ২০১৮ ৭:০৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

নাটোর প্রতিনিধি : 
নাটোরে ১০ টাকা কেজি দরে জেলার ৭৬ হাজার ৬৪৯ হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে ইউনিয়ন পর্যায়ে চাল বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।  সেপ্টেবর ২০১৬ থেকে এই কার্যক্রম দেশ ব্যাপী শুরু হয়। প্রতিমাসে ৩০ কেজি করে বছরের পাঁচ মাসএসব পরিবার এই সুবিধার আওতায় থাকছেন। জেলাখাদ্য নিয়ন্ত্রকের অফিস সূত্রে জানা যায়, ৭৫ শতাংশ দারিদ্রের হার এবং ২৫ শতাংশ জনসংখ্যা হারের আনুপাতিক বিবেচনায় জেলায় ৭৬ হাজার ৬৪৯ হতদরিদ্র পরিবার নির্বাচিত করা হয়। উপজেলা পর্যায়ের একজন করে কর্মকর্তার নেতৃত্বে ইউনিয়ন পর্যায়ে নির্বাচন কমিটি কর্মসূচী চালু করার সময়ে হতদরিদ্র পরিবার বাছাই করেছিল। বাছাইকৃত এসব পরিবারকে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের দপ্তর থেকে কার্ড দেয়া হয়। কার্ড প্রাপ্ত হতদরিদ্র পরিবারের মধ্যে নাটোর সদর ও নলডাঙ্গা উপজেলায় ২০ হাজার ২৯টি, সিংড়া উপজেলায় ১৬ হাজার ৮০৮টি, বড়াইগ্রামে ১২ হাজার ১৯১টি, লালপুরে ১১ হাজার ৮১৯টি, গুরুদাসপুরে ১০ হাজার ৬৯১টি এবং বাগাতিপাড়া উপজেলায় ৫হাজার ১১১টি।

বর্তমানে জেলার ৫২টি ইউনিয়নে খাদ্য বিভাগের নিয়োগকৃত ১৩৪ জন ডিলার চাল বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। ডিলারগণ ৮.৫০ টাকা দরে চাল উত্তোলন করে ১০ টাকা কেজি দরে সপ্তাহের তিন দিন চাল বিক্রী করছেন। সেপ্টেম্বর, অক্টোবর, নভেম্বর, মার্চ এবংএপ্রিল- এই পাঁচ মাস চাল বিতরণ করা হচ্ছে। নলডাঙ্গা উপজেলার বিপ্রবেলঘড়িয়া ইউনিয়নের হরিদাখলসী গ্রামের ভ্যানচালক মোঃ গোফফার বলেন, গ্রামে আমন ও ইরি ধান না ওাা পর্যন্ত মানুষের কাজ-কর্ম কম থাকে। ঐসময় ভ্যানের প্যাসেঞ্জার কম থাকে বলে ইনকামও কম। ঠিক ঐ সময়ে সরকারী চাল পেয়ে খুব উপকার হইছে। স্বামীভাত দেয় না, মায়ের সাথে থাকি, তাই সংসারের টানাটানি অবস্থায় চালের কার্ড পাওয়া বড় প্রাপ্তি বলে জানালেন সিংড়া উপজেলার বড় সাঁঐল গ্রামের স্বামী পরিত্যক্তা ফাতেমা।তেবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওমর আলী প্রধান জানান, সরকারের এই কর্মসূচী অব্যাহত থাকায় ইউনিয়নের দুঃস্থ মানুষদের মুখে আমরা হাসি ফোটাতে পারছি।

নাটোর সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোঃ আতোয়ার হোসেন বলেন, সরকারের অন্য কোন সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচীর আওতাভূক্ত নন-এমন হতদরিদ্র পরিবারকে সুলভ মূল্যের চাল দেয়া হচ্ছে।জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোঃ জহিরুল ইসলাম খান বলেন, মূলতঃ গ্রামীণ জনপদে কর্ম সংকট কালীন সময়ে হতদরিদ্র পরিবারের সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে এই কর্মসূচি সারা দেশব্যাপী চালু করা হয়েছিল এবং এখনো অব্যাহত আছে। সুষ্ঠু ভাবে বিতরণ কার্যক্রম সম্পন্ন করতে প্রয়োজনীয় মনিটরিং ব্যবস্থা পরিচালনা করা হচ্ছে।

খবর ২৪ ঘণ্টা/এমকে

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।