ঢাকাশনিবার , ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১
আজকের সর্বশেষ সবখবর

তৃণমূলে যোগ দিয়েই বিজেপির সমালোচনায় ভরত

অনলাইন ভার্সন
ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২১ ১২:৩১ অপরাহ্ণ
Link Copied!

কাশ্মীরি পণ্ডিত বংশের সন্তান অভিনেতা ভরত কল। নিজেকে ‘সংখ্যালঘু হিন্দু’ বলে দাবি করেন তিনি। শুক্রবার (৫ ফেব্রুয়ারি) তৃণমূলে যোগ দিয়েই বিজেপির সমালোচনায় মুখর। যদিও দুই বছর আগে কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে নেয়ার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন।

তৃণমূলে কেন যোগ দিলেন? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে এ অভিনেতা বলেন, ‘আমি কংগ্রেস পরিবারের ছেলে। তৃণমূল এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অনেক দিন ধরেই সমর্থন করি। সক্রিয় রাজনীতিতে আসাটা কাজ করার জন্য।’

দুই বছর আগে ৩৭০ ধারা তুলে নেয়ার পর কি কোনো পরিবর্তন হয়েছে? এর জবাবে ভরত বলেন, ‘রাজনীতির স্বার্থে কাশ্মীরকে কাজে লাগিয়েছে বিজেপি সরকার। এই দুই বছরে তার পরিবারের তো বটেই, পরিচিত একজন কাশ্মীরি পণ্ডিতও শ্রীনগরে নিজের পুরোনো বাড়ি ফিরে যেতে পারেননি। হিন্দু হয়েও আমরা কাশ্মীরে সংখ্যালঘুই ছিলাম। আমাদের জন্য কী করেছে এই সরকার?’

বিজেপির নীতির সঙ্গে তিনি একমত নন দাবি বলেন, ‘কে কী খাবেন, তা নিয়ে আগে রাজনীতি হতো না। আমি কাশ্মীরি ব্রাহ্মণ হয়ে বলছি, কে কী খাবেন, সেটা তার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। কোনো খাবার আমার পছন্দ নাই হতে পারে। কিন্তু সেটা নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করার অধিকার কারো নেই।’

রাজনীতির কারণে টলিউডে ভাঙন ধরেছে। রুদ্রনীল ঘোষ, লকেট চট্টোপাধ্যায় যেমন একদিকে, তেমনি অন্যদিকে দেবলীনা দত্ত, সায়নী ঘোষরা। এই সময় রাজনীতির কারণে কি কোনো বন্ধুবিচ্ছেদ হয়েছে? ভরত বলেন, ‘একেবারেই না। সবাই আগের মতো বন্ধুই আছেন। কিন্তু রুদ্রনীলের মন্তব্য খুবই অবমাননাকর। দেবলীনার মায়ের প্রসঙ্গ তোলাটা একেবারেই উচিত হয়নি।’

আগামী দিনে ভোটে দাঁড়ানোর পরিকল্পনা আছে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এখনই তেমন কিছু ভাবিনি। এই সিদ্ধান্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। আমার শুধু একটা মাধ্যম দরকার ছিল, যেখান থেকে কাজ করতে পারি। তাই তৃণমূলে।’

তিনি জানান, পশ্চিমবঙ্গ তাকে সবকিছু দিয়েছে, তাই কাশ্মীরি পণ্ডিত বংশের সন্তান হয়েও মনেপ্রাণে নিজেকে বাঙালি বলে ভাবেন তিনি। বাংলার হয়ে কাজ করতে চান বলেই তৃণমূল যোগদান।

জেএন

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।