ঢাকাবুধবার , ৩১ অক্টোবর ২০১৮
আজকের সর্বশেষ সবখবর

খালেদা জিয়া এদেশের লেনসন ম্যান্ডেলাতে পরিণত হয়েছে : মিনু

omor faruk
অক্টোবর ৩১, ২০১৮ ৭:৪১ অপরাহ্ণ
Link Copied!

নিজস্ব প্রতিবেদক : 
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াসহ চার আসামিকে ৭ বছর করে সশ্রম কারাদ-ের আদেশ এবং প্রত্যেককে ১০ লাখ টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদ-ের আদেশ দেওয়া হয়। সেইসাথে ট্রাস্টের নামে ঢাকা শহরে থাকা ৪২ কাঠা জমি রাষ্ট্রায়ত্ত করার আদেশ দেন আদালত। সেইসাথে মঙ্গলবার সকালে জিয়া অর্ফানেজ , মামলার সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর করা হয়। এই ফরমায়েসি রায়ের প্রতিবাদে বুধবার বিকেল ৪টায় নগরীর মালোপাড়াস্থ্য বিএনপি কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করে রাজশাহী মহানগর বিএনপি। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক, রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র সভাপতি ও সাবেক সিটি মেয়র মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার অন্যতম উপদেষ্টা, সাবেক মেয়র ও সংসদ সদস্য জননেতা মিজানুর রহমান মিনু। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলন।

আরো উপস্থিত উপস্থিত ছিলেন বোয়ালিয়া থানা বিএনপি’র সভাপতি সাইদুর রহমান পিন্টু, রাজপাড়া থানা বিএনপি’র সভাপতি শওকত আলী, মতিহার থানা বিএনপি’র সভাপতি আনসার আলী, মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি ওয়ালিউল হক রানা, মতিহার থানা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক ডিকেন, মহানগর যুবদলের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ সুইট, সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান রিটন, জেলা যুবদলের সভাপতি মোজাদ্দেদ জামানী সুমন, সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম সমাপ্ত, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি জাকির হোসেন রিমন, মহানগর তাঁতী দলের সভাপতি আরিফুল শেখ বনি, মহানগর মহিলা দলের যুগ্ম আহবায়ক এ্যাডভোকেট রওশন-আরা পপি, অধ্যাপিকা সখিনা বেগম, মুসলিমা বেলী, জরিনা ও গুলশান আরা মমতা, মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি আসাদুজ্জামান জনি ও সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রবিসহ বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মী। সমাবেশ পরিচালনা করেন মহানগর যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল হাসনাইন হিকোল।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মিলন বলেন, এই সরকারের প্রধানমন্ত্রী সর্বকালের স্বৈরশাসকদের ছাড়িয়ে গেছে। এই সরকার প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে দেশমাতা বেগম খালেদা জিয়াকে সাজা প্রদান করেছে। শুধু তাই নয় আসছে সংসদ নির্বাচন থেকে বেগম জিয়াকে দূরে রাখার জন্যই এই রায় প্রদান করেছে সরকার। কিন্তু বেগম জিয়া ছাড়া এদেশের সংসদ নির্বাচন করতে দেওয়া হবেনা। বর্তমানে বিএনপি ও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম জিয়া বাংলাদেশের লেনসন ম্যান্ডেরাতে পরিনত হয়েছে। তাঁর জনপ্রিয়তা দেখে এই সরকার ভীত হয়ে ফরমায়েসি রায় প্রদান করেছে। দেশের গণতন্ত্র রক্ষা এবং এদেশের মানুষের স্বাধীনতা ফিরিয়ে আনতে বিএনপি’র কোন বিকল্প নাই উল্লেখ করে মিনু আরো বলেন, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের ঘোষনা দিয়েছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। আর যুদ্ধ করেছিলেন বিএনপি নেতাকর্মী ও দেশের সাধারণ জনগণ। আওয়ামী লীগ নেতারা সে সময়ে ভারতের হোটেলে বসে মৌজ মাস্তিতে ব্যস্ত ছিলেন। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষ এই সরকারকে আর দেখতে চায়না। দেশের মানুষ এখন একটা নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্বাবধায়ক সরকারের অধিনে নির্বাচন চায়। আর নির্বাচনের মাধ্যমেই জনগণ বিএনপিকে নির্বাচিত করে গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত রাখবে বলে তিনি বক্তৃতায় উল্লেখ করেন। সেইসাথে ১ নভেম্বর ভুবনমোহন পার্কে প্রতিকি অনশনে এবং ৯ নভেম্বর জাতীয় ঐক্য ফ্রন্টের মহাসমাবেশে সকল নেতাকর্মীদের সময় মত উপস্থিত হওয়ার আহবান জানান তিনি।

বিএনপি নেতা মিলন বলেন, এই সরকারের দু:শাসনে এদেশের জনগণ বতর্মানে মৌলিক অধিকার ও মৌলিক চাহিদা থেকে বঞ্চিত হয়েছে। কারো কোন স্বাধীনতা নেই। গণমাধ্যমকর্মীদের গলা টিপে ধরা হয়েছে। গণতন্ত্র একেবারেই অনুপোস্থিত। বিচার বিভাগ ও নির্বাচন কমিশন সরকারের আজ্ঞাবহ হয়ে কাজ করছে। উভয় প্রতিষ্ঠান সরকারের এজে-া বাস্তবায়নে কাজ করছে। ন্যায় বিচার করায় দেশের প্রধান বিচারপতি এস.কে সিনাহকে বন্দুকের নলের মুখে দেশ ছাড়তে বাধ্য করেছে এই সরকার। সোমবার ও মঙ্গলবার সরকারের নির্দেশে বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে যে রায় দেওয়া হয়েছে জনগণ, বিএনপি, ২০ দলীয় জোট ও জাতীয় ঐক্য ফ্রন্ট ঘৃনাভরে প্রত্যাখান করেছে বলে মিলন উল্লেখ করেন। আগামী নির্বাচনে পুর্বেই বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্বাবধায়ক সরকারের অধিনে নির্বাচনের দাবীর আন্দোলনে নেতাকর্মীদের রাজপথে নামার আহবান জানান তিনি।

সভাপতির বক্তব্যে বুলবুল বলেন, এই সরকারের প্রধানমন্ত্রী বর্তমানে ঘোষেটি বেগমের ন্যায় ভূমিকা পালন করছে। নিজের স্বার্থ ছাড়া এই সরকার কোন কিছুই ভাবতে পারেনা। তারা হাজার হাজার কোটি টাকা লুট ও দুর্নীতি করে দেশের বাহিরে পাঠিয়েছে। সরকারের সাথে এদেশের পুলিশ ও প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা দুর্নীতি করে বিদেশে বাড়ি গাড়ি করে ফেলেছে। মেগা প্রকল্পের নামে কোটি কোটি টাকা লোপাট করছে এই সরকার। অথচ এই সরকার প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে গণতন্ত্রের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া কোন প্রকার দুর্নীতি না করলেও সামান্য তিনকোটি টাকা দুর্নীতি মিথ্যা মামলা দিয়ে সাজা প্রদান করেছে। সাজা দিয়ে দেশনেত্রী ও দেশ মাতাকে নির্বাচন থেকে দূরে সরিয়ে রাখা যাবেনা বলে তিনি বক্তৃতায় উল্লেখ করেন। সেইসাথে মনাববন্ধনে উপস্থিত হওয়ার জন্য নেতাকর্মীদের ধন্যবাদ জানান এবং আজকের প্রতিকি অনশনে সময়মত উপস্থিত হওয়ার জন্য নেতাকর্মীদের আহবান জানিয়ে মানববন্ধন শেষ করেন তিনি।

খবর ২৪ ঘণ্টা/এমকে

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।