1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
‘লকডাউন’ শিথিলের পর ফের কড়াকড়ির চিন্তা - খবর ২৪ ঘণ্টা
শনিবার, ১৮ জানয়ারী ২০২৫, ০৪:০৮ অপরাহ্ন

‘লকডাউন’ শিথিলের পর ফের কড়াকড়ির চিন্তা

  • প্রকাশের সময় : বৃস্পতিবার, ১৪ মে, ২০২০

খবর২৪ঘন্টা নিউজ ডেস্ক: দেশে করোনাভাইরাসের প্রকোপ দেখা দেয়ার পর গত ২৬ মার্চ থেকে চলছে অঘোষিত লকডাউন। দফায় দফায় বাড়ানো হয়েছে সাধারণ ছুটি। সবশেষ সপ্তমবারের মতো এই ছুটির মেয়াদ বাড়িয়ে ৩০ মে পর্যন্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

তবে ইতিমধ্যে লকডাউন অনেকটা শিথিল করা হয়েছে। অর্থনৈতিক ক্ষতির কথা চিন্তা করে খুলে দেওয়া হয়েছে গার্মেন্টসহ বিভিন্ন দোকানপাট। এই অবস্থায় দেশে করোনা পরিস্থিতি আরও মারাত্মক আকার ধারণ করতে যাওয়ায় ফের কড়াকড়ি আরোপের কথা ভাবছে সরকার। ঈদের ছুটিতে কেউ যেন চলাচল করতে না পারে সে জন্য ঈদের আগে সারাদেশে যাত্রীবাহী সব পরিবহন চলাচলের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, ঈদে মানুষ যেন ঢাকা থেকে অন্যান্য জেলায় বা এক জেলা থেকে আরেক জেলায় না যায়, সেজন্যই পরিবহনের ওপর এ নিষেধাজ্ঞা কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করা হবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের নির্দেশনা দিয়েছেন যে, ৩০ মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটি বর্ধিত হবে এবং ঈদ চলাকালীন বিশেষ করে ঈদের আগের চার দিন এবং ঈদের পর দুই নিয়ে মোট সাত দিন কাভার্ডভ্যান বা পণ্যবাহী যান এবং জরুরি সেবা ছাড়া মানুষ চলাচলের সব যাবাহন ওপর কঠোরতা অবলম্বন করা হবে। যে যেখানে আছে, সেখানে থেকেই ঈদ উদযাপন করবে।’

ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘আমরা দেখতে পাচ্ছি, প্রাইভেট কার বা অনেক ব্যক্তিগত গাড়ি রাস্তায় বের হচ্ছে, শহরগুলোতে এগুলোও কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে।’

তবে দফায় দফায় সাধারণ ছুটির মেয়াদ বাড়লেও গার্মেন্টস কারখানা এবং অনেক ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান চালু করায় মানুষের ভিড়ে সামাজিক দূরত্বসহ স্বাস্থ্যবিধি রক্ষা করতে না পারার অভিযোগ ওঠেছে। এই পরিস্থিতিতে লকডাউন ভেঙে পড়ায় সাধারণ ছুটির মেয়াদ বাড়িয়ে কোনো লাভ হচ্ছে কি না-এই প্রশ্নও অনেকে তুলেছেন।

সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. এস এম আলমগীর বলেন, ‘গত তিন চার দিনে করোনাভাইরাস সংক্রমণ হাজার ছাড়িয়ে যাচ্ছে। এটা বাড়ছেই। স্বাস্থ্যবিধি না মানলে সংক্রমণ কিন্তু বাড়বেই। এনিয়ে বিশ্লেষণ এবং আমাদের উদ্বেগ আমরা নিয়মিত সরকারের কাছে তুলে ধরছি।’

দেশে করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের পর সংক্রমণের বিস্তার রোধে প্রথম দফায় ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়৷ এর দুই দিন আগে থেকেই দেশে গণপরিবহন চলাচলেও নিষেধাজ্ঞা জারি হয়৷শুরুতে বেশকিছু বিধিনিষেধ আরোপ ও তা বাস্তবায়নে কড়াকড়ির কারণে সাধারণ ছুটি কার্যত ‘লকডাউনে’ রূপ নিয়েছিল৷ ঘরবন্দি হয়ে পড়েছিল মানুষ৷

কিন্তু গার্মেন্টস কারখানা খুলে দেয়ার মধ্য দিয়ে সাধারণ ছুটি শিথিল করা শুরু হয়৷ পোশাক শ্রমিকেরা রীতিমত গাদাগাদি করে কর্মস্থলে ফিরে আসেন৷ তারপর সীমিত আকারে সরকারের কয়েকটি অধিদপ্তর খুলে দেয়া হয়৷ এপ্রিলে সন্ধ্যা ৬টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত ঘর থেকে বের হওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকলেও সেই আদেশ কিছুটা শিথিল করে এখন রাত ৮টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত ঘর থেকে বের হওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে৷ সুপারশপ ও মুদি দোকান খোলা রাখার সময়ও বাড়ে৷

ঈদ চলে আসায় সরকার নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে গত ১০ মে থেকে শপিংমল এবং দোকানপাট খোলার অনুমতিও দেয়া হয়৷ এত কিছু শিথিল হওয়ায় গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও রাস্তায় মানুষের ভিড় বাড়তে শুরু করেছে৷ কোথাও কোথাও তো সড়কে যানজটও দেখা ‍যাচ্ছে৷সামাজিক দূরত্ব ভেঙে মানুষ ঘর থেকে বাইরে বের হয়ে যাওয়ায় দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে শুরু করেছে৷ পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও৷

খবর২৪ঘন্টা/নই

পোস্টটি শেয়ার করুন

এ ধরনের আরো খবর

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By SISA HOST