1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
গেজেটে বিচারকদের ওপর সুপ্রিম কোর্টের কর্তৃত্ব বজায় রয়েছে - খবর ২৪ ঘণ্টা
শুকরবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:১৭ পূর্বাহ্ন

গেজেটে বিচারকদের ওপর সুপ্রিম কোর্টের কর্তৃত্ব বজায় রয়েছে

  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ৩ জানুয়ারী, ২০১৮

খবর২৪ঘণ্টা.কম, ডেস্ক: অধস্তন (নিম্ন) আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলাবিধির সরকারের প্রণয়ন করা গেজেট সর্বসম্মতিভাবে গ্রহণ করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। বুধবার ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞার নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ এ গেজেট গ্রহণ করেন।

এ সময় আদালত বলেন, ‘সরকারের প্রণয়নকৃত গেজেটে নিম্ন আদালতের বিচারকদের ওপর আমাদের (সুপ্রিম কোর্টের) কর্তৃত্ব বজায় রয়েছে।’

নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলাবিধি গেজেট আকারে প্রকাশ হয় গত ১১ ডিসেম্বর। প্রকাশিত ওই গেজেটের বিষয়ে আদালতে আজ (বুধবার) শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনালের মাহবুবে আলম, বারিস্টার এম. আমীর উল ইসলাম ও মনজিল মোরসেদ।

দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে থাকা ওই গেজেট গত ১১ ডিসেম্বর প্রকাশ করে সরকার। মাসদার হোসেন মামলার চূড়ান্ত শুনানি করে ১৯৯৯ সালের ২ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ সরকারের নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগকে আলাদা করতে ঐতিহাসিক এক রায় দেন।

ওই রায়ে আপিল বিভাগ বিসিএস (বিচার) ক্যাডারকে সংবিধান পরিপন্হি ও বাতিল ঘোষণা করে। একইসঙ্গে জুডিশিয়াল সার্ভিসকে স্বতন্ত্র সার্ভিস ঘোষণা করা হয়। বিচার বিভাগকে নির্বাহী বিভাগ থেকে আলাদা করার জন্য সরকারকে ১২ দফা নির্দেশনা দেন সর্বোচ্চ আদালত।

মাসদার হোসেন মামলার রায়ের পর ২০০৭ সালের ১ নভেম্বর নির্বাহী বিভাগ থেকে আলাদা হয়ে বিচার বিভাগের কার্যক্রম শুরু হয়। গত বছরের ৭ মে আইন মন্ত্রণালয় নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিধিমালার একটি খসড়া প্রস্তুত করে সুপ্রিম কোর্টে পাঠায়।

সরকারের খসড়াটি ১৯৮৫ সালের সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালার অনুরূপ হওয়ায় তা মাসদার হোসেন মামলার রায়ের পরিপন্হি বলে গত বছর ২৮ আগস্ট শুনানিতে জানায় আপিল বিভাগ।

এরপর ওই খসড়া সংশোধন করে সুপ্রিম কোর্ট আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠায়। সেইসঙ্গে তা চূড়ান্ত করে প্রতিবেদন আকারে আদালতে উপস্থাপন করতে বলা হয় আইন মন্ত্রণালয়কে।

আইন ও বিচার বিভাগ থেকে এর আগে শৃঙ্খলা বিধিমালার যে খসড়া সুপ্রিম কোর্টে জমা দেয়া হয়েছিল, গত ৩০ জুলাই তা গ্রহণ না করে কয়েকটি শব্দ ও বিধি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন তখনকার প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা।

শৃঙ্খলাবিধির সেই খসড়া নিয়ে টানাপোড়েনের মধ্যে ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় নিয়ে ক্ষমতাসীনদের সমালোচনার মুখে বিচারপতি সিনহা ছুটি নিয়ে গত ১৩ অক্টোবর দেশ ছাড়ার পর ছুটি শেষে ১০ নভেম্বর পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেন। এরপর গত ১৬ নভেম্বর দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহহাব মিঞার সঙ্গে বৈঠক করে আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ওই খসড়া নিয়ে মতপার্থক্য দূর হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় ১১ ডিসেম্বর গেজেট প্রকাশ করে সরকার।

খবর২৪ঘণ্টা.কম/রখ

পোস্টটি শেয়ার করুন

এ ধরনের আরো খবর

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By SISA HOST