খবর ২৪ ঘণ্টা ডেস্ক:ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) পুনর্নির্বাচনের দাবিতে উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে সকাল থেকে অবস্থান নিয়েছিল আন্দোলনকারী ৫ প্যানেলের প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা। দীর্ঘ ৫ ঘণ্টা অপেক্ষা করলেও তাদের সঙ্গে দেখা করেননি উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান।
সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টায় তারা উপাচার্য কার্যালয়ের সামনে এসে অবস্থান নেন। এরপর পাঁচ প্যানেলের প্রতিনিধিরা উপচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামানের সঙ্গে দেখা করতে চাইলে গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর তারা গেটের বাইরেই বসে পড়েন।
সেখানে অবস্থান নিয়ে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের জিএস প্রার্থী উম্মে হাবিবা বেনজির বলেছিলেন, উপাচার্য আমাদের সঙ্গে কথা না বললে আমরা অবস্থান ছাড়বো না। ডাকসু নির্বাচনে অনিয়মের দায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের। এই দায় তাদের নিতে হবে। তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে সারাদেশের সামনে লজ্জাজনক পরিস্থিতিতে ফেলেছেন। ফলে তাদের দায় নিয়ে তাদের পদ থেকে সরে যেতে হবে।
তবে এর ঘণ্টাখানেক যেতে না যেতেই অবস্থান বদলান তারা। কর্মসূচি স্থগিত করেন তারা। বিকেলে আন্দোলকারী শিক্ষার্থীরা তাদের কর্মসূচি স্থগিত করেন।
এসময় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপ করেন ডাকসুর জিএস পদে প্রতিদ্বন্দ্বীকারী ও কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতা রাশেদ খান। তিনি বলেন, আজকের মতো আমরা আমাদের কর্মসূচি স্থগিত ঘোষণা করছি। আন্দোলনকারী ৫ প্যানেলের নেতাকর্মীরা বসে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
এদিকে পুনর্নির্বাচনের দাবিতে রাজু ভাস্কর্যে অনশন করা ৭ শিক্ষার্থীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন উপাচার্য। বৈঠকে বৈঠকে অনশনকারীদের মধ্যে তাওহীদ তানজিম, শোয়েব মাহমুদ, রাফিয়া তামান্না ও রবিউল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
প্রায় এক ঘণ্টার বৈঠক শেষে শোয়েব মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘নির্বাচনে ভোট কারচুপি, ভোট প্রদানে বাধা ও প্রার্থীদের ওপর হামলার বিষয়গুলো উপাচার্যকে জানানো হয়েছে। প্রমাণ হিসেবে বিভিন্ন হলে ভোটের অনিয়ম, ভোটারদের লিখিত অভিযোগ ও হামলার ভিডিও ফুটেজ দেয়া হয়েছে। উপাচার্য স্যার বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে নানা অভিযোগ খতিয়ে দেখতে গত ১৩ মার্চ যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে তাদের কাছে এই ডকুমেন্টগুলো সরবরাহ করা হবে।’
শোয়েব বলেন, এসব অনিয়ম নিয়ে আলোচনার সময় উপাচার্য স্যার বলেছেন, ‘আগের ডাকসু নির্বাচনগুলোতে অনেক বেশি অনিয়ম হয়েছে। সেগুলোর চেয়ে এই নির্বাচনে অনেক নরমাল অনিয়ম হয়েছে। নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে।’
অনশনকারী মঈন উদ্দিন বলেন, ‘এই বৈঠক নিয়ে আমরা সন্তুষ্ট না। যেহেতু আমাদের উত্থাপিত অনিয়মগুলো নিয়ে তদন্ত করা হবে বলে উপাচার্য জানিয়েছেন সেহেতু আমরা কিছুদিন অপেক্ষা করব। দ্রুত তদন্তের ফল প্রকাশ না করলে আমরা চলমান আন্দোলনে যোগ দেব।’
খবর২৪ঘণ্টা, জেএন