নিজস্ব প্রতিবেদক :
ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন করেই গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শুক্রবার বিকেলে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট আয়োজিত রাজশাহী বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্য প্রদানকালে এসব কথা বলেন তিনি । তিনি আরো বলেন, আপনারা কি দেশনেত্রীর মুক্তি চান? তারেক রহমানকে ফিরিয়ে আনতে চান, গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা চান? তাহলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন করতে হবে। আন্দোলন করেই গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে হবে। খালেদা জিয়াসহ গ্রেফতারকৃত সকল নেতাকর্মীদের মুক্তি দিতে হবে। তাহলে নির্বাচনে যাওয়া হবে। নইলে নির্বাচনে যাব না। দেশনেত্রীকে মুক্তি দিয়ে তাকে নির্বাচনের মাঠে কাজ করতে দিতে হবে। অন্যথায় কোনো তফসিল গ্রহণযোগ্য হবে না। বক্তব্য দীর্ঘ নয়, সময় খুব সংকীর্ণ, সংকট আরও ভয়াবহ। আজকে প্রশ্ন বাংলাদেশে গণতন্ত্র থাকবে কি থাকবে না। প্রশ্ন বাংলাদেশ স্বাধীন স্বার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে টিকে থাকতে পারবে কি পারবে না। আমাদের কথা বলার অধিকার, ভোট দেওয়ার অধিকার থাকবে কি থাকবে না, সংগঠন করার অধিকার থাকবে কি থাকবে না, মৌলিক প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি আরো বলেন, আমরা ঐক্য করেছি, খালেদা জিয়া কারাগারে
যাওয়ার আগে মিটিংয়ে বলেছিলেন, আমি হিংসা চাই না, শান্তি চাই। আপনারা শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করবেন। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করবেন। আমরা সংলাপে দাবি দিয়ে এসেছি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। সংসদ ভেঙে দিতে হবে। দেশনেত্রীকে মুক্তি দিতে হবে। নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, আমরা জানি আপনারা অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছেন। দেশের গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্যেই আপনাদের এ ত্যাগ। মামলা হামলায় আপনারা জর্জরিত। এখানে একজনও নেই যার বিরুদ্ধে মামলা নেই। এ রাজশাহী থেকে অনেকে রক্ত দিয়ে বিদায় নিয়েছে তাদের রক্ত বৃথা যেতে দেওয়া যাবে না। আমরা জানি রাস্তায় আপনাদের বাধা দিয়েছে। কিন্তু সব বাধা উপেক্ষা করে দেশনেত্রীর মুক্তির জন্য গণতন্ত্রের জন্য এখানে এসেছেন। সমাবেশে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের রাজশাহী বিভাগীয় সমন্বয়ক বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনুর সভাপতিত্বে সমাবেশে আরো বক্তব্য প্রদান করেন, জেএসডির সভাপতি আসম আব্দুর রব, এলডিপির সভাপতি কর্নেল অলি আহমেদ, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপিতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লা চৌধুরী, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, ড. আব্দুল মঈন খান, বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা
মহসিন মন্টু, নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যর আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, উপদেষ্টা এসএম আকরাম, এলডিপির মহাসচিব রেদোয়ান আহমেদ, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, সাবেক মন্ত্রী ব্যারিষ্টার আমিনুল হক, মো. শাহজাহান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, হাবিবুর রহমান হাবিব, যুগ্ম-মহাসচিব হারুন অর রশীদ হারুন, রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যড. রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, রাজশাহী মহানগর বিএনপির সভাপতি ও সাবেক মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শাহিন শওকত, নির্বাহী কমিটির সদস্য নাদিম মোস্তফা, দেবাশীষ রায় মধু, আবু বকর সিদ্দিক, সাবেক এমপি ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোস্তফা, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তালুকদার ও আশিয়া আশরাফি পাপিয়া প্রমূখ।
খবর ২৪ ঘণ্টা/এমকে
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।