খবর২৪ঘণ্টা.কম, ডেস্ক: চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর মৃত্যু শোক কাটিয়ে না উঠতেই সেখানে ঘটলো মর্মান্তিক ঘটনা। সাবেক এই মেয়রের কুলখানিতে পদদলিত হয়ে মারা গেল ১০ জন। এই মৃত্যু ছিল একেবারেই অনাকাঙ্খিত। এই ঘটনা আবারো চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে গেল জননিরাপত্তা এখনো কতটা অপ্রতুল। প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি না থাকলে একটি নিরীহ গণজমায়েতও যে কতটা বিধ্বংসী হয়ে উঠতে পারে-সেটিও দেখিয়ে গেল এই ঘটনা।
গত সোমবার মহিউদ্দিন চৌধুরীর কুলখানি সম্পন্ন করার জন্য ১২টি কমিউনিটি সেন্টারে ৮০ হাজার মানুষের জন্য মেজবানের আয়োজন করা হয়। এর মধ্যে রিমা কনভেনশন সেন্টারে দুপুর ১টার দিকে পদদলিত হওয়ার ঘটনাটি ঘটে। জামালখানের এই ‘রিমা কনভেনশন সেন্টার’-এ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ও অন্য ধর্মাবলম্বীদের জন্য আলাদা মেজবানের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সোমবার সকাল থেকেই নির্দিষ্ট পয়েন্টগুলোতে মেজবান খেতে মানুষের ভিড় বাড়তে থাকে। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সে ভিড় জনস্রোতে রূপ নেয়। বিশৃঙ্খলা এড়াতে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেয়া হলেও, হুড়োহুড়ি করতে গিয়েই এ দুর্ঘটনা ঘটে। উল্লেখ্য, ১৫ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী মারা যান।
‘দেশে পদদলিত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা এই প্রথম নয়। এর আগেও কখনো জাকাতের অর্থ নিতে গিয়ে, কখনো লাঙ্গলবন্দের অষ্টমীস্নানে অংশ নিতে গিয়ে ঘটেছে এ ধরনের মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনা। পূর্বের এরকম বিয়োগান্তক অভিজ্ঞতার পরও কুলখানির আয়োজনে সে ধরনের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছিল-এমনটি বলা যাবে না।’
দেশে পদদলিত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা এই প্রথম নয়। এর আগেও কখনো জাকাতের অর্থ নিতে গিয়ে, কখনো লাঙ্গলবন্দের অষ্টমীস্নানে অংশ নিতে গিয়ে ঘটেছে এ ধরনের মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনা। পূর্বের এরকম বিয়োগান্তক অভিজ্ঞতার পরও কুলখানির আয়োজনে সে ধরনের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছিল-এমনটি বলা যাবে না। দুর্ঘটনা স্থলের কমিউনিটি সেন্টারটি ছিল অপেক্ষাকৃত নিচু ও ঢালু জমিতে। এ কারণে জনতার স্রোত সামলানো যায়নি। তবে প্রচুর লোক সমাগমের এমন স্থানে আরো সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিলে হয়তো এই মৃত্যু এড়ানো যেত। যারা মারা গেছেন তারা দরিদ্র পরিবারের। সরকারের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক অর্থসহায়তার ঘোষণা দেয়া হয়েছে নিহতের পরিবারের জন্য। এসব পরিবারের পাশে আরো ভালভাবে কিভাবে দাঁড়ানো যায় সেই চেষ্টা চালাতে হবে। আহতদেরও সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে। এ ঘটনায় কোথাও কোনো গাফিলতি বা অনিয়ম হয়ে থাকলে সে ব্যাপারেও পদক্ষেপ নিতে হবে। বিশেষ করে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি এড়াতে সংশ্লিষ্টদের এখান থেকে শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে। আমরা এই মর্মান্তিক ঘটনায় শোক প্রকাশ করছি। শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতিও রইলো আমাদের গভীর সমবেদনা।
খবর২৪ঘণ্টা.কম/রখ