নিজস্ব প্রতিবেদক : পুলিশ কনস্টেবলের স্ত্রীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলার অভিযোগে রাজশাহীর গোদাগাড়ী থানার কাঁকনহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক বেলাল হোসেনকে পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করা হয়েছে। সোমবার দিবাগত রাতে ওই কনস্টেবলের স্ত্রীর সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় ধরা পড়ার পর তাৎক্ষণিকভাবে তাকে জেলা পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়।
কাঁকনহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে কর্তব্যরত কয়েকজন পুলিশ সদস্য জানান, বেলাল হোসেন তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ হিসেবে কর্মরত ছিলেন। থাকতেন তদন্ত কেন্দ্রের ভেতরের একটি কোয়ার্টারের দ্বিতীয় তলায়। এর নিচতলায় স্ত্রী ও এক শিশুসন্তানকে নিয়ে থাকেন তদন্ত কেন্দ্রে কর্মরত একজন পুলিশ কনস্টেবল।
গত বেশ কিছু দিন ধরেই ওই কনস্টেবলের স্ত্রীর সঙ্গে বেলালের অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বেলাল সুযোগ পেলেই ওই কনস্টেবলকে তদন্ত কেন্দ্রের বাইরে কাজে পাঠাতেন। তদন্ত কেন্দ্রে হেরোইন ও ইয়াবা জব্দ করা হলে ঢাকায় পরীক্ষার জন্য নমুনা নিয়ে তিনি ওই কনস্টেবলকেই পাঠাতেন। এরপর অবৈধভাবে মেলামেশা করতেন তার স্ত্রীর সঙ্গে।
সোমবার রাতেও মাদকের নমুনা নিয়ে তিনি ওই কনস্টেবলকে ঢাকায় পাঠান। কিন্তু রাতে ওই কনস্টেবল রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে পোঁছার আগেই ট্রেনটি প্ল্যাটফর্ম ছেড়ে চলে যায়। ওই কনস্টেবল রাত ২টার দিকে তদন্ত কেন্দ্রের কোয়ার্টারে ফিরে যান। এ সময় তিনি দেখেন- নিচতলায় তার স্ত্রী ঘরে নেই। পরে তিনি দ্বিতীয় তলায় গিয়ে বেলালের সঙ্গে তার স্ত্রীকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পান।
ওই কনস্টেবল এই সময় বাইরে থেকে দরজায় তালা দিয়ে বিষয়টি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করেন। এরপর জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমিত চৌধুরী, সদর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার একরামুল হক ও গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিপজুর আলম মুন্সি তদন্ত কেন্দ্রে গিয়ে বেলালের ঘরের তালা খুলে দুজনকে একসঙ্গে পান।
এরপর সঙ্গে সঙ্গে বেলালকে প্রত্যাহার করা হয়। পুলিশ কর্মকর্তারা ওই রাতেই বেলাল হোসেনকে জেলা পুলিশ লাইনে নিয়ে যান। তবে ওই কনস্টেবল এবং তার স্ত্রীকে তদন্ত কেন্দ্রেই রাখা হয়।
জানতে চাইলে গোদাগাড়ী থানার ওসি হিপজুর আলম মুন্সি বলেন, এটা নৈতিক অবক্ষয়। পুলিশ বাহিনীতে এ ধরনের অপরাধ সহ্য করা হয় না। বেলালের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
তবে এ বিষয়ে কিছু জানেন না বলে দাবি করেছেন জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) মোয়াজ্জেম হোসেন ভূঁঞা। ফোন না ধরায় বক্তব্য পাওয়া যায়নি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমিত চৌধুরীর। আর মিটিংয়ে আছেন জানিয়ে কথা বলতে চাননি সহকারী পুলিশ সুপার একরামুল হক।
খবর২৪ঘণ্টা.কম/রখ