1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
কোটাবিরোধী আন্দোলন: কঠোর হুঁশিয়ারি ডিএমপি কমিশনারের - খবর ২৪ ঘণ্টা
মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:২৪ পূর্বাহ্ন

কোটাবিরোধী আন্দোলন: কঠোর হুঁশিয়ারি ডিএমপি কমিশনারের

  • প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ১২ জুলা, ২০২৪

সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের দাবিতে দেশজুড়ে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ মিছিল করছেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের এ আন্দোলনে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষের। বিশেষ করে সর্বাত্মক ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচিতে কার্যত অচল হয়ে পড়েছে ঢাকা। ব্যবসা-বাণিজ্যেও পড়েছে প্রভাব। এ অবস্থায় আন্দোলনকারীদের কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান।

শুক্রবার (১২ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় এক অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গজনিত কোনো কার্যক্রম কেউ করলে বরদাশত করা হবে না।

হাবিবুর রহমান আরও বলেন, সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বিষয়টি আদালতের। আদালতের প্রতি সবার আস্থা রাখা উচিত। আদালতের আদেশ মেনে চলার জন্য বাধ্য-বাধকতা রয়েছে। সেটি সবার করা উচিত।

এদিকে, পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে বৃহস্পতিবার ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় গুরুত্বপূর্ণ সড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা। এ সময় ঢাকার বাইরে বেশ কিছু জায়গায় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে আজ (শুক্রবার) দেশব্যাপী ক্যাম্পাসে-ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ সমাবেশ করবে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।

আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ হাসান বলেন, আমরা সব বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানাব, আপনারা শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন। আমাদের ওপর হামলাকারীদের বিচারের আওতায় আনুন।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে ৫৬ শতাংশ কোটা প্রচলিত ছিল। এর মধ্যে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা, ১০ শতাংশ নারী কোটা, অনগ্রসর জেলার বাসিন্দাদের জন্য ১০ শতাংশ কোটা, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষদের জন্য ৫ শতাংশ এবং প্রতিবন্ধীদের জন্য ১ শতাংশ আসন সংরক্ষিত ছিল।

ওই বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোটা সংস্কারের দাবিতে বড় বিক্ষোভ হয়। কোটাব্যবস্থার সংস্কার করে ৫৬ শতাংশ কোটা থেকে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনার দাবি জানিয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা। পরে সে বছরের ৪ অক্টোবর কোটাপদ্ধতি বাতিলবিষয়ক পরিপত্র জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

এর মাধ্যমে ৪৬ বছর ধরে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে যে কোটাব্যবস্থা ছিল, তা বাতিল হয়ে যায়। পরে ২০২১ সালে সেই পরিপত্রের মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের অংশটিকে চ্যালেঞ্জ করে কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান উচ্চ আদালতে রিট করেন। সেই রিটের রায়ে চলতি বছরের ৫ জুন পরিপত্রের ওই অংশ অবৈধ ঘোষণা করা হয়। এরপর চাকরিপ্রত্যাশী সাধারণ শিক্ষার্থীরা মাঠে নামেন।

টানা কয়েক দিন আন্দোলনের পর গত ৯ জুলাই কোটা পুনর্বহাল নিয়ে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী। পরেরদিন হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের ওপর এক মাসের স্থিতাবস্থা জারি করেন আপিল বিভাগ। এ আদেশের ফলে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করে ২০১৮ সালে সরকারের জারি করা পরিপত্র বহাল থাকছে। তবে শিক্ষার্থীরা আপিল বিভাগের এই আদেশ প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।

বিএ…

পোস্টটি শেয়ার করুন

এ ধরনের আরো খবর

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By SISA HOST