1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
রাজশাহীতে অনলাইন জিডি করতে ভোগান্তি - খবর ২৪ ঘণ্টা
রবিবার, ১২ জানয়ারী ২০২৫, ০২:০৩ অপরাহ্ন

রাজশাহীতে অনলাইন জিডি করতে ভোগান্তি

  • প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ১৪ মে, ২০২৪

ডিজিটাল থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার। তারই ধারাবাহিকতায় পুলিশি সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে ২০২২ সালের ২১ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘অনলাইন জিডি’ প্রকল্প উদ্বোধন করেন। এরপর থেকেই জনগণ অনলাইনে নিজেদের হারানো জিনিস উদ্ধার, পাওয়া জিনিস বা হুমকিসহ নানা সমস্যায় পুলিশি সহয়তায় সমাধানে সাধারণ ডাইরিভুক্ত করতে থানায় যেতে হয় না কিংবা গেলে পুলিশ তা অনলাইনে সাবমিট করতে হয়।

প্লে স্টোর থেকে ONLINE GD নামক সফটওয়্যার ইনস্টল করে অথবা http://gd.police.gov.bd/ ওয়েবসাইটে ঢুকে নিজের মোবাইল নাম্বার ও মনে রাখার সুবিধা মতো পাসওয়ার্ড দিয়ে এবং অন্যান্য নির্দেশনা অনুসরণ করে নিবন্ধন সম্পন্ন করে যদ কেউ যেকোনো জায়গায় বসে অনলাইনে জিডি করতে পারে।

পুলিশের ওয়েব সাইটে সাধারণ ডায়েরি করার বিষয়ে দেওয়া নির্দেশিকায় বলা হয়—‘আপনার হারানো ও প্রাপ্তি সংক্রান্ত জান-মালের বিষয়সহ যেকোনও বিষয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ করতে এই ওয়েবসাইট ব্যবহার করুন। সংশ্লিষ্ট থানা থেকে আপনার অভিযোগের ধরন অনুসারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং আপনাকে অবগত করা হবে। অভিযোগের বিষয়টি যদি জিডির যোগ্য হয়, তাহলে সেটি জিডি নম্বর এবং তদন্ত অফিসারের বিবরণীসহ আপনাকে ডিজিটাল জিডির কপি পাঠানো হবে। অভিযোগের বিষয়টি যদি মামলার যোগ্য (আমলযোগ্য অপরাধ) হয়, সেক্ষেত্রে অভিযোগের প্রিন্ট কপি, অথবা অভিযোগের কোড নম্বরসহ আপনাকে থানায় উপস্থিত থাকতে হবে।’

‘অভিযোগ করতে যা প্রয়োজন হবে তা হচ্ছে—জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর, সচল মোবাইল নম্বর, লাইভ ছবি। এক্ষেত্রে অনলাইন জিডি অ্যাপস এবং ওয়েব পোর্টালে যেসব সুবিধা রয়েছে সেগুলো হচ্ছে—খুব সহজে অভিযোগটি পুলিশকে জানাতে পারবেন এবং অভিযোগের সর্বশেষ অবস্থা জানতে পারবেন। অভিযোগের তদন্তকারী অফিসারের সঙ্গে অনলাইনে যোগাযোগ করতে পারবেন।

এরফলে জনগণ এই সেবা সহজেই ঘরে বসে গ্রহণ করতে পারে। কিন্তু অনলাইন জিডি সেবা গ্রহণ করতে গিয়ে পোহাতে হচ্ছে অসম্ভব ভোগান্তি। অনলাইনে জিডি করতে গিয়ে অনেকেই ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর ও জন্ম তারিখ সাবমিট করার পর জাতীয় পরিচয়পত্রে থাকা সম্পূর্ণ তথ্য চলে আসে। এরপর লাইভ ছবি দেওয়ার ধাপে গেলে বলা হয়— জাতীয় পরিচয়পত্রের ছবির সঙ্গে বর্তমান ছবির কোনও মিল নেই। জবাবদিহি’র এই প্রতিবেদক অনলাইন জিডির প্রক্রিয়ায় ঢুকে একাধিকবার চেষ্টা করেও সফল হননি।
ফলে অনলাইন জিডি করতে প্রথমে যে রেজিস্ট্রেশন করতে হয়, সেটাই করতে পারছেন না আগ্রহী ব্যক্তি। আর রেজিস্ট্রেশন করা না গেলে অনলাইনে জিডিও করা যাবে না। সাধারণত যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র অনেক আগের, সেটার ছবি ও বর্তমান ছবির মিল থাকার কথা নয়। এনআইডি ছবির সঙ্গে বর্তমান ছবির মিল পাওয়া যাচ্ছে না অনেকের। কেউ আবার পাসওয়ার্ড দিলেও নিচ্ছে না। পুলিশি সূত্রে জানা যায়, হারিয়েছে বা লস এন্ড ফাউন্ড জিডি থানায় না গিয়ে বাইরের দোকানে বা বাড়িতে বসে অনলাইনের মাধ্যমে জিডি করার জন্য সফটওয়্যার চালু করা হয়েছে। রাজশাহীতে থানা গুলোর বাইরে অনেক দোকান চালু হয়েছে যেখান থেকে অনলাইনে জিডি সম্পন্ন করতে হয়। থানায় জিডি করতে গেলে পড়তে হয় ভোগান্তিতে। থানা থেকে বলা হলো আপনি বাইরে দোকানে গিয়ে অনলাইনে আবেদন করেন এবং হার্ড কপি আমাদের কাছে নিয়ে আসেন। তাদের কথামত দোকানে গেলে দোকানদার প্রায়ই জানায়, অনলাইনে জিডি করা যাচ্ছে না, সার্ভারে সমস্যা। রাজশাহী মহানগরীর প্রায় সবগুলো থানারই এমন চিত্র।

অনলাইনে জিডি করতে গিয়ে পড়তে হচ্ছে বিড়ম্বনায়। সহজে সার্ভারে ঢোকা যায় না। জিডি’র জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে ঘন্টার পর ঘন্টা। এতে জিডি করতে যাওয়া সেবাগ্রহীতাদের মূল্যবান সময় নষ্ট হচ্ছে। এছাড়াও মহানগরীর থানা গুলোতে যে সেমস্ত ডিউটি অফিসার আছেন তারাও যথেষ্ট প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত নয়। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় যে, থানায় যেসমস্ত ডিউটি অফিসার অনলাইনে জিডি করার কাজে নিয়োজিত রয়েছেন তাদের টাইপিং স্পীড যথেষ্ট নয় তার উপর সার্ভারে সমস্যা থাকার জন্য প্রতিদিন অনেক মানুষকে জিডি করতে গিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা থানায় বসে থাকতে হয়। ডিউটি অফিসার একটা জিডি সম্পন্ন না করে অন্যটা নিয়ে কাজ করতে পারে না বলেও সময়ক্ষেপণ হয়। এতে বিড়ম্বনায় যেমন জিডি করতে যাওয়া ব্যক্তিরা পরছেন সেইসাথে ডিউটি অফিসারদেরও ঝামেলা পোহাতে হয়।

এছাড়া রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া থানায় গিয়ে দেখা গেছে ডিউটি অফিসারের কক্ষে যথেষ্ট সিটিং ব্যবস্থা নেই। এক্ষেত্রে জিডি সহ অন্যান্য সেবা গ্রহণের জন্য যাওয়া ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। গুটিকয়েক যে চেয়ার বা বেঞ্চ রয়েছে সেগুলো পুরোনো বা অকেজো। সার্ভার সমস্যার জন্য একেকটি জিডি করতে অনেকের ১:৩০/২ ঘন্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে বলেও জানা যায়। শুধু বোয়ালিয়া থানাতেই নয়, এই চিত্র রাজশাহী নগরীর প্রায় সব থানায়। নাগরকি সেবার মান আগে যেখানে ছিল ঠিক তার চেয়ে আরো নিম্নমানের হয়েছে এমনটাই বলছেন জিডি করতে আসা লোকজন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘এসব জটিলতা সহজ করা না হলে অনলাইন জিডির কাঙ্ক্ষিত সফলতা পাওয়া যাবে না। তাই অনলাইন জিডির সফটওয়্যারে কীভাবে এটার সমাধান করা যায়, সেটা সংশ্লিষ্ট দফতরকে জানানো হয়েছে। সেটা নিয়ে কাজ চলছে।’

বিএ…

পোস্টটি শেয়ার করুন

এ ধরনের আরো খবর

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By SISA HOST