খবর২৪ঘণ্টা.কম, ডেস্ক: জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায়ের কপি ছয় দিন পর আজ বিকেলে আদালত কর্তৃপক্ষ দেবেন বলে সাজাপ্রাপ্ত বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আইনজীবী জানিয়েছেন।
খালেদা জিয়ার প্যানেল আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া বলেন, ‘আজ বুধবার সকালে পুরান ঢাকার বকশীবাজারে স্থাপিত বিশেষ আদালতের বিচারক ডা. মো. আখতারুজ্জামানের আদালতের কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানিয়েছেন, কপি তৈরির কাজ শেষ পর্যায়ে। বিকেল ৪টা নাগাদ তা আইনজীবীদের দেওয়া যাবে।’
আদালত সূত্রে জানা যায়, মূল রায় ৬৩২ পৃষ্ঠা হলেও রায়ের অনুলিপি হবে ছয় হাজার পৃষ্ঠার বেশি। ওই অনুলিপি হাতে আসার পরই জামিনের জন্য আপিল করতে পারবেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী।
এর আগে গতকাল খালেদা জিয়ার প্যানেল আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ বলেছিলেন, ‘আদালতের রায়, এজাহার, সাক্ষী, জেরা, অভিযোগপত্র, ফরোয়ার্ডিংসহ সব কাগজ মিলে ছয় হাজার পৃষ্ঠার ওপরে অনুলিপি হবে। ওই অনুলিপি কোর্ট ফোলিওতে প্রিন্ট হয়ে গেছে। পাঁচ থেকে ছয়জন অনুলিপিকারক এ নিয়ে কাজ করছেন। কোনো ভুলভ্রান্তি হচ্ছে কি না, তাঁরা তা মিলিয়ে দেখছেন।
‘কারেকশনের পরে প্রধান অনুলিপিকারক চূড়ান্তভাবে মিলিয়ে দেখবেন কোনো ভুল হলো কি না। এর পরে তিনি সেই অনুলিপিতে স্বাক্ষর করবেন। তার স্বাক্ষরের পরে ওই আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা স্বাক্ষর করবেন। এর পরে অনুলিপিতে কোর্ট ফি লাগানো হবে। আর সব কাজ সম্পন্ন হলেই এ মামলার রায়ের কপি পাওয়া যাবে’, যোগ করেন সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণা করেন বিশেষ আদালতের বিচারক ডা. মো. আখতারুজ্জামান। রায়ে তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন। এ ছাড়া বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ পাঁচ আসামিকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড এবং দুই কোটি ১০ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) কাজী সলিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমানকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এঁদের মধ্যে তারেক রহমান, কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমান পলাতক।
অনুলিপি পাওয়ার পরের ধাপ
ওই কপি দিয়ে হাইকোর্ট বিভাগে আপিল করবেন বিএনপির চেয়ারপারসন। ওই আপিলে জামিনের আবেদন করা হবে। জামিন মঞ্জুর করা হলে ওই আদেশ ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ ড. আখতারুজ্জামানের আদালতে পাঠানো হবে। এর পরে আদালতে আবার জামিননামা দাখিলের অনুমতি চাইবেন আইনজীবীরা। বিচারক ওই জামিননামা দেওয়ার অনুমতি দিলে খালেদা জিয়ার পক্ষে মুচলেকা (বন্ড) দিতে হবে। তখন একটি রিলিজ আদেশ কারাগারে পাঠানো হবে। ওই রিলিজ আদেশ পাওয়ার পর কারা কর্তৃপক্ষ খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেবেন, যদি অন্য মামলায় গ্রেপ্তার না হন।
খবর২৪ঘণ্টা.কম/রখ