র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) কার্যক্রম পরিচালনায় কোনো সমস্যা থাকলে নতুন করে প্রশিক্ষণ দিতে পারে যুক্তরাষ্ট্র, জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন।তিনি বলেন,র্যাব কীভাবে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করবে, সেটা শিখিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) সকালে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের ২১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এসব কথা বলেন আবদুল মোমেন।
এ সময় আবদুল মোমেন বলেন, র্যাব কীভাবে অ্যাকশন নেবে, এগুলো শিখিয়েছে আমেরিকানরা। তাদের এই রুলস অব এনগেজমেন্টে যদি অসুবিধা থাকে, আমরা আমেরিকানদের বলব, তোমরা এদের ফ্রেশ ট্রেনিং দাও, যাতে কোনো ধরনের ব্যত্যয় না ঘটে।
এ সময় র্যাবের সমালোচনায় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনের বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান হলেই যে খুব ভালো প্রতিষ্ঠান, তা নয়। একটি প্রতিষ্ঠান বলেছে, বাংলাদেশে বহু লোক মেরে ফেলেছে র্যাব। তারা একসময় বলেছিল, ইরাকে নিষিদ্ধ অস্ত্র রয়েছে। এটা বলার প্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্র সরকার মনে করেছে, সত্যি সত্যি আছে, পরের ঘটনা আপনারা জানেন। আমি যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে বলব, তারা আগের কথা স্মরণ করুক। একটি প্রতিষ্ঠান কীভাবে তাদের ভুল পথে নিয়েছে, যার কারণে তাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে দুঃখ প্রকাশ করতে হয়েছে।
আবদুল মোমেন বলেন, র্যাব অত্যন্ত পারদর্শীভাবে ও সততার সঙ্গে কাজ করছে। এ জন্য বাংলাদেশে সবার কাছে র্যাব গ্রহণযোগ্য। আমাদেরও কাজ করার আছে। যদি কোথাও আইনের ব্যত্যয় হয়, অবশ্যই আমরা সেখানে অ্যাকশন নেব।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, শান্তি মিশনে না নেওয়ার জন্য যে ১২টি আন্তর্জাতিক সংস্থা জাতিসংঘে চিঠি দিয়েছে, এতে কোনো প্রভাব পড়বে না বাংলাদেশে। জাতিসংঘ যখন শান্তি রক্ষা মিশনে কোনো দেশ থেকে সদস্য নেয়, তখন তারা খুব ভালোভাবেই যাচাই বাছাই করে নেয়। কিছু লোক দেশের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছেন। তাদের দেশের প্রতি কোনো মমত্ববোধ নেই। তবে দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে কোনো লাভ হবে না বলেও সাফ জানিয়ে দেন তিনি।
বিএ/