1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
খালেদাকে নাশকতার তিন মামলায় গ্রেফতার দেখাবে পুলিশ - খবর ২৪ ঘণ্টা
সোমবার, ২৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:০৩ অপরাহ্ন

খালেদাকে নাশকতার তিন মামলায় গ্রেফতার দেখাবে পুলিশ

  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ১২ ফেব্ুয়ারী, ২০১৮
khobor24ghonta.com

খবর২৪ঘণ্টা.কম, ডেস্ক: দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে নাশকতার ঘটনায় দায়ের তিন মামলায় ‘শ্যোন অ্যারেস্ট’ দেখানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে পুলিশ। এরই মধ্যে এসব মামলার গ্রেফতারি পরোয়ানা কুমিল্লা থেকে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাছে পাঠানো হয়েছে। উচ্চপদস্থ একাধিক দায়িত্বশীল কর্মকর্তার সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

২০১৫ সালের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে নাশকতার ঘটনায় তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। অন্যান্যের সঙ্গে এ মামলায় খালেদা জিয়াসহ বিএনপির সাত শীর্ষ নেতা হুকুমের আসামি ছিলেন। ২০১৭ সালের পৃথক সময় ও গত জানুয়ারিতে খালেদা জিয়াসহ অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে এ মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন কুমিল্লার আমলি আদালত। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায়ের পর নতুন রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে তিন মামলায় পরোয়ানা ঢাকায় পাঠানো হলো।

গত বৃহস্পতিবার জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হওয়ার পর তিনি নাজিমুদ্দিন রোডের সাবেক কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন। এরই মধ্যে এ মামলায় খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা তার আপিল ও জামিন আবেদনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তবে নাশকতার তিন মামলায় গ্রেফতার দেখানো হলে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় জামিন পেলেও তার কারামুক্তির বিষয়টি বিলম্বিত হতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্নিষ্টরা। সে ক্ষেত্রে দ্রুত কারামুক্তি পেতে হলে কুমিল্লার তিন মামলায়ও বিএনপি চেয়ারপারসনকে জামিন পেতে হবে। এদিকে, গতকাল খালেদা জিয়ার পাঁচ আইনজীবী কারাগারে গিয়ে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। আইনি ব্যাপারে তারা খালেদা জিয়ার পরামর্শও নিয়েছেন।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় কারাদণ্ড হওয়ার পর খালেদা জিয়ার কারাজীবন দীর্ঘায়িত হচ্ছে, নাকি দ্রুত তিনি জামিন পাচ্ছেন- এ নিয়ে বিএনপির ভেতরে শঙ্কার সৃষ্টি হয়েছে। নেত্রীকে মুক্ত করতে বিএনপি আপাতত আইনিভাবে পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে চায়। একই সঙ্গে রাজপথে নানা কর্মসূচিও চালিয়ে যেতে চান তারা। এদিকে, আওয়ামী লীগ নেতারা রায় নিয়ে প্রকাশ্যে খুব বেশি কথা বলতে চান না। তবে রায়ের পর দেশে বড় ধরনের কোনো নৈরাজ্য না হওয়ায় সরকার ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে এক ধরনের স্বস্তি রয়েছে। নাশকতার নানা শঙ্কা থাকলেও বড় কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না হওয়ায় পুলিশ-র‌্যাবের কর্মকর্তারাও সন্তুষ্ট।

গতকাল কারাগারে খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, রোববার কাগজপত্র পেলে সোম বা মঙ্গলবার খালেদা জিয়ার জামিনের জন্য আবেদন করা হবে।

দুদকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে আরও কিছু মামলার গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার জামিন পাওয়ার সঙ্গে অন্য মামলায়ও জামিন মিললে তার কারামুক্তিতে আইনি বাধা থাকবে না।

এ প্রসঙ্গে বেগম জিয়ার অন্যতম আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার বলেন, বিএনপিকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হয়ে বর্তমান সরকার আদালত ও পুলিশ ব্যবহার করে বেগম জিয়াকে কারাগারে রেখে আরেকটি একতরফা নির্বাচন করে ক্ষমতায় থাকতে চায়। আর সে জন্যই এসব মিথ্যা মামলা ও জেলজুলুম চালানো হচ্ছে।

দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, যে তিন মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা ডিএমপির কাছে পাঠানো হয়েছে তার নিবন্ধন নম্বর হলো- ৪৩/১৫, ৫১/১৫ ও ৫২/১৫। একই মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা কুমিল্লা থেকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। জানা গেছে, ২০১৫ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি ভোরে ২০ দলীয় জোটের অবরোধের সময় চৌদ্দগ্রামের জগমোহনপুরে একটি বাসে পেট্রোল বোমা ছুড়ে মারে দুর্বৃত্তরা। এতে আট যাত্রী দগ্ধ হয়ে মারা যান। আহত হন ২০ জন। এ ঘটনায় চৌদ্দগ্রাম থানার এসআই নুরুজ্জামান বাদী হয়ে ৭৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ৭৭ আসামির মধ্যে তিনজন মারা যান। পাঁচজনকে চার্জশিট থেকে বাদ দেওয়া হয়। খালেদা জিয়াসহ অপর ৬৯ জনের বিরুদ্ধে কুমিল্লার আদালতে তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক ফিরোজ আহমেদ চার্জশিট দাখিল করেন। এ সময় আদালতে ২০ জন উপস্থিত ছিলেন। আদালত খালেদা জিয়াসহ অনুপস্থিত ৪৯ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

পুলিশের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, খালেদা জিয়ার ঠিকানা রাজধানীতে হওয়ায় কুমিল্লা থেকে গ্রেফতারি পরোয়ানা ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। অন্য মামলায় তার সাজা হওয়ার পর কারাগারে থাকায় আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী গ্রেফতারি পরোয়ানা তামিল করার জন্য ওই মামলায় তাকে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানো হতে পারে। এ অবস্থায় তাকে কারামুক্তির জন্য জিয়া অরফানেজ মামলা ছাড়াও অন্য তিন মামলায়ও জামিন নিতে হবে। কোনো একটি মামলায় তার জামিন না হলে কারামুক্তি দীর্ঘ হতে পারে।

জানা গেছে, ২০১৫ সালের নাশকতার ঘটনায় কুমিল্লায় দায়ের করা তিনটি মামলায় বিএনপির বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতা জামিন নিয়েছেন। তবে খালেদা জিয়া এসব মামলায় জামিন আবেদন করেননি।

খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা জানান, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার আপিল ও জামিনের প্রস্তুতি একসঙ্গে চলছে। আইনের বিধান অনুযায়ী, খালেদা জিয়া রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলে সার্টিফায়েড কপি পাওয়ার ৬০ দিনের মধ্যেই করতে হবে। তবে যত দিন সার্টিফায়েড কপি তিনি না পাবেন, তত দিন পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে এই ৬০ দিনের সময় গণনা শুরু হবে না।

এদিকে, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন আদালতে আরও ৩৬টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে যাত্রাবাড়ীতে নাশকতার মামলা, গ্যাটকো দুর্নীতি, নাইকো দুর্নীতি, ভুয়া জন্মদিন পালন-সংক্রান্ত মামলা রয়েছে। খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে এসব মামলা বর্তমান মহাজোট সরকার ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে দায়ের করা হয়। বিএনপি অভিযোগ করে আসছে, খালেদা জিয়াকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখার জন্য মামলা দায়ের করছে সরকার। এ ছাড়া খালেদা জিয়ার পরিবারের বিরুদ্ধে এসব মামলার মধ্যে ১১টি উচ্চ আদালতের নির্দেশে স্থগিত রয়েছে। কিছু মামলা দায়েরের পর আদালতের নির্দেশে প্রাথমিক তদন্ত চলছে। এ ছাড়া কয়েকটি মামলা চার্জ গঠনের ওপর শুনানির জন্য দিন ধার্য রয়েছে। লন্ডনে অবস্থানরত বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান ১৮ মামলার আসামি।

জিয়া অরফানেজ মামলার দুই আসামি কোথায় : জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান কোথায় পালিয়ে আছেন, তা এখনও জানে না আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তাদের পলাতক দেখিয়ে মামলার রায় হয়েছে। পলাতক তিনজনকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

তবে পুলিশের একটি দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় পলাতক তিনজনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের মাধ্যমে নোটিশ জারি করার প্রক্রিয়া নেওয়া হচ্ছে। এতে পলাতকদের সম্পর্কে ইন্টারপোলভুক্ত ১৯২ সদস্য রাষ্ট্র জানতে পারবে।

খবর২৪ঘণ্টা.কম/রখ

পোস্টটি শেয়ার করুন

এ ধরনের আরো খবর

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By SISA HOST