‘জিয়াউর রহমান মুক্তিযোদ্ধা নন, জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেননি’ সংসদে বলা এসব কথা সংসদের কার্যপ্রণালী থেকে এক্সপাঞ্জের দাবি জানিয়েছেন বিএনপির সংসদ সদস্য মো. হারুনুর রশীদ।
বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদে একটি আইন প্রণয়নের সময় জনমত যাচাইয়ের উপর বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি এই দাবি জানান তিনি।
এর আগে সকালে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হয়।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘জিয়াউর রহমান বীরত্বের সাথে যুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছেন। যেখানে ২৮৭ জন মুক্তিযোদ্ধা শাহাদত বরণ করেছেন। এই সেক্টরের দুজন বীরশ্রেষ্ঠ উপাধিতে ভূষিত হয়েছেন। এরা হলেন সিপাহী হামিদুর রহমান ও নায়েক মুন্সী আব্দুর রউফ।’
এ সময় সংসদে হারুনুর রশীদের বক্তব্য নিয়ে হইচই শুরু হয়। অন্যদিকে তাকে দেওয়া নির্ধারিত সময়ও শেষ হয়ে যায়। তারপর স্পিকার তাকে এক মিনিট সময় দেন।
এ সময় হারুনুর রশীদ বলেন, জিয়াউর রহমান মুক্তিযোদ্ধা না, জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেনি- এগুলো সংসদে বলা হয়েছে। এগুলো সংসদের কার্যপ্রণালী থেকে এক্সপাঞ্জ করতে হবে। এগুলো অসত্য। এগুলো যদি আপনি এক্সপাঞ্জ না করেন তাহলে সংসদে আমাদের কথা বলে লাভ কী? আমি মনে করি, যেখানে ন্যাশনাল আর্কাইভসের মুক্তিযুদ্ধের দলিল রচিত হয়েছে, তার মধ্যে কি জিয়াউর রহমান মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে লিপিবদ্ধ নাই? তাহলে আজকে আমরা এ সমস্ত কথা কেন বলছি? এগুলো আমি মনে করি পরিহার করা উচিত।’
তিনি আরও বলেন, ‘ন্যাশনাল আর্কাইভকে আরও শক্তিশালী করার জন্য যে আইনটি আনা হচ্ছে। আমি আশা করব এর মধ্য দিয়ে আমাদের জাতির ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে ধারণ করবো, সংরক্ষণ করবো এবং এটিকে আমরা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরবো।’
জেএন