রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনুসহ চার নেতার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। আজ বুধবার দুপুরে রাজপাড়া থানা আমলি আদালতের বিচারক রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় এ চার নেতার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ইস্যু করেন। অন্য আসামিরা হলেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা রুহুল কুদুস তালুকদার দুলু (৫৭), রাজশাহী মহানগর বিএনপির সভাপতি সাবেক সিটি মেয়র মােসাদ্দেক হােসেন বুলবুল (৫৪), সাধারণ সম্পাদক শফিকুল হক মিলন (৫৫)। এর আগে ১৬ ই মার্চ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে মামলাটি অনুমোদন হয়ে আসে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও রাজপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মাজহারুল ইসলাম রাজপাড়া থানা আমলী আদালত কর্তৃক ওয়ারেন্ট ইস্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
অঅভিযোগের কাগজে উল্লেখ করা হয়েছিল, গত ২ মার্চ রাজশাহী বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ থেকে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে একই সাধারণ উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের প্রতি ঘৃণা বিদ্বেষ সৃষ্টি এবং প্রাণ নাশের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকার উৎখাতের অসৎ উদ্দেশ্যে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু প্রকাশ্যে হুমকী প্রদান করে। এসময় তিনি বলেন-“হাসিনা রেডি হও- আজ সন্ধ্যার সময়- কালকে সকাল তােমার নাও হতে পারে, মনে নাই পচাত্তর সাল, পচাত্তর সাল মনে নাই” (উল্লেখ্য ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগষ্ট বিএনপি এর প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মদদে কর্ণেল ফারুখ রশিদসহ কতিপয় বিপথগামী সামরিক বাহিনীর লােক জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে।) উক্ত ঘােষণার পর বিএনপি নেতা কর্মীদের মধ্যে উগ্রভাব ছড়িয়ে পড়ে
বিএনপি এর কতিপয় নেতা কর্মী সমাবেশে উদ্দেশ্যে মূলকভাবে ফেইসবুকে লাইভ সম্প্রচার করেন। সমাবেশে মঞ্চে থাকা বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা রুহুল কুদুস তালুকদার দুলুসহ অন্যন্যা আসামীরা একইভাবে বক্তব্য প্রদানের মাধ্যমে ঘৃণা- বিদ্বেষ সৃষ্টি করেন। বেআইনি ভাবে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন নির্বাচিত সরকার উৎখাতের হুমকি পরিদর্শন করেন।
এতে আরও বলা হয়- আসামীগণ পরস্পর যােগসাজসে ও সহযােগিতায় পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে বিভাগীয় সমাবেশ’র
আয়ােজনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাসহ নির্বাচিত সরকার উত্থাতের প্রকাশ্য ঘােষণা ও হুমকি প্রদর্শন করে রাষ্ট্রদ্রোহীতার অপরাধ করেছে। আসামীরা সমাবেশের বক্তব্য ও কার্যকলাপ বাংলাদেশের নিরাপত্তা এবং সার্বভৌমত্বের প্রতি বিপদ জনক ও হুমকী স্বরূপ অপরাধ করেছেন।
এস/আর