সরেজমিনে ঘুরে উপজেলার নওপাড়া ইউনিয়নের শেখপাড়া এলাকার জমির উদ্দিনের সাথে আলাপকালে জানা যায়, বর্ষার পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথে অগ্রহায়ণ মাসের প্রথমদিকে কৃষকরা সরিষার বীজ বুনে থাকে। কৃষকরা খুব কম সময়ে সরিষা ঘরে তুলতে পারে। একই এলাকার খাইরুল হোসেন বলেন, আমি দুই বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করেছি। প্রচুর ফলন হয়েছে, আশা করি দামও ভালো পাবো। তবে বিভিন্ন কৃষি পণ্যের পাশাপাশি সরিষার ক্ষেত্রে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা অব্যাহত থাকলে এখানকার কৃষকরা আরও বেশি উপকৃত হতো। উপজেলার আলীপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল কাদের ও কাশিপুর গ্রামের কৃষক হারুন মিয়া জানান, এবার চার বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করেছেন। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে বাম্পার ফলনের আশা করছেন। এতে খরচ বাদে প্রতি বিঘায় ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা আয় হবে।
এ ব্যাপারে দুর্গাপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মোঃ সবুজ আলী জানান, উপজেলায় ১ হাজার ৭ শত ৪০ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ করা হয়েছে। কম খরচে অধিক মুনাফা হওয়ায় প্রতি বছরই সরিষা চাষে কৃষকদের আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে। উপজেলার নওপাড়া ইউনিয়নে সরিষার চাষ করা হয় সবচেয়ে বেশি।
সরিষা চাষে সরকারি ভাবে ও বিভিন্ন প্রকল্পের সহায়তায় উচ্চ ফলনশীল জাতের
সরিষার আবাদ ভবিষ্যতে আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা যাচ্ছে। কৃষি অফিস থেকে কৃষকদের উচ্চ ফলনশীল সরিষা আবাদের জন্য সব সময়ই উৎসাহ ও সহায়ত করে থাকি। উপযুক্ত বীজ নির্বাচন, সুষম সার প্রয়োগে আমরা প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে থাকি। এ বছর আবহাওয়া অনুকলে থাকায় সরিষার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানান তিনি।