বগুড়া প্রতিনিধি: বগুড়ার কাহালু উপজেলার জামগ্রাম ইউনিয়নের বান্দাইখাড়া কেশবপুর গ্রামে গত ১৯আগস্ট রাতে আবদুল খালেকের বাড়ীতে সংঘঠিত দস্যুতা মামলার রহস্য উদঘাটন, লুষ্ঠিত মালামাল উদ্ধার ও মামলার মূল আসামি জিয়ারুল ইসলাম ওরফে জিয়া (৩৫) ও আবু সাঈদ (৩০) কে গ্রেফতার করেছেন কাহালু থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত আসামি জিয়ারুল ইসলাম ওরফে জিয়া কাহালু উপজেলার চকজগৎপুর গ্রামের মৃতঃ কমর উদ্দিনের পুত্র ও আবু সাঈদ উপজেলার দেওগ্রাম দিঘীরপাড় গ্রামের মৃতঃ রইচ উদ্দিন ওরফে কসাই গাটুর পুত্র।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, বগুড়া সদর থানার মামলা নং-০৪, তারিখ ০২/০৯/২০২০ইং ধারা-৩৬৫/৩৮৫/৩৮৭/৩৪ পেনাল কোড মামলায় জিয়ারুল ইসলাম ওরফে জিয়া ও আবু সাঈদ কাহালু থানায় দায়েরকৃত দস্যুতা মামলার বাদী আবদুল খালেক এর লুষ্ঠিত মোবাইল ফোন ও সিমকার্ড ব্যবহার করে অপরাধ সংঘটনকালে গ্রেফতার হন এবং জেল হাজতে তাদের সোর্পদ করা হয়। পরবর্তীতে আসামীদ্বয়কে কাহালু থানার দস্যুতা মামলায় পুনঃরায় তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে পুলিশী হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদের নির্মিত্তে কাহালু থানা পুলিশ আদালতে রিমান্ডের আবেদন করেন। বিজ্ঞ আদালত এক দিনের রিমান্ড মুঞ্জুর করেন।
কাহালু থানা পুলিশ আসামি জিয়ারুল ইসলাম ওরফে জিয়া ও আবু সাঈদকে রিমান্ডে নিয়ে এসে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে তারা লুণ্ঠনের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন এবং তাদের সহযোগী আসামীর নাম প্রকাশ করেন। তাদের দেওয়া তথ্যানুসারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কাহালু থানার এস আই আশিকুর রহমান আশিক সঙ্গীয় ফোর্স সহ গত ১৪/০৯/২০২০ইং তারিখে রাতে অভিযান চালিয়ে মামলার মূল আসামি জিয়ারুল ইসলাম ওরফে জিয়ার বাড়ী থেকে বাদী আবদুল খালেকের লুন্ঠনকৃত ৭টি জমি-জমার মূল দলিল, ১টি অটোভ্যানের পুরাতন ব্যাটারী, বাদীর স্ত্রীর জাতীয় পরিচয় পত্র এবং জন্মসনদ উদ্ধার করেন।
এ ব্যাপারে কাহালু থানা কর্মকর্তা ইনর্চাজ (ওসি) মো. জিয়া লতিফুল ইসলাম এর সাথে কথা বলা হলে তিনি জানান, মামলার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করিয়া মূল আসামি জিয়ারুল ইসলাম ওরফে জিয়া আদালতে ফৌজদারী কার্যবিধি ১৬৪ ধারা মোতাবেক জবানবন্দি দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন এ মামলার অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত রয়েছেন।
খবর২৪ঘন্টা/নই