খুলনায় মহাসমাবেশ করার অনুমতি এখনও পায়নি বিএনপি। অনুমতির অপেক্ষায় থাকা নেতাকর্মীরা নগরীর কে ডি ঘোষ রোডস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে স্লোগান দিচ্ছেন। আর কেন্দ্রীয় নেতারা অবস্থান করছেন দলীয় কার্যালয়ে।
বিশৃঙ্খলা রোধে শুক্রবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে এই এলাকায় সিসি ক্যামেরাও স্থাপন করেছে কেএমপি।
বিএনপির দাবি অনুযায়ী, শহীদ হাদিস পার্ক, মহারাজ চত্ত্বর, বাবরী চত্ত্বর শিববাড়ী মোড়, সোনালী ব্যাংক চত্ত্বর, ফেরিঘাট মোড়েও সমাবেশ করার অনুমতি পায়নি দলটি। অবশেষে দলীয় কার্যালয়ের সামনেই করা হয়েছে সমাবেশের অস্থায়ী মঞ্চ স্থাপনের চেষ্টা।
মহাসমাবেশের সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেছেন, খুলনায় বিএনপির মহাসমাবেশ বানচালে সরকার প্রশাসন দিয়ে বাধার সৃষ্টি করছে। একাধিকবার সমাবেশের অনুমতি চেয়েছি, সিটি মেয়রের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে শহীদ হাদিস পার্কটি চাওয়া হয়েছে। তিনি সহযোগিতার আশ্বাসও দিয়েছিলেন। সহযোগিতা তো পেলামই না, বরং চরম অসহযোগিতা করেছে প্রশাসন।
এখনো প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছেন তিনি। সাবেক সংসদ সদস্য মঞ্জু আরও বলেন, মহাসমাবেশ সফলে বাকি সময়টুকুও প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি। খুলনায় সফল কর্মসূচি শুধু বিএনপির নয়, খুলনাবাসীর জন্য গৌরবের।
উল্লেখ্য, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের দাবিতে, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের বীর উত্তম খেতাব বাতিলের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ও বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে দেশের ছয় সিটিতে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থীদের নেতৃত্বে পূর্ব ঘোষিত মহাসমাবেশের আজ (২৭ ফেব্রুয়ারি) দ্বিতীয় দিন।
নগরীর কে ডি ঘোষ রোডস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত এ মহাসমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করবেন বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর বীর উত্তম। বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, ভাইস-চেয়ারম্যান নিতাই রায় চোধুরী ও যুগ্ম-মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। খুলনা মহানগর ও জেলা বিএনপি যৌথভাবে এ মহাসমাবেশের আয়োজক।
জেএন