ঢাকামঙ্গলবার , ১৪ জানুয়ারি ২০২০
আজকের সর্বশেষ সবখবর

স্ত্রী নির্যাতনের মামলায় এসআই নাসির কারাগারে

khobor
জানুয়ারি ১৪, ২০২০ ৭:৫৭ অপরাহ্ণ
Link Copied!

খবর ২৪ ঘন্টা ডেস্ক : ঢাকার (ডিএমপি) যাত্রাবাড়ী থানায় কর্মরত এসআই নাসির আহমেদকে যৌতুক মামলায় পাবনার আদালত জেলহাজতে পাঠিয়েছেন। সোমবার (১৩ জানুয়ারি) জেলা পাবনার নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে বিচারক এ আদেশ দেন।

তবে গ্রেফতারের আগে রোববার (১২ জানুয়ারি) এসআই নাসির তার ফেসবুক ওয়ালে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়েছেন বলে দাবি করেন। এমনকি তার স্ত্রী তাকে ঝাড়ু দিয়ে পিটিয়েছেন বলেও এক পোস্টে এমনটা উল্লেখ করেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, এসআই নাসিরের শ্বশুর পাবনা সদর উপজেলার বলরামপুর গ্রামের সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে নাসির আহমেদ ও তার বাবা-মা ও বোন যথাক্রমে মোস্তাক আহম্মেদ, সালমা আহম্মেদ ও লাকী খাতুনকে আসামি করে একটি মামলা (মামলা নং- ১৮৯/২০১৯, এনএস- ২৯/২০২০) দায়ের করেন।

ওই মামলায় বাদী অভিযোগ করেন, তার মেয়ে রুবিনা আক্তার রুনার সঙ্গে শহরের কাচারিপাড়ার মোস্তাক আহমেদের ছেলে নাসিরের পুলিশে চাকরি পাওয়ার আগেই পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই পাঁচ লাখ টাকা যৌতুক দাবিতে স্বামী এসআই নাসির আহম্মেদ তার স্ত্রীর ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালিয়ে আসছিলেন।

একপর্যায়ে যৌতুক না পেয়ে অন্য আসামিদের যোগসাজসে নাসির স্ত্রীকে মারধর করেন। এছাড়াও আসামি নাসির পরকীয়া প্রেমে আসক্ত বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়। উক্ত মামলার ধার্য তারিখের আগেই গতকাল সোমবার আসামি নাসির আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে তা না মঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেয়া হয়। পরে এসআই নাসির আহমেদকে পাবনা জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।

এদিকে গ্রেফতারের আগে রোববার (১২ জানুয়ারি) এসআই নাসির তার ফেসবুকে শ্বশুড়বাড়ির লোকজনের দায়ের করা মামলা নিয়ে দীর্ঘ পোস্ট দেন। সেখানে তিনি দাবি করেন, তাকে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়েছেন। কারণ তিনি উল্লেখ করেন, যে তারিখে ও যে সময়ে তার বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ করা হয়েছে সেদিন তিনি কর্মস্থল থেকে ছুটি নিয়ে বাড়ি এসেছিলেন। বাড়ি এসে তার নানীর জানাজায় শরিক হয়েছিলেন। তিনি তার প্রভাবশালী শ্বশুরের কাছে অসহায়ত্ব দাবি করেন। তিনি নিজ ও তার বাবা-মায়ের নিরাপত্তা নিয়েও শঙ্কা প্রকাশ করেন।

এছাড়া ১২ অক্টোবর ২০১৯ তিনি আরেকটি পোস্টে উল্লেখ করেন, তার স্ত্রী রুনাকে মারধরের যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা সঠিক নয়। তিনি স্ত্রীকে কোনোদিন চড়ও দেন নাই বরং তার স্ত্রী রুনাই তাকে ঝাঁড়ুপেটা করেছেন। তার প্রভাবশালী শ্বশুর তাকে রাজশাহী থেকে ঢাকায় শ্বশুর বাসার এলাকায় বদলি করিয়েছেন। ডিবি পুলিশের মাধ্যমে আটক করিয়েছেন। বাবা-মা’র সঙ্গে সম্পর্ক না রাখতে বলেছেন। অক্টোবরে মুচলেকা দিয়ে তিনি ছাড়া পান বলে লিখেছিলেন। তিনি পুলিশের আইজিপি’রও দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন।

এস/আর

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।