সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি: গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে মাদক কারবারীদের সশস্ত্র হামলায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এ-সার্কেল) আব্দুল আউয়ালসহ ৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এসময় হামলাকারী অন্যান্যরা পালিয়ে গেলেও শামীম ওসমান সর্দার নামে বহুল আলোচিত ১৩ মামলার আসামীকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় গ্রেফতার
করে রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে ভর্তি করাতে সক্ষম হয়েছেন পুলিশ দল। গ্রেফতারকৃত শামীম ওসমান সুন্দরগঞ্জ পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা কামাল সর্দারের ৩য় পুত্র ও পৌরসভার উক্ত ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাজু সর্দারের ছোট ভাই।
বিভিন্ন স‚ত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার ভোরে উপজেলার ছাপড়হাটী ইউনিয়নের প‚র্ব-ছাপড়হাটী (মাঠেরহাট) গ্রামের পাকা রাস্তার উপর এ ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশ দলের
উপস্থিতি টের পেয়ে শামীম ওসমান সর্দারসহ তার দল পুলিশ দলের উপর সশস্ত্র হামলা চালায়। এতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ছাড়াও আরো ৪ পুলিশ সদস্য আহত হন। তাঁরা হলেন, সুন্দরগঞ্জ থানার এএসআই ওমর ফারুক, কনস্টেবল সাদেকুল ইসলাম, গাইবান্ধা ডিবি পুলিশের এসআই আবু নেওয়জ ও কনস্টেবল ন‚রুল ইসলাম। আহত পুলিশ সদস্যরা বর্তমানে গাইবান্ধা আধুনিক সদর হাসপাতাল ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে
চিকিৎসাধীন রয়েছেন। মাদক কারবারী, মোটরসাইকেল চুরি, দাঙ্গা-হাঙ্গামার ঘটনায় শামীম ওসমান সর্দারের বিরুদ্ধে ১৩টি মামলা বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।
সুন্দরগঞ্জ থানার নিরস্ত্র পুলিশ পরিদর্শক (ওসি, তদন্ত) তাজুল ইসলাম জানান, পুলিশ সদস্যদের উপর শামীম ওসমান সর্দারের দল সশস্ত্র হামলা চালালে পরিস্থিতি বেগতিক দেখে
পুলিশের পক্ষ থেকে গুলি ছুঁড়লে হামলাকারী দলের নেতা মাদক কারবারী শামীম ওসমান সর্দার পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়। পরে তাকে গ্রেফতার করে রমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে সে পুলিশ প্রহরায় চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ সময় ৩টি রাম দাসহ ২হাজার ৪০টি ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে থানা অফিসার ইনচার্জ- এসএম আব্দুস সোবাহান জানান, এ ব্যাপারে থানায় সংশ্লিষ্ট আইনে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
খবর২৪ঘণ্টা, জেএন