ঢাকাসোমবার , ১৪ মার্চ ২০২২
আজকের সর্বশেষ সবখবর

শ্রমিককে পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠালেন ওসি! স্বামীর নির্যাতনের বিচার চাইলেন স্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
মার্চ ১৪, ২০২২ ১:২৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

রাজশাহীতে স্টবেরির গাছ চুরির অভিযোগে শামিম শেখ নামে এক পরিবহণ শ্রমিককে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে হাসপাতালে পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে আরএমপির চন্দ্রিমা থানার ওসি এমরান হোসেনের বিরুদ্ধে। মারধরের পর সাজানো মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়েছেন বলেও ভুক্তভোগীর পরিবারের অভিযোগ। গতকাল (১৩ মার্চ) রবিবার বিকেলে রাজশাহী প্রেসক্লাবে এমন অভিযোগ এনে ন্যায়বিচারের আকুতি জানিয়েছেন শামিমের স্ত্রী রুপালী আহমেদ।

তিনি বলেন, গত ৫ মার্চ দশম শ্রেণীতে পড়ুয়া আমার ছেলে রুপম আহমেদ খড়খড়ি এলাকার একটি নার্সারি থেকে স্টবেরির কয়েকটি চারা নিয়ে আসে। তবে গত মাসে স্থানীয় একটি স্টবেরির বাগান থেকে ১০-১২ টি স্টবেরির চারা চুরি হয়। চুরির ঘটনায় আমার ছেলের ওপর দায় চাপান বাগানটির মালিক রাজশাহী বিশ্বিবদ্যালয়ের উদ্ভিববিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মুঞ্জুর হোসেন। এরপর গত বৃহস্পতিবার তিনি আমাদের বাসায় এসে আমার স্বামীর সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়ান এবং ৯৯৯-এ কল দিয়ে পুলিশ ডাকেন।

রুপালী আহমেদ বলেন, অধ্যাপকের ফোনে চন্দ্রিমা থানার ওসি বাসায় এসে আমার স্বামীকে মারতে মারতে গাড়িতে তোলেন। আমাদের সামনেই রাইফেল দিয়ে স্বামীর পায়ে আঘাত করেন একজন পুলিশ সদস্য। থানায় নিয়ে গিয়েও বেধড়ক পেটানো হয়। মারপিটে অজ্ঞান হয়ে পড়ে থানার ভেতরে প্রায় ৩ ঘণ্টা বেহুশ হয়ে পড়েছিলেন আমার স্বামী। অবস্থা বেগতিক দেখে থানার ওসি আমাদেরকে ডাকেন এবং চিকিৎসার জন্য খরচ দিতে চান। এরইমধ্যে রাবি অধ্যাপক থানায় আসেন এবং ওসিকে ঘুষ দিয়ে মামলা রুজু করান। পরে আমার স্বামীকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

গৃহবধু রুপালীর ভাষ্য, প্রথমে তার ছেলের ওপর দায় চাপানো হলেও পরে স্বামীর ওপর চুরির অভিযোগ আনা হয়। দায়েরকৃত মামলার বিবরণে যেদিন চুরির ঘটনার কথা বলা হয়েছে, সেদিন তার স্বামী ঢাকায় বাসে ভাড়া মারছিলেন। এছাড়া তার ছেলে স্টবেরি কিনে এনেছেন সেটির রশিদও রয়েছে। এ ঘটনায় স্বামীর মুক্তি চেয়ে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন রুপালী।

এ বিষয়ে আরএমপির চন্দ্রিমা থানার ওসি এমরান হোসেন বলেন, মারধরের অভিযোগ মিথ্যা। থানায় আসামি গ্যাস ফর্ম করে অসুস্থ হয়ে পড়লে আমরা তাকে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করি। এবং আমার নিজ খরচে তার চিকিৎসা ব্যবস্থা করি। তিনি আরো বলেন, আমি যদি নির্যাতন করে থাকি তাহলে তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন থাকবে। এ ব্যাপারে রাজশাহী বিশ্বিদ্যালয়ের উদ্ভিব বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মুঞ্জুর হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

বিএ

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।