ঢাকাসোমবার , ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯
আজকের সর্বশেষ সবখবর

র‌্যাবের তালিকাভুক্ত বিমান ছিনতাইকারী

অনলাইন ভার্সন
ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৯ ২:২২ অপরাহ্ণ
Link Copied!

খবর২৪ঘণ্টা ডেস্ক: রাষ্ট্রীয় সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ‘ময়ূরপঙ্খী’ উড়োজাহাজ ছিনতাইয়ের চেষ্টাকারী আগে থেকেই তালিকাভুক্ত অপরাধী বলে জানিয়েছে এলিট ফোর্স র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র‌্যাব)। তার নাম পলাশ আহমেদ।

যদিও কমান্ডো অভিযানের পর বলা হয়েছিল, ক্রুকে ছিনতাইয়ের চেষ্টাকারী নিজের নাম ‘মাহাদী’বলে জানিয়েছে।

সোমবার দুপুরে এক বার্তায় র‍্যাব জানায়, গতকাল কমান্ডো অভিযানে নিহত বাংলাদেশ বিমানের উড়োজাহাজ ছিনতাইয়ের চেষ্টাকারীর ফিংগার প্রিন্ট অনুসন্ধানে র‍্যাব ক্রিমিনাল ডাটাবেইজের একজন অপরাধীর তথ্যাদির সঙ্গে মিল পাওয়া যায়। তার নাম মো. পলাশ আহমেদ।

তিনি নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলার পিরিজপুরের দুধঘাটা ইউনিয়নের বাসিন্দা। তার বাবার নাম পিয়ার জাহান সরদার।
র‌্যাব আরো জানায়, প্লেনটি ঢাকা থেকে দুবাইগামী হলেও পলাশ ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী অভ্যন্তরীণ রুটের যাত্রী ছিলেন। টিকেট অনুযায়ী তার নাম ‘আহমেদ/মো. পলাশ’। ফ্লাইটের ’১৭ এ’ আসনের যাত্রী ছিলেন তিনি।

র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান গণমাধ্যমকে জানান পলাশের তথ্য আমাদের অপরাধী ডাটাবেজের তালিকাভুক্ত ছিল। তবে ঠিক কোন ধরনের অপরাধের জন্য সে আমাদের ডাটাবেজভুক্ত ছিল, তদন্তের স্বার্থে সে বিষয়ে এখনই কিছু জানানো যাচ্ছে না। উপযুক্ত সময়েই আমরা বিষয়টি গণমাধ্যমের কাছে শেয়ার করব।

উল্লেখ্য, রোববার বিকালে দুবাইয়ের উদ্দেশে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ বিমানের একটি উড়োজাহাজ উড্ডয়ন করে।

উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরই বিমানটি ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে মাহাদী। চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমানের জরুরি অবতরণ করা হয়।

জরুরি অবতরণের পরপরই রানওয়েতে বিমানটি ঘিরে ফেলে সেনাবাহিনী, র‌্যাব ও পুলিশ। পরে সব যাত্রীকে নিরাপদে নামিয়ে আনা হলেও একজন যাত্রী এবং একজন ক্রুকে ওই ছিনতাইকারী জিম্মি করে রাখে। পরে বিমানবন্দরে যায় সোয়াত টিম ও বোম ডিসপোজাল ইউনিট। ঘটনাস্থলে ছুটে যায় ফায়ার সার্ভিসও।

ঘটনাস্থল থেকে একাধিক সূত্র জানায়, বিমানের বিজি-১৪৭ নম্বর ফ্লাইটটি চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা হয়ে দুবাই যাওয়ার কথা। কিন্তু উড্ডয়নের পরপরই এ ঘটনা ঘটে। এরপরই দ্রুত ফ্লাইটের সব যাত্রীকে নামিয়ে দেয়া হয়। বিমানটি রানওয়েতে অবস্থান করে এবং সেটি ঘিরে ফেলেন সেনাবাহিনী, পুলিশ, র‌্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

বিমানবন্দরের একাধিক সূত্র জানায়, যাত্রীদের নামিয়ে আনলেও এক যাত্রী ও ক্রু প্লেনের ভেতরে ছিলেন।

সূত্র জানায়, বিমানটি রোববার বিকাল ৫টা ৪০ মিনিটের দিকে জরুরি অবতরণ করা হয়। তাৎক্ষণিক সেখানে বিমান ওঠানামা বন্ধ করা হয় বলে বিমানবন্দরের এক কর্মকর্তা মোহাম্মদ উল্লাহ বিমানের জরুরি অবতরণের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

খবর২৪ঘণ্টা, জেএন

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।