সবার আগে.সর্বশেষ  
ঢাকারবিবার , ১০ জুন ২০১৮
আজকের সর্বশেষ সবখবর

রামোসকে কখনো ক্ষমা করবেন না সালাহ!

R khan
জুন ১০, ২০১৮ ১২:৪৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

খবর২৪ঘণ্টা.কম, ডেস্কসার্জিও রামোস। লিভারপুল, মিসর এবং সালাহভক্তদের কাছে ‘ভিলেন’ তিনি। তার চ্যালেঞ্জের কারণেই গুরুতর আঘাত পেয়ে এখন মাঠ থেকে দুরে মোহাম্মদ সালাহ। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেই ফাইনাল সব সৌন্দর্য হারিয়েছে যখন কাঁদতে কাঁদতে মাঠ ছেড়েছেন মিসরের এই রাজপুত্র। গ্যালারিভর্তি সালাহ ভক্তের চোখে তখন অশ্র“ ঝরছে। সেই ঘটনার জন্য রামোসকে কখনো ক্ষমা করবে না সালাহভক্তরা, ক্ষমা করবেন না সালাহ নিজেও। এমনটাই ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।

সেই দিনের ঘটনার পর সমালোচনার ঝড় উঠে। মাঠের খেলায় জিততে মরিয়া রিয়াল মাদ্রিদ অধিনায়ক এমন ‘ঘৃণ্য’ কাজ করতে পারেন -সেটা অনেকেই ভাবতেই পারেননি। কিন্তু রামোস বরাবরই এ ধরণের কাণ্ড ঘটান। এবং সেই দিনের ঘটনার জন্য কোনো শাস্তিও পাননি। কিন্তু ফুটবলবিশ্বে ‘অপরাধী’র কাঠগড়ায় তাকে দাড় করিয়েছেন অনেকে। তার জন্য ফুটবল তার সৌন্দর্য হারিয়েছে। তার বিরুদ্ধে মামলাও করেছিলেন মিসরের এক আইনজীবী।

এতো সমালোচনার পর সালাহকে উদ্দেশ্য করে টুইট করেন রামোস, ‘অনেক সময় ফুটবল তোমাকে ভালো দিক দেখাবে, আবার কোন সময় খারাপ দিক। সর্বোপরী আমরা সবাই সতীর্থ। দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠো সালাহ, ভবিষ্যত তোমার জন্য অপেক্ষা করছে।’
কিন্তু এ ব্যাপারে সালাহ কি বলেছেন?

ঘটনার অনেকদিন পর মুখ খুলেছেন সালাহ। বলেছেন, ‘’ওই ঘটনার পর রামোস আমাকে মেসেজ পাঠিয়েছিল। আমি কিন্তু তাকে কখনো বলিনি, ‘ওকে, যা হওয়ার হয়েছে।”

তিনি বলেন, ‘’কোনো ব্যাপারে তখনি ‘ওকে’ বলা যায়। যখন কেউ তোমাকে কাঁদাবে, পরক্ষণেই হাসাবে।”
এই কথা থেকে সহজেই অনুমান করা যায় যে, সেই ঘটনা ভোলা সালাহর পক্ষে ভুলে যাওয়া কঠিন। এবং এর জন্য রামোসকে ক্ষমা করা সালাহর জন্য অতোটা সহজ নয়।

বিশ্বকাপে খেলার ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘’আশা করছি প্রথম ম্যাচে উরুগুয়ের খেলতে পারব। তবে সবকিছু নির্ভর করবে, আমার শারিরীক অবস্থার উপর।”

কোনো কিছুই এখন মানুষের চোখ এড়ায় না। কিন্তু চোখ তো প্রমাণ রাখতে পারে না, যা পারে ক্যামেরা। সেই ক্যামেরায়বন্দি হলো, রামোসের কুৎসিত হাসি। মোহাম্মদ সালাহ যখন ঘাড়ের যন্ত্রণায় কাঁদতে কাঁদতে মাঠ ছাড়ছিলেন, তখন কুৎসিতভাবে হাসছিলেন তিনি। সেই হাসি বন্দি হয়েছে ক্যামেরায়। আর এখন দেখেছে সারাবিশ্ব।

সালাহকে মাঠে ফেলে দেয়ার পর হাত সরিয়ে নেন সার্জিও রামোস। রেফারিকে বলেন, তিনি নির্দোষ। তা-ই মেনে নেন রেফারি।
ফিজিও এসে সালাহকে দেখে মাঠের বাইরে নিয়ে যান, তখন ক্যামেরা তাক করা ছিল রামোসের দিকে। স্বাভাবিকভাবেই প্রতিক্রিয়া নেয়ার চেষ্টা। তা পেয়েও যান ক্যামেরাম্যান। সালাহকে মাঠ ছাড়তে দেখে কুৎসিতভাবে হাসতে থাকেন রামোস।

খবর২৪ঘণ্টা.কম/নজ 

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।