ঢাকাশনিবার , ১২ জুন ২০২১
আজকের সর্বশেষ সবখবর

রাজশাহীতে সর্বাত্মক লকডাউনে মাঠে কঠোর প্রশাসন, রাস্তাঘাট ফাঁকা

khobor
জুন ১২, ২০২১ ৫:৫৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

হঠাৎ করে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় রাজশাহী মহানগরীতে চলছে সর্বাত্মক লকডাউন। অপ্রয়োজনে বাইরে বের হওয়া মানুষকে ঘরে ফেরাতে মাঠে কঠোর অবস্থানে রয়েছে প্রশাসন। পুলিশের পাশপাশি র‌্যাবও মাঠে রয়েছে। নগরের প্রবেশ পথগুলোতে ভ্রাম্যমাণ আদালত ছিল। বিভিন্ন জেলা থেকে নগরের উদ্দেশ্যে আসা যানবাহনকে ফিরিয়ে দেয়া হয় ও নগরের প্রবেশ করা কিছু যানবাহনকে জরিমানাও করা হয়। নগরে শপিংমল ও দোকানপাট এবং মার্কেট বন্ধ রয়েছে। কাঁচা বাজার ছাড়া সবকিছু বন্ধ রয়েছে। নগরের অভ্যন্তরে গাড়ীও কম চলাচল করছে। অটোরিক্সা ও রিক্সাও চলাচল করতে দেয়া হচ্ছেনা। এমনকি মোটরসাইকেল নিয়ে বের হওয়া মানুষকেও ফিরিয়ে দেয়া হচ্ছে।

জানা গেছে, করোনা করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ৭ দিনের সর্বাত্মক লকডাউন ঘোষণা করা হয় গত শুক্রবার (১১ জুন) বিকেল ৫টা থেকে। লকডাউন চলবে আগামী ১৭ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত। লকডাউন ঘোষণার পর প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাইরে না বের হওয়ার জন্য মাইকিং ও ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালানো হয়। ঘরে থাকার জন্য নগরবাসীকে অনুরোধ জানানো হয়। অন্যান্য বারের লকডাউনে কিছু দোকানপাট ও যানবাহন চলাচল করলেও এবার ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন চিত্র। সকাল থেকেই নিত্য প্রয়োজনীয় কাঁচাবাজার ও ফার্মেসী ছাড়া সবকিছুই বন্ধ ছিল। পুলিশের পক্ষ থেকেই বাজার এলাকা এবং পাড়া-মহল্লায় মনিটরিং করা হয়। শনিবার সকাল থেকে নগরের তেমন কোনো মার্কেট খোলা রাখতে দেখা যায়নি। তবে বহিরাগতদের প্রবেশ ঠেকাতে নগরের প্রবেশ পথগুলোতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের চেকপোস্ট বসানো হয়। এদিন সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত নগর পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট সর্বাত্মক লকডাউন বাস্তবায়নে তৎপর ছিল। পুলিশের পাশপাশি র‌্যাবও দায়িত্ব পালন করে।

তবে সকালের দিকে মুদি দোকান খোলা থাকলেও দুপুরের পর থেকে সেসব দোকান বন্ধ করে দেয়া হয়। এ নিয়ে নগরবাসীর পক্ষ থেকে অভিযোগ রয়েছে। কারণ তারা বলছেন, নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দোকান খোলা না রাখলে তারা বিপদে পড়বেন। যদিও প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, মুদিখানায় এখন প্রায় অন্যান্য জিনিস বিক্রি করা হয়। এ জন্য তাদেরও বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।

এদিকে, লকডাউনের সময়সীমা শুক্রবার বিকেল ৫টা থেকে শুরু হওয়ার পরপরই যানবাহন না পেয়ে মানুষকে হেঁটেই নিজ নিজ গন্তব্যে যেতে দেখা যায়। এদিন রিক্সা ও অটোরিক্সাও চলাচল করতে দেখা যায়নি। উল্লেখ্য, করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় তা রোধ করতে বৃহস্পতিবার রাতে রাজশাহীল স্থানীয় প্রশাসনের সভায় ৭ দিনের সর্বাত্মক লকডাউনের ঘোষণা দেয়া হয় রাজশাহী মহানগরীতে। অফিস-আদালতসহ সকল

অফিস বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। রাজশাহী মহানগরীতে বাইরের জেলার কোনো যানবাহন প্রবেশ করতে পারবেনা ও নগর থেকে বাইরে কোনো গণপরিবহন প্রবেশ করতে পারছেনা। তবে জরুরী সেভা যেমন, ফার্মেসী, সেবা সংক্রান্ত, আম বাজার ও কাঁচা বাজার স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে পারবে। বাস-ট্রেনও বন্ধ রয়েছে।

এস/আর

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।