ঢাকারবিবার , ৪ অক্টোবর ২০২০
আজকের সর্বশেষ সবখবর

স্বর্ণের বার ধরে আত্মসাতের অভিযোগ বোয়ালিয়া থানার তিন এসআই’র বিরুদ্ধে

অনলাইন ভার্সন
অক্টোবর ৪, ২০২০ ৫:৩৬ অপরাহ্ণ
Link Copied!

বিশেষ প্রতিনিধি: রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের বোয়ালিয়া থানার স্বর্ন উদ্ধার করে আত্নসাতের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।  কাতার প্রবাসী দুই ব্যক্তির নিকট থেকে ৬টি স্বর্নের বার উদ্ধার করলেও জব্দ তালিকায় দেখানো হয়েছে ২ পিস। বাকি ৪ পিস থানার ওসিসহ কয়েকজন এসআই ভাগবাটোয়ারা করে নেন। এ নিয়ে খোদ থানা পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তাদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

সূত্রে জানা যায়, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার উপর রাজারামপুর (কুমারপাড়া) এলাকার মৃত মহসিন আলীর ছেলে আজিজুর ইসলাম (৪০) ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ থানাধীন হরিনগর তাঁতিপাড়া এলাকার আঃ মঙ্গুর ছেলে ফারুক হোসেন (৩২) গত ১ অক্টোবর কাতার থেকে দেশে ফেরেন। তারা ঢাকা থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ফেরার সময় নগরীর বর্নালীর মোড় এলাকায় গ্রামীন ট্রাভেলস বাসে তাদের আটক করে। পরে তাদের তল্লাশি করে স্বর্নের বারগুলো জব্দ করেন। এ সময় তার সাথে থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই শাহিন আখতার, মালোপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইফতেখার মোহাম্মদ আল আমিন ও থানার এসআই মতিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।

এ ঘটনায় আব্দুল মতিন বাদি হয়ে ওই দুজনের বিরুদ্ধে ২টি স্বর্নের বারের মামলা দেয়। এদিকে অভিযোগ উঠেছে, স্বর্নের বার ছিল মোট ৬ টি, আর ওই দু’জনকে বিমানবন্দরে গিয়ে আনার জন্য তাদেও সাথে আরো দু’জন ছিলেন। মোট ৪ জন ব্যক্তিকে থানায় নিয়ে আসা হয়। স্বর্নের বারের সঙ্গে ৮টি বেডসিট ও ৮ জায়নামাজও ছিল। নাম প্রকাশ না করা শর্তে কয়েকজন থানা পুলিশের অফিসার বলেন, আটকৃতদের নিয়ে থানায় দীর্ঘক্ষণ বসিয়ে রাখা হয়। এরপর রাত সাড়ে ৩ টার পর তাদের লাগেজ তল্লাশি শুরু করে থানার সেকেন্ড অফিসার শাহিন, এসআই আলামিন ও মালোপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইফতেখার মোহাম্মদ আল আমিন।

এ সময় ওসি নিবারন চন্দ্র বর্মন অফিসের নিচে অবস্থান করছিলেন। পরে তাদের নিকট থেকে ৬টি বার জব্দ করার পর ওসিসহ তারা ১টি করে মোট ৪টি বার নিজেদের নিকট রেখে দেন। আর ওই দু’জনকে বিমানবন্দরে আনতে যাওয়া দু’জনকে প্রায় দেড় লাখ টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেয়া হয়। তারা বলেন, স্বর্ন যখন জব্দ করা হবে তখন প্রকাশ্যই হওয়া উচিত।

ঘটনাস্থলে স্থানীয় লোকজন পুলিশের আরো সদস্য কিংবা উর্ধতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতি প্রয়োজন ছিল। কিন্তু তারা সেটি করেননি। বরং রাত সাড়ে ৩ টার দিকে থানায় যখন কেউ ছিল না ঠিক সেই সময় তারা লাগেজ তল্লাশি করেছেন। অন্যদিকে অভিযোগ প্রসঙ্গে এসআই মতিন ও মালোপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইফতেখার মোহাম্মদ আল আমিন বলেন, তারা এ রকম কোন কিছু করেননি। তল্লাশির সময় ভিডিও করা হচ্ছিল বলেও দাবি করেন তিনি। অন্যদিকে ওসি নিবারন চন্দ্র বর্মনকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।

জেএন

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।