রাজশাহীর পুঠিয়ায় বানেশ্বর শহীদ নাদের আলী বালিকা স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ও সভাপতির মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির সভাপতি মাহাবুব আলম বাবু (৫৫) ও অধ্যক্ষ রুহুল আমিন আহত হয়েছেন।
তারা দু’জনেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
রোববার (০২ অক্টোবর) সকাল ৯টার দিকে প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ রুহুল আমিনের ভাড়া বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে।
কলেজ সূত্রে জানা গেছে, অধ্যক্ষের নিয়োগ বানিজ্য ও স্বেচ্ছাচারিতার কারণে প্রতিষ্ঠানের সভাপতি মাহাবুব আলম অধ্যক্ষকে দূর্নীতির দায়ে বরখাস্ত করেন। এ কারণে তাদের মধ্যে দীর্ঘ দিন থেকে বিরোধ চলে আসছে।
কলেজ সভাপতি মাহবুব আলম বলেন, ‘অধ্যক্ষ রুহুল আমিন বিভিন্ন সময় আমাকে হত্যার চেষ্টা চালান। সকালে আমি বানেশ্বর হাটের অধ্যক্ষের বাড়িরসংলগ্ন সরকার ওয়েল অ্যান্ড ডাউল মিলে তেল নিতে যাই। এ সময় অধ্যক্ষ রুহুল আমিন, তার স্ত্রী ও তার ভাই পলাশ আমাকে দেখতে পেয়ে আমার উপর হামলা চালায়।
তার ভাই তার হাতে থাকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করেন। আমার চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে আমাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান।
এদিকে অধ্যক্ষ রুহুল আমিনের স্ত্রী নার্গিস আক্তার বলেন, কলেজের সামনে আমরা একটি ভাড়া বাড়িতে থাকি। রোববার সকালে আমাদের বাড়ির সামনে এসে কলেজের সভাপতি গালাগালাজ করতে থাকে। এ সময় আমি তার গালমন্দ শুনে নিচে নেমে আসি। একপর্যায়ে তর্কাতর্কি শুরু হলে তিনি আমার হাত ঝাপটে ধরেন। আমার স্বামী প্রতিবাদ করলে সভাপতি তাকে কিল-ঘুষি ও লাথি মারতে থাকেন।
তিনি আহত হয়ে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এ বিষয়ে পুঠিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ সোহরাওয়ার্দী হোসেন বলেন, দু’পক্ষই থানায় অভিযোগ করেছে। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
বিএ/
